গুরু—শ্ৰীমতিলাল রায়। প্ৰবৰ্ত্তক পাবলিশিং হাউস, কলিকাতা। দেড় টাকা। ১৩৪• । যে-সকল ধর্শীর যুগে যুগে আবিভূত হইয়। ভারতকে অধ্যাক্সসাধনার পথে অগ্রসর করিয়া দিয়াছেন, তাহাদেরই কয়েক জনের জীবনকথা লইয়। এই পুস্তক লিখিত হইয়াছে। হিন্দু বৌদ্ধ জৈন শিখ সকলের সাধনার পুস্তম্পর্শ ধস্ত এ ভারতভূমি, এখানে হোমকুও জ্বালাইয়া রাখিবার জন্ত বহু লোকের সাগ্রহ চেষ্ট । লেখক তাহাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবন্ধ রাখিতে চাহিয়াছেন । পুস্তকের ছাপা ভাল, এবং কয়েকখানি চিত্র ইহার সৌষ্ঠব বৃদ্ধি করিয়াছে। কিন্তু মুদ্রাকরপ্রমাদ যে একেবারে নাই তাহী নহে। পৌরহিতা ( ১৮ পৃ; ) বণিদৃগয়কে (২৯ পৃঃ), ব্যাভিচার (৩৪, ৩৫ পৃ: ) ইত্যাদি তাহার দৃষ্টান্ত। পশ্চাদমুবৰ্ত্ত” (২২ খৃঃ) কথাটায় লেখক কি বলিতে চান ? ৩৭ পৃষ্ঠায় যে মহাপুরুষের কথা আছে, তিনি জোসেফটু, মা, জোসেফস্ ? বত্তির গল্প—ঐসতীশচন্দ্র দাসগুপ্ত। খাদি প্রতিষ্ঠান, ১৫ কলেজ স্কোয়ার, কলিকাতা । এক টাকা । ১৩৪০ { আটটি গল্পে সতীশবাবু হরিজনদের অবস্থা ও তাহার সংস্কারের চেষ্টার চিত্র পাঠকের সামনে ধরিয়াছেন। আমাদের অনেকেরই ধারণা যে, বাংলা দেশে হরিজন সমস্যা নাই, অস্পৃষ্ঠত নাই ; এই ধারণা যে কতদূর ভ্রান্ত তাহা সতীশবাবু দেখাইয়াছেন। শুধু রস-সাহিত্যের দিক হইতে এই গল্পগুলি পড়িলে লেখকের প্রতি কিছু অবিচার করা হইবে ; রাজশেখরবাবু ভুমিকায় “এক বিচিত্র ভয়ঙ্কর বীভৎস নিরতিশয় করুণ রসের অবতারণা” বলিয়া পুস্তকের যথার্থ পরিচয় দিয়াছেন। মেথর ডোম বাড়ারদের সমাজে যে কি শোচনীয় অবস্থা, তাহাদের প্রকৃতির মুখো উন্নতির বীজও কেমন হুমার ভাবে নিহিত আছে, অমুকুল পারিপাধিকে তাহা কেমন পুষ্ট হইতে পারে, অন্তত: “মেথরের মেয়ে” গল্পটি পড়িলে তাহা বুঝিতে পার। ষায় ; ইহাই এই পুস্তকের মধ্যে দীর্ঘতম কাহিনী। বাংলাদেশের হরিজনসমস্যা ও তাহার প্রতিকার সতীশবাবুর লেখনীতে জীবন্ত হইয়া দেখা দিয়াছে ; র্যাহার। যথার্থই এই সমস্যা বুঝিতে চাহেন, তাহাদিগকে এই গল্পকয়টি পড়িয়া দেখিতে অনুরোধ করি। ঐপ্রিয়রঞ্জন সেন "সপ্তক”—এইলা দেবী, এইধাংশুকুমার হালদার। BBBBB BBBB BB BB S gBHHB BBBBBB DDS DBB LLSS বইখানিতে সাতটি গল্প-দুইটি লেখকের, বাকী পাচটি লেখিকার ; কাজেই ইহাতে লেথার দুইটি বিভিন্ন ধারা বর্তমান । দুইটি ধারাই অতিরিক্ত ফেনসন্ধুল। লেখকের গল্প "মানুষের জয়”-এ দামোদর, গরুর গাড়ি, ম্যালেরিয়া, কামুনগো--এই সবের ওপরই প্রায় সাত-আট পাত ব্যয়িত হইয়াছে। গল্পাংশ নিরতিশয় অঙ্গ, তাছাও ছুtলরকম রূপ পাইবার অবসর পায় নাই । ননীলাল গল্পটি একটি বিদেশী গল্পের ছায়। লইয়া। দীর্ঘায়িত করেন নাই বলিঃ। গল্পটি জমিয়াছে। সংযমের মূলাটা এইখানেই বুঝবেন। রিফ্লেকৃশন আর বর্ণনার নেশাট কমিয়া আমিলে ইল দেবীর মধ্যে আমরা একজন প্রকৃত গুণী