পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ ভিন্ন ভিন্ন পন্থার বিষয়ও পড়িয়াছি । ব্যর্থপন্থামুসরণের বিষয়ও পড়িয়াছি । অতীত ইতিহাসে ষে-পথের নির্দেশ নাই, তাহা বর্তমানে উদ্ভাবিত ও অনুস্থত হইতে পারে ন, মনে করি না । অন্ত দেশে যে-অবস্থায় যে-উপায়ে ফললাভ হইয়াছে, তাহ আমাদের দেশে ও অবস্থায় ফলদায়ক না-হুইতে পারে । আবার অন্যত্র অন্য অবস্থায় যাহা ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা আমাদের দেশে ও অবস্থায় স্বফলপ্রদ হইতে পারে। সেই জন্ত পথ-নির্দেশের পূৰ্ব্বে চিন্তা ও বিচার আবশ্যক—বিশেষ করিয়া যদি সেই পথের কোন উল্লেখ দৃষ্টাস্ত সফলতা ব্যর্থতা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ না থাকে । কংগ্রেসের ৪৭তম অধিবেশন বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় ও অন্যত্র প্রশ্নের উত্তরে সুরকারী জবাব হইতে জানা যায়, যে, কংগ্রেস বে-আইনী বলিয়া ঘোষিত হয় নাই, এবং উহার সপ্তচত্বারিংশত্তম অধিবেশনও বে-আইনী বলিয়া নিষিদ্ধ হয় নাই । অথচ ভারত-গবন্মেণ্ট ও সমুদয় প্রাদেশিক গবন্মেণ্ট, যাহাতে এই অধিবেশন না হয়, তাহার জন্ত প্রভূত চেষ্টা করিয়াছিলেন। যেখানে যে-কোন ব্যক্তিকে কংগ্রেসে যোগদানেচ্ছু প্রতিনিধি বলিয়া পুলিসের সন্দেহ হইয়াছে, তাহাকেই গ্রেপ্তার করা হইয়াছে । পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয় (“মালব্য° মহে) ৪৭তম অধিবেশনের সভাপাত হইবেন স্থির ছিল। তাহাকেও আসানসোলে গ্রেপ্তার করিয়া কয়েক দিন জেলে রাখা হয়। অনেক জায়গায় লাঠিপ্রয়োগও হইয়াছিল। অধিবেশনের স্থান কলিকাতা নির্দিষ্ট ছিল বলিয়া ইহার সব পার্কে পুলিস মোড়ে পুলিস গিজগিজ করিতেছিল। তাহা সত্ত্বেও, গবন্মেন্টের বুদ্ধি ও পুলিসের বুদ্ধিকে পরাস্ত করিয়া কলিকাতার প্রসিদ্ধতম স্থান চৌরঙ্গীর মোড়ে ট্রামওয়ের যাত্রীবিশ্রাম-মণ্ডপে কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা উহার ৪৭তম অধিবেশন কয়েক মিনিটে সমাপ্ত করেন। শ্ৰীযুক্ত নেলী সেন গুপ্ত মহাশয় সভানেত্রীর কাজ করেন ও ধৃত হন। প্রতিনিধি গ্রেপ্তার কেহ বলেন ৩••, কেহ বলেন ২•• হইয়াছিল। ২০২৫ >b, বিবিধ প্রসঙ্গ—কংগ্রেসের ৪৭তম অধিবেশন ృea হইয়া থাকিলেই বা কি আসিয়া যায় ? আসল কথা এই, ষে, গবন্মেণ্টের প্রদত্ত সৰ্ব্ববিধ বাধা সত্ত্বেও ভারতবর্ষের নানাস্থানের অনূ্যন দুই হাজারেরও উপর লোক কংগ্রেসে যোগ দিতে উদ্যত হইয়াছিল। ইহার ভাবু কংগ্রেসের প্রতি দেশের লোকদের অঙ্কুরাগ, এবং কংগ্রেসের শক্তি প্রমাণিত হইয়াছে। ইহাতে