পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇD= মহাত্মা গান্ধীর উপবাসভঙ্গ একুশ দিন অনাহারে থাকিয় মহাত্মা গান্ধা যে নিধিয়ে উপবাস ভঙ্গ করিতে পারিয়াছেন, তাহ তাঙ্গার বাসীদের আনন্দের কারণ হইয়াছে । তাহাতে আহলাণিত হুঙ্গয়াছেন। এখন তিনি দীর্ঘজীবী হতীয় ভারতবর্মীয় স্বদেশবিদেশী আনেকে গু স্বস্ত শরীরে মানবের কল্যাণসাধনে ব্যাপৃত থাকিতে পারিলে আরও আনন্দের কারণ হুইলে । উপবাসভঙ্গের পর প্রথম প্রথম কয়েক দিন তাহার যেরূপ দৈহিক উন্নতি হুইতেছিল, সম্প্রতি তাহ না হওয়ায় কিছু উদ্বেগের কারণ ঘটিয়াছে। তিনি যদি কিছুদিন খবরের কাগজ ন। পড়েন, অন্য প্রকারেণ্ড তাহার নিকট বাহিরের খবর ন৷ পৌছে, এবং তিনি সম্পূর্ণ বিশ্রাম করিতে পারেন, তাহ হইলে তাহার বললাভে ব্যাঘাত ঘটবে না আশা করা যায় । ( ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ৯ই জুন । ) তাহার স্বাস্তোর পরবর্তী সংবাদ অপেক্ষাকৃত ভাল । মহাত্মা গান্ধীর অসাধারণত্ব কোথায় ? মহাত্মা গান্ধী একুশ দিন উপবাসের পরে ও জাবিত থাকায় সেই ঘটনাটিকে ‘ অলৌকিক” বলিয়া এবং তাহার অসাধারণত্বের প্রমাণ বলিয় তাহার অনেক ভক্ত বর্ণনা করিতেছেন। ইহাতে তাহাকে খাট করা হইতেছে । বৰ্ত্তমান বৎসরের আগে এবং বর্তমান বৎসরে মহাত্মাজীর সঙ্গে সঙ্গেও অনেকে একুশ বা তার চেয়ে বেশী দিন অনাহারে থাকিয় জীবিত ছিলেন ও আছেন। মহাত্মার্জ উপবাসের সময় যে প্রকার স্ববন্দোবস্তে ও পরিচয্যায় দক্ষ লোকদের শুশ্রধাধীন এবং প্রসিদ্ধ ডাক্তারদের পৰ্য্যবেক্ষণাধীন ছিলেন, ঐ সব উপবাসকারীরা তাহ ছিলেন না । সুতরাং উপবাসের দৈর্ঘ্যই যদি অসাধারণত্বের কারণ ও প্রমাণ হইত, তাহ হইলে ঐ সকল ব্যক্তি মহাত্মাজীর সমান, কেহ কেহ বা তার চেয়েও অধিক অসাধারণ বলিয়া * রিগণিত হইতেন। | . | মহাত্মাঞ্জীর উপবাস ও তাহার দৈর্ঘ্য তাহার অসাধারণত্বের কারণ ও প্রমাণ নহে । তিনি সে অসাপারণ মানুষ তাহ। নিঃসন্দেহু। তিনি অসাধারণ পুরুষ বলিয়াই উপবাস করিয়াছেন এরূপ কারণে ও উদ্দেঙ্গে, যেরূপ কারণে ও উদ্দেশে সচরাচর লোকের। উপবাস করে না। উপবাসের প্রধ। তাগে হুঙ্গতেই ছিল। সেই প্রথার অগুসরণ ও প্রয়োগ তিনি "সাধারণ রকমে করিয়াছেন । মহাত্মাজার অসাধারণ তাহার সাধন। ৪ চরিত্রে । তিনি, জগদ্ধিতাস" জগতের চিতাৰ্থ জীবন ধারণ করিতেছেন. কোন দুঃপকেষ্ট দুঃখ মনে করেন না, এবং নিজের জীবনের ব্রত পালনের জন্য মুত্ব ও জীবন উভয়কেই আলিঙ্গন করিতে সমভাবে প্রস্তুত আছেন । রাজনৈতিক এবং অন্য অনেক বিষয়ে তাহার বৃদ্ধিমত্ত ও বিচক্ষণতা ও অল্প লোকেরই তাহ আছে । কিন্তু এইরূপ বিষয়-সকলের প্রত্যেকটিতেঙ্গ তিনি অসাধারণ কি-না, সে-বিষয়ে মতদ্বৈধ আছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় এবং অন্য কোন কোন পরীক্ষায় পারদর্শিত অনুসারে কাহার স্থান কিরূপ হইল, তাহ জানিবার কৌতুহল অনেকেরই থাকে । পৃথিবীর মধ্যে বড় মনীষী, বড় লেখক, ইত্যাদি কোন দশ বিশ বা পচিশজন এবং তাহার। কে কার উপরে বা নীচে, এবম্বিধ প্রশ্নাবলীর উত্তরে তালিক প্রস্তুতও অনেক বার হইয়াছে । আমরা এই রকম সব ব্যাপারের ভিত্তীভূত কোন প্রকার মনোভাব লইয় “মহাত্মাঞ্জীর অসাধারণত্ব কোথায় ?” এ প্রশ্ন করি নাই । আমাদের উত্তরের যে আভাস দিয়াছি, তাহ ঠিক ন হইতে পারে। কিন্তু ইহা আমরা ধ্রুব সত্য বলিয় মনে করি, যে, তাহার অসাধারণত্ব বুজরুকি-জাতীয় কোন কিছুতে নহে, তিনি বুজরুক নহেন। প্রকৃত মহাপুরুষরা নিজেদের অসাধারণত্ব প্রমাণ করিবার জন্ত “অলৌকিক” শক্তির পরিচয় দিতে রাজী হন না। বর্তমান সময়েও অনেক বুজরুক ও কম সহে ।