পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ এই সময় একজন জুরী অজ্ঞান হইয় পড়ায় আদালত সেদিনকার মত বিচার বন্ধ রাখিতে আদেশ দিলেন । পরদিন বিচারক ও জুরীগণ আসন গ্রহণ করিলে আগামীকে তাহার বক্তব্য বলিতে আদেশ দেওয়া হইল। আসামী বলিতে আরম্ভ করিল— কত মানুষ যে খুন করেছি তার হিসেব আমার নেই । সেসময় কোন কথা কানে আসে না হুজুর। তাদের কাতরাণি যদি সব কানে আসত, মনে থাকত হুজুর, তাহলে সত্যি পাথর হয়ে যেতাম। মনে পড়ে শুধু দুটি মানুষের কথা। যেদিন আমার বাপের কাছে আমি হাতেখড়ি নি, আর আমি আমার ছেলে তারাচরণকে যেদিন হাতেখড়ি দিই, এই দু-দিনের কথা মনে আছে। সরল বঁাশের কোড়ার মত দীঘল কাচা জোয়ান তখন তারাচরণ । অন্ধকার রাত্রে শিকারের গলায় দাড়িয়ে বললাম-দে পা-দুটাে ধীরে ধড়টা ঘুরিয়ে দে সে থর থর করে কেঁপে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল। আমিই শিকার শেষ করলাম, কিন্তু মনটা কেমন সেদিন হিম হয়ে গেল। মনে পড়ে গেল প্রথম দিন আমিও এমনি করে কেপেছিলাম। তারপর হুজুর, অভ্যেসে সব হয়--ক্রমে ক্রমে তারা আমার হয়ে উঠল গুলিবাঘ । পালকের মত পাতলা পা-পাথরের মত শক্ত ছাতি-শিকার পথের ওপর পড়লে আমি যেতে-না-যেতে সে গিয়ে কাজ শেষ করে রাখত। ঘটনার দিন হুজুর— আসামী নীরব হইল । সে পানীয় জল প্রার্থনা করিল। জল পান করিয়া সে কহিল— সেদিনের সে ভুল তারাচরণের, আমার ভূল নষ। তবে সে আমার ভাগ্যের দোষ। আর নয় ত যাদের খুন করেছি তাদের অভিসম্পাতের ফল । তবে এ যে হবে এ আমি জানতাম— আমার বাবা বলেছিল-- আমাদের বংশ থাকবে ন!—নিববংশ হতেই হবে । আবার আসামী নীরব হইল। আসামী কাতর হইয়া পড়িয়াছে বিবেচনা করিয়া আদালত কিছুক্ষণ সময় দিতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু আসামী তাহ চাহে না । সে কহিল— জার শেষ হয়েছে হজুর। তবে আর একটু জল । পুনরায় জলপান করিয়া সে বলিয়া গেল— সেদিন তারার আসবার কথা নয়। ফুটুম্ববাড়িতে বিয়ের নিমন্তয়ে গিয়ে বিয়ের রাত্রেই সে চলে আসবে, এ ধারণা জামি করতে পারি নাই হুজুর। সেদিন অন্ধকার রাত্রি।

  • - SనOBO ঝিপ কিপ করে বাদলও নেমেছিল। আমার বৌমার

কাছে শুনেছেন আমার চোখ অন্ধকারে বেরালের মত জলে । আমার চোখেও আমি সেদিন ভাল দেখতে পাচ্ছিলাম না । সৰ্ব্বাঙ্গ ভিজে হিম হয়ে যাচ্ছিল । ঘন ঘন আমি মদের ভীড়ে চুমুক দিচ্ছিলাম। দু-পহর রাত পধ্যস্ত শিকার না পেয়ে বিরক্ত হয়ে উঠে আসছি--এমন সময়কার গানের খুব ঠাণ্ড আওয়াজ শুনতে পেলাম। বাতাস বইছিল আমার দিক থেকে আওয়াজটা বাতাস ঠেলে উজানে ঠিক আসছিল না। সেদিন হাতে পয়সাকড়ি কিছু ছিল না। মানুষের সাড়া পেয়ে মদের ভীড়ে চুমুক মেরে অভ্যেস-মত লাফিয়ে উঠে দাড়ালাম। অন্ধকারে চলপ্ত মানুষ নড়ছিল, . মারলাম ফার্বুড়া। লাস পড়ল। সে কি চীৎকার করে বললে কানে এল না। ছুটে গিয়ে গলায় লাঠি দিয়ে উঠে দাড়াব – শুনলাম-বাবা-বাব-আমি কথাটা কানেই এল, কিন্তু মনে গেল না, তার গলা আমি চিনতে পারলাম না। লাঠির ওপরে দাড়িয়ে বললাম এ-সময়ে বাবা সবাই বলে । আসামী নীরব হইল। আবার সে বলিল -পেয়েছিলাম আনা-ছয়েক পয়সা—আর তার কাপড়খানা । আবার সে নীরব হইল ; কিন্তু মিনিটখানেকের মধ্যেই সে অজ্ঞান হইয়া পড়িয়া গেল । 兴 蚤 용를 রায়ে বিচারক দণ্ডাদেশের পূৰ্ব্বে লিথিয়াছেন—-যুগযুগান্তরের সাধনায় মানুষ ঈশ্বরকে উপলব্ধি করিয়া দ্যায়অন্যামের সীমারেখার নির্দেশ করিয়াছে। তাহারই নামে স্বষ্টি ও সমাজের কল্যাণে অন্যায় ও পাপের রোধ হেতু দণ্ডবিধির স্বষ্টি হইয়াছে। ঈশ্বরের প্রতিভূ-স্বরূপ বিচারক সেই বিধি অনুসারে অন্যায়ের শাস্তিবিধান করিয়া থাকেন। এই ব্যক্তির যে অপরাধ, বর্তমান রাষ্ট্ৰতন্ত্রের দণ্ডবিধিতে তাহার যোগ্য শাস্তি নাই। এক্ষেত্রে একমাত্র চরমদওই বিধি । আমার স্থির বিশ্বাস, সেই জন্যই সমগ্র বিশ্বের অদৃশু পরিচালক তাহার দগুবিধান স্বয়ং করিয়াছেন। চরমদও এক্ষেত্রে সে গুরুদণ্ডকে লঘু করিয়া দিবে। ঈশ্বরের নামে বিচারকের জাসনে বসিয়া তাহার অমোঘ বিধানকে লঙ্ঘন করিতে পারিলাম না । बांबण्कौवन शैौनाच्छब्र-बान हेशग्न लांखि बिश्ऊि श्हेण ।