ন্তিন পুস্তক-পরিচয় বাংলা ভাষায় ঠিক এই রকম পুস্তক আর নাই। আমরা আশা করি স্কুল-কলেজে ও পিতামাতা-মহলে এই পুস্তকের জাদর হইবে । ব্যায়ামকারিগণও ইহা পড়িয়া উপকার পাইবেন। স্ত্রীঅশোক চট্টোপাধ্যায় ব্যোমকেশের ডায়েরী—ঐশরদিলু বলোপাধ্যায় প্রণীত। প্রকাশক-পি. সরকার এণ্ড কোং । ২. গু্যামাচরণ দে ষ্ট্রট, কলিকাত । দাম দেড় টাকা । পুস্তকথানিতে চারটি রোমাঞ্চকর ডিটেক্টিভ গল্প আছে। কিন্তু ডিটেক্টিভ গল্পের দস্তুর মত কোনটিতেই যে-প্রকারে হউক গোয়েন্দাকে বঁাচাইয়া কেবল গুণ্ডাবধ নাই। প্রত্যেকটিই বুদ্ধির তীক্ষতা, ঘটনাস্থষ্টির কৌশল ও লিপি-চাতুর্য্যে উজ্জ্বল ও চরিত্রগুলি জীবন্ত । মাল-মশলা নিৰ্ব্বাচনেও লেখক মার্জিত রুচির পরিচয় দিয়াছেন। যে-শ্রেণীর ডিটেকটিভ সাহিত্য এককালে বঙ্গসাহিতোর বাজার দখল করিয়াছিল, আলোচ্য গল্পগুলি তাহার অনেক উচ্চে-ভদ্রসমাজে নির্দোষ আনন্দ দিবার উপযোগী । পুস্তকথানির সাজ-সজ্জা, ছাপা ও কাগজ ভাল । শ্ৰীখগেন্দ্রনাথ মিত্র ১। আধুনিক ভুচিত্রাবলী, ২। বঙ্গদেশের ভূচিত্রাবলী—ঐবতীন্দ্রনাথ বম, এফ-আর-জি-এস কর্তৃক অঙ্কিত ও সঙ্কলিত। বোস এণ্ড সন্স, ২৬১, মাণিকতলা স্পার, কলিকাতা । মূল্য প্রত্যেকথানির এক টাকা । বাংলা দেশে ভূগোলশিক্ষার প্রচলন এখনও তেমন করিয়া হয় মাই। উচ্চ-ইংরেজী বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী পর্যাস্ত ভূগোল পাঠ আবখ্যিক বটে, কিন্তু তাহার পর ইহার সঙ্গে ছাত্র-ছাত্ৰীগণের সম্বন্ধ এক রূপ ঘুচিল যায়। এরূপ অনেকে আছেন যে, ‘লাস’ কোথায় জিজ্ঞাসা করিলে বিভ্রান্ত হইয় পড়েন। অথচ জাতি-গঠনে যেমন ইতিহাস-চর্চার প্রয়োজন, জাতির আর্থিক শ্ৰীবৃদ্ধি সাধনের পক্ষে ভূগোল শিক্ষাও তেমনি আবখ্যক । একারণ ইংলণ্ড, ফ্রান্স, জাৰ্ম্মানী আমেরিক প্রভৃতি দেশে ভূগোলের চর্চা এত বেশী। ভূগোল শিক্ষার প্রধান সহায়ক—দেশ-বিদেশের মানচিত্র। এই মানচিত্রের যতই প্রচার হুইবে ভূগোল শিক্ষ, ততই অগ্রসর হইবে। বাংল। ভাষায় थाभूमिक ब्रोलिप्ऊ नकलिउ मानक्रिप्जद्र यtषट्टे अडांद योtछ, अशक বাংল-মানচিত্রের প্রচার হইলে ভূগোল শিক্ষার প্রসার সম্ভব। এইজন্ত बौपूठ बउँौठनाथ बश्द्र छूक्रिजावली झ३थानि नभtशोभएषांशी झईब्रांtछ्। প্রথম-থানিতে বিভিন্ন দেশের মানচিত্র সন্নিবেশিত হইয়াছে। দ্বিতীয়খানিতে বঙ্গদেশের প্রতোক জেলারই স্বতন্ত্র মানচিত্র আছে। শুধু শহুয়াদি নৃহে, প্রসিদ্ধ গ্রামগুলির অবস্থান-নির্দেশও ইহাতে করা হইয়াছে। বিভিন্ন জেলার অন্তর্গত সকল স্থানের সঙ্গে পরিচিত না থাকায় দুই-এক স্বলে অবস্থান-নিৰ্দ্দেশে ভুল রছিয়া গিয়াছে, স্থানের নাম ওলট-পালট হইয়াছে ও কতকগুলি বাদ পড়িয়াছে । কিন্তু এসব সৰেও ইংর উপকারিত থেষ্ট। প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই ইহাদের এক একথানি থাকা উচিত। ' - ঐযোগেশচন্দ্র বাগল কোচবিহার