পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 & থাকিয়া থাকিয় জোনাকি পোকা জলিতেছিল। মুখাঞ্জি কছিলেন, ‘চল নীল এবার ফেরা যাক্ । ‘চল |’ ফিরিবার পথে কিছুদূর আসিয়া একজন পথিকের সহিত মুখোমুখি হইল। লোকটি পথের একপাশে দাড়াইম্বা বিনীত কণ্ঠে কহিল, ‘আলে| এনে ধরব আপনাদের ? -অন্ধকার হয়ে গেছে।’ ‘কে তুমি ? আঞ্জে আমি হরিপদ । ‘ও, তোমার বাস বুঝি এইদিকে হরিপদ ? বেশ বেশ - থাকৃ, আলো আর ধরতে হবে না, এমনিই চলে যেতে পারব। হরিপদ কহিল, বাস আমার এই খুব কাছেই। আমার অনেক দিনের সাধ...এসেছেন যখন আপনার, একবার আমার ঘরে পায়ের ধুলো দিয়ে যান। বলিতে বলিতেই সে যেন কৃতার্থ হইয় গেল। “আচ্ছা আচ্ছা হবে, এদিকে আবার এলে আসা যাবে এক . সময়, আজ একটু রাত হয়ে গেছে কি-না ! নীলা কহিল, তা হোক গে, এতদূর এসেচি, উনি বলচেন, চল দেখেই যাই ।” মুখার্জি আমৃত-আমৃত করিম রাজি হইতেই হরিপদ ছুটিয়া আলো আনিতে গেল। নীলা কহিল, ‘এরই স্ত্রীর তখন অমুখের কথা শুনছিলাম না ? মুখার্জি কহিলেন, ‘হ , এই সে। আমিই এর চাকরি করে দিয়েছিলাম, তাই এ আমার খুব অনুগত। তাহার গলার আওয়াজটা নীলার কানে ভাল শুনাইল না, অহঙ্কারী মনের একটি গোপন দম্ভ যেন তাহার কানের ভিতর দিয়া অঙ্করে আঘাত করিল। আর কোনও কথা সে বলিতে পারিল না । আলো আনিয়া হরিপদ কহিল, ‘আকুন, আজ আমার সৌভাগ্য। পথ হইতে নামিয়া হরিপদর অনুসরণ করিয়া তাহারা উভয়ে একখানি পাতার ঘরের দাওয়ার পরে উঠিয়া আসিল । পাশাপাশি দুইখানি ঘর, একখানিতে টি টিল্ব করিয়া তেলের জালে৷ জলিতেছে। ভিতরে দারিদ্র্যের একটি করুশ ছায়া। হরিপদ কহিল, ‘আক্ষন এই ঘরে ? SOBO - দরজার ভিতরে একবারটি ঢুকিয়াই মিটার মুখার্জি কহিলেন, “আমি বাইরেই আছি, বুঝলে হরিপদ ? তোমার এই উঠোনটি বেশ, চমৎকার বাতাস। বলিতে বলিতে তিনি পুনরায় বাহির হইয়া আসিলেন। কাহারও বুঝিতে বাকি রহিল না যে, তিনি এই আতিথেয়তাকে এড়াইবার চেষ্টা করিতেছেন। কিন্তু নীল আসিল না । হরিপদর রুগ্ন স্ত্রী যেখানে গুইয়া আছে তাহারই কাছে গিয়া সে মেঝের উপরেই বসিয়৷ পড়িল । হরিপদ তাড়াতাড়ি আসন দিতে গেল, কিন্তু সে লইল না। শীর্ণ অস্থিচৰ্ম্মসার দেহ,--মেয়