পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ভালবালি। তুমি নারী তাহ জানিবার পূর্ব হইতেই ষে তোমায় ভালবাসি । কেমন তোমার রূপ, ধে-শিমুল ফুল দিয়া প্রথম আমায় সম্ভাষণ করিয়াছিলে তাহারই মত দিক-আলোকরা রূপ কি তোমার ? তাই কি নিজের রূপের প্রতিচ্ছবিটি সেদিন আমার কাছে পাইয়াছিলে ? অধর কি তোমার আমনই রক্তিম বর্ণ, পায়ের আলতা কি উহারই রঙে রঞ্জিী । কেমন করিয়া কোন ভঙ্গীতে বসিয়া তুমি আমার চিরুণী দিয়া চুল বাধিয়াছিলে ? কেমন সে কবরীবদ্ধ ! একটি রক্তরাঙ। শিমুল ফুল কি সেই কবরীতে পরিয়াছিলে ? আমার এই ছত্রিশ বৎসর বয়স পর্ব্যস্ত কখনও আমি নারীর মুখের দিকে চোখ তুলিয়া দেখি নাই। আজ তোমাকে না দেখিয়াই তোমার প্রেমে আমি পাগল হইয়াছি। ওগো অশরীরিণি, একবার রূপ ধরিয়া আমার সম্মুখে দাড়াও । ২৪ ফেব্রুয়ারি । তাহার প্রেমের মোহে আমি ডুবিয়া আছি। আহারনিদ্রায় আমার প্রয়োজন কি ? আমার মনে হইতেছে এই অপরূপ ভালবাসা আমাকে জর্জরিত করিয়া ফেলিতেছে, আমার অস্থি-মাংস-মেদ-মজ্জা জীর্ণ করিয়া জঠরস্থ অঙ্গরসের মত আমাকে পরিপাক করিয়৷ ফেলিতেছ। এমন না হইলে ভালবাসা ? ২৫ ফেব্রুয়ারি। আজ সকালে হঠাৎ মালীটার সঙ্গে দেখা হইয়া গেল, তাহাকে গালাগালি দিয়া তাড়াইয়। দিয়াছি। মানুষের মুখ আমি দেখিতে চাই না। সমস্ত দিন কিছু আহার করি নাই। ভাল লাগে না— আহারে রুচি নাই। তা ছাড়া রান্নার হাঙ্গামা অসহ। গরম পড়িয়া গিয়াছে। মাথার ভিতরটা বা-ঝ। করিতেছে। কাল সারারাত্রি জাগিয়া ছিলাম। কিন্তু তাহাকে দেখিতে পাইলাম না । সে কাল আমার পাশে আসিয়া শুইয়াছিল। স্পষ্ট জহুভব করিয়াছি, তাহার অস্পষ্ট মধুর দেহ-সৌরভ আভ্রাণ করিয়াছি। কিন্তু তাহাকে ধরিতে গিয়া দেখিলাম শূন্ত— खप्रश्नंज्ञैौब्लौ S>(? কিছু নাই। জানি, সে আমার চোখে দেখা দিবার জন্ত, আমার বাছতে ধরা দিবার জন্ত আকুল হইয়াছে। কিন্তু পারিতেছে না। তাহার এই ব্যর্থ আকুলত আমি মর্শ্বে মর্শ্বে উপলব্ধি করিতেছি । মধ্যরাত্রি হইতে প্রভাত পৰ্য্যন্ত খোলা আকাশের তলায় পায়চারি করিয়াছি, সেও আমার পাশে পাশে বেড়াইয়াছে। তাহাকে বার-বার জিজ্ঞাসা করিয়াছি, কি করিলে তাহার দেখা পাইব ? সে উত্তর দেয় নাই— কিংবা তাহার উত্তর আমার কানে পৌছায় নাই। সকাল হইতেই সে চলিয়া গেল। মনে হইল, ঐ রক্তরাঙা শিমুল গাছটার দিকে অদৃপ্ত হইয়া গেল। চৰ্ম্মচক্ষে তাহাকে দেখিতে পাওয়া কি সম্ভব নয় ? ২৬ ফেব্রুয়ারি। না; রক্তমাংসের শরীরে তাহাকে দেখিতে পাইব না। সে সুক্ষলোকের অধিবাসিনী ; স্থূল মৰ্ত্ত্যলোক হইতে আমি তাহার নাগাল পাইব না। আমার এই জড়দেহটাই ব্যবধান হুইয়া আছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি । আহার নাই, নিদ্রা নাই। মাথার মধ্যে আগুন জলিতেছে । আয়নায় নিজের মুখ দেখিলাম । একি,সত্যই আমি—না আর কেহ ? আমি তাহাকে চাই, যেমন করিয়া হোক চাই । স্কুল শরীরে যদি না পাই—তবে— ? ২৮ ফেব্রুয়ারি । হা, সেই ভাল । আর পারি না । শিমুল গাছের যে-ডালট কুপের মুখে ঝুকিয়া আছে उॉङ्ॉ८ङ ७कछै। भफ़ि छैॉडांझेब्रांछ् ि। अॉछ जकTांश्च युथन তাহার আসিবার সময় হইবে—তখন— সখি আর দেরি নাই, আজ ফাগুনের সন্ধ্যায় যখন চাদ উঠিবে, তুমি কবরী বাধিয়া প্রস্তুত হইয়া থাকিও। তোমার রক্তরাঙা ফুলের থালা সাজাইয়া রাখিও । আমি আসিব । তোমাকে চক্ষু ভরিয়া দেখিব। আজ আমাদের পরিপূর্ণ মিলনরাত্রি--- 嶄 磷 鬱 বরদা আস্তে আস্তে ডায়েরি বন্ধ করিয়া বলিল,— এইখানেই লেখা শেষ ।