পাইব বলিয়া আশা করি। চরিত্র, ঘটনাসমাবেশ, ভাষা প্রভৃতি সকল দিকেই তাহার বেশ নজর থাকে। “লিপিপঞ্চক" খুবই চমৎকার লাগিল ; একবারমাত্র পড়ায় আশ মেটে নাই। পাঁচখানি প্রেমপত্রের মধ্য দিয়! পাঁচটি যুগ যেন মূৰ্ত্তি ধরিয়া দাড়াইয়। উঠিয়াছে। “প্রত্যাবর্তন"-এ বল্পনকে খুব বেশী রাশ দেওয়ায়, গল্পটি আজগুবির কোটায় গিয়া পড়িয়াড়ে । আবার ঐ সংযমের কথা আসিয়া পড়ে। ছাপায় অল্প অল্প ভুল আছে ; বঁধাই ভাল । শ্ৰীবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় স্বাস্থ্য ও ব্যায়ামু—ঐবিধুভুষণ জানা প্রণীত। তমলুক, মেদিনীপুর হইতে প্রকাশিত। মুলা ১ve । ক্রাউন অষ্ট, ১৪১ পূঃ পেপার বোর্ড বাধাই, ২৫ থানি আর্ট পেপারে ছাপা চিত্র সম্বলিত । লেখক নিজ শরীরচর্চা করিয়া যে অভিজ্ঞত আহরণ করিয়াছেন এবং অপরাপর স্বনামধন্ত ব্যায়ামবীরদিগের নিকট যে উপদেশ লাভ করিয়াছেন তাহ এই পুস্তকে একত্র করা হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত জগতে বহু খ্যাতনামা মল্পের পরিচয় এই পুস্তকে পাওয়া যায়। রন্ধনকালে যেমন শুধু কোন্ কোন্ খাদ্য সামগ্রী ও মশলা একত্র করিতে হয় শুধু তাহা বলিয়া দিলেই রন্ধন স্বখাদ্য হয় না,--তৎসঙ্গে আগুনের তেজ, কোন সময়ে কোনটি মিলাইতে হইবে এবং কোন মশলা কতটা লাগিবে ইত্যাদি বহু আনুষঙ্গিক বিষয়ের প্রকৃষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন, তেমনি শরীরচর্চার ক্ষেত্রেও শুধু কয়েকটি বায়াম-যন্ত্র হাতে দিয়া কয়েক প্রকার অঙ্গ সঞ্চালনা শিথাইয়া দিলেই কার্যাসিদ্ধি হয় না। শরীরসাধনার অবগুপ্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিকগুলিব জ্ঞান ন হইলে বহু ব্যায়াম করিয়াও কোন ফল হয় না। জানা-মহাশয় এই সকল আনুষঙ্গিকের দিকে বিশেষ নজর দিয়াছেন । যথা সুপ্রজনন, খাদ্য, পোষাক, বাসস্থান, জলবায়ু, স্বৰ্য্যালোক, নিত্রী প্রভৃতি বিষয় এই পুস্তকে আলোচিত হইয়াছে। বিভিন্ন থাদ্যের পুষ্টিমূলা, বিভিন্ন কাৰ্য্যকলাপের ও জীবনযাত্র প্রণালীর স্বাস্থোর উপর প্রভাবও এই পুস্তকে বিচার করা হইতাছে। অধুনা বায়ান-জগতে My Systom _অর্থাৎ “আমার শক্তিলাভ প্রণালী” বলিয়া যে একটি জিনিব দেখা দিয়াছে, বিধুবাবু সেই দোষ দুষ্ট নহেন। যেমন প্রকৃতির নিয়মাবলী কোন ব্যক্তিবিশেষের স্থঃ নহে, তেমনি স্বাস্থোর ও শক্তিলাভের উপায়গুলিও চিরন্তন ও কোন ব্যক্তি-বিশেষের পৃষ্ঠ নহে । যে-সকল বায়ামবীর নিজ নিজ My Systom প্রচার করিবার চেষ্টা করেন উাহার একথা ভুলিয়া স্বান। জহুমিকা রোগের ইহাই ধারা । সৌভাগ্যক্রমে বর্তমান ক্ষেত্রে গ্রন্থকার এই রোগের বশীভূত হন নাই। তাছার পুস্তকে স্বাস্থ্য র শক্তির চিরন্তন নিয়মাবলী উপ্তমরূপে বিচার করা হইয়াছে । ছায়াটিকে অতিরিক্ত আশা করি লেখক
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৪
অবয়ব