কংগ্রেসওয়ালার নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট হইবার অধিকারী । তবে, তাহারা ইহাও অবশু মনে রাখিবেন, যে, কংগ্রেসের প্রধান উদ্বেগু স্বরাজলাভ এখনও সিদ্ধ হয় নাই । গবষ্মেন্টও বুঝুন, যে, কংগ্রেসকে তাহারা স্বৈরূপ দুৰ্ব্বল এবং উপায়-উদ্ভাবনে অসমর্থ মনে করিয়াছিলেন, কংগ্রেস তাহা নহে—কংগ্রেসে রিসোসফুল অর্থাৎ কৌশল উদ্ভাবনসমর্থ লোক আছে । কলিকাতায় কংগ্রেসের ৪৭তম অধিবেশনে গত ১লা এপ্রিল নিম্নমূত্রিত প্রস্তাবগুলি গৃহীত হইয়াছিল বলিয়া দৈনিক কাগজে সংবাদ বাহির হইয়াছে । - (১) ১৯২৯ সালে লাহোরে ৪৪তম কংগ্রেসের অধিবেশনে পুর্ণ স্বাধীনতাই কংগ্রেসের লক্ষ্য বলিয়া যে প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছিল, এই কংগ্রেস দৃঢ়তার সহিত পুনরায় উহা সমর্থন করিতেছেন। (২) জনসাধারণের অধিকার রক্ষা করিবার, জাতির আত্মসন্মান অক্ষুণ্ণ রাখিবার এবং জাতীয় লক্ষ্যে পৌঁছিবার জঙ্ক এই কংগ্রেস আইন-অমাপ্ত আন্দোলনকেই সম্পূর্ণরূপে আইনসম্মত পন্থী বলির এহণ করিতেছেন । (৩) ১৯৩২ সালের ১লা জানুয়ারী তারিখে ওরাকিং কমিটি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন, এই কংগ্রেস পুনরায় উহার সমর্থন করিতেছেন । গত ১৫ মাসে যাহা খটিয়াছে, তৎসমুদয় সবত্বে পরীক্ষা করিয়া এই কংগ্রেস দৃঢ়তার সহিত এরূপ অভিমত প্রকাশ করিতেছেন, যে, দেশ বর্তমানে যে অবস্থায় পতিত হইয়াছে, তাহাতে আইন-অমান্ত আন্দোলনের শক্তিবুদ্ধি এবং প্রচার করা উচিত ; স্বতরাং ওয়ার্কিং কমিটির নির্দেশিত পস্থা অনুসারে কংগ্রেস জনসাধারণকে অধিকতর উৎসাহের সস্থিত আন্দোলন চালাইতে আহবান করিতেছেন । (৪) এই কংগ্রেস দেশের সমস্ত দলের ও সম্প্রদায়ের লোককে সম্পূর্ণরূপে বিদেশী বস্ত্র পরিহার করিতে, খদ্দর ব্যবহার করিতে এবং বৃটিশ দ্রব্য বর্জন করিতে আহবান করিতেছেন । (e) এই কংগ্রেসের অভিমত এই যে, যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত বৃটিশ গবল্পেটি निर्द्वय निशैफ़्नमूलक जछिदांन कोजॉरेंटबन-छांठिब अठीद विचख নেতৃবৃন্দ ও জাহাদের হাজার হাজার অনুসরণকারীদিগকে কারাদণ্ডিত ও বিনা বিচারে আটক করিয়া রাখিবেন, স্বাধীনভাবে কথা বলিবার ও মেলামেশা করিবার মৌলিক অধিকার লোপ করিবেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর কঠোর বাধানিষেধের ব্যবস্থা করিয়া রাখিৰেন এবং ইংলণ্ড হইতে মহাত্মা গান্ধীর প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালে সাধারণ অসামরিক আইনের স্থানে ইচ্ছাপূর্বক প্রবর্তিত কাৰ্য্যতঃ সামরিক আইন প্রচলিত