সাহিত্য-সভা গ্রন্থাবলী— ১ম-৬ষ্ঠ খণ্ড) । কোচবিহার সাহিত্য-সভ্য হইতে শ্ৰী চৌধুরী আমানত উল্য। আহমদ কর্তৃক প্রকাশিত । . এই গ্রন্থাবলীর তৃতীয় খণ্ডে-মহারাণী বৃলেশ্বরী দেব্য বিরচিত বেহারোদস্ত নামক কুচবেহার-রাজবংশের ইতিহাস-বিষয়ক গ্রন্থ ভূমিক ও টাক টপ্পনীসহ খ্ৰীযুক্ত নিরুপমা দেবী কর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছে। অবশিষ্ট পাঁচখণ্ডে বৃলেশ্বরী দেবীর শ্বশুর বিবিধগ্রন্থরচয়িতা কুচবেহায়রাজ্যের ভূতপূৰ্ব্ব অধীশ্বর মহারাজ হরেন্দ্রনারায়ণের গ্রন্থাবলীর কিয়দংশ শ্ৰীযুক্ত শরচ্চত্র ঘোষাল, এমূ-এ, বি-এল, সরস্বতী, কাবাতীর্থ, বিদ্যাভূষণ, ভারতী কর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছে। এই পাঁচ খণ্ডের মধ্যে প্রথম খণ্ডে হরেন্দ্রনারায়ণের গীতাবলী, দ্বিতীয় খণ্ডে সংস্কৃত পদ্মপুরাণের ক্রিয়াযোগসার অংশের অনুবাদ, তৃতীয় ও চতুর্থ খণ্ডে উপকথা নামে দুইটি আখ্যায়িক এবং পঞ্চম খণ্ডে রামায়ণের স্বনরক্ষাণ্ডের অনুবাদ' প্রকাশিত হইয়াছে। - প্রাচীন বাঙ্গালা সাহিত্যের সংরক্ষণ ও অনুশীলন কোচবিহারসাহিতা-সভার অন্ততম বিশিষ্ট উদ্দেশ্য। সেই সাধু উদেশ্য অমুসরণ করিয়া সভার কর্তৃপক্ষ বিদ্যানুরাগী কুচবিহার-রাজবংশের সাহিত্যপ্রীতির প্রত্যক্ষ নিদর্শনস্বরূপ রাজপরিবারবর্গের রচিত গ্রন্থাবলী সাধারণো প্রচার করিবার কার্ধ্যে সৰ্ব্বপ্রথম হস্তক্ষেপ করিয়াছেন। আশা করা যায়, তাহার ক্রমে এই বংশের নরপতিবর্গের উৎসাহ, প্ররোচন ও পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন সাহিত্যরসিক কর্তৃক রচিত গ্রন্থসমূহ প্রকাশ করিয়া প্রাচীন বাঙ্গালী সাহিত্যের আলোচনা এবং কুচবেহার-রাজ্যের কৃষ্টিবিষয়ক ইতিহাস আলোচনার পথ প্রশস্ত করিয়া দিবেন। আলোচ্য চয় খণ্ডে সাহিতা-সভা যে-কয়খানি গ্রন্থ প্রকাশিত করিয়াছেন জুতিপ্রাচীন না হইলেও সেগুলি উনবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালী সাহিত্যের নমুনা হিসাবে বিশেষ মূল্যবাণ। এই গ্রন্থাবলীতে মূল পুথি অথবা অবলম্বিত প্রাচীন সংস্করণের বর্ণাশুদ্ধিগুলি সৰ্ব্বত্র অবিকল রক্ষিত হইয়াছে । তৎসমশব্দসম্পর্কে এই বর্ণাশুদ্ধি ভাষাতত্ত্বালোচীর বিশেষ কোন সহায়তা করে না অথচ সাধারণ পাঠকের বিশেষ অসুবিধার স্বষ্টি করে। এগুলি সংশোধন করিয়া দিলে সম্পাদক কোনরূপ দোষদুষ্ট হইতে পারেন না। গ্রন্থাবলীর পঞ্চম খণ্ডে প্রকাশিত উপকথায় মূল পুথির পাটার বর্ণিত গল্পের কয়েকখানি চিত্র অঙ্কিত ছিল। আলোচ্য সংস্করণে তাহাজের সুন্দর ত্রিবর্ণ প্রতিলিপি মুঞ্জিত হইয়াছে। এগুলি বাংলার পুরাতন চিত্রবিদ্যার অনুশীলনকারিগণ বিশেষ আদর করিবেন সন্দেহ নাই । ঐচিত্তাহরণ চক্রবর্তী আমরা আগামী ১৩৪১ সালের গুপ্তপ্রেস পঞ্জিক ও ডাইরেক্টরী প্রাপ্ত হইয়াছি।
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৫
অবয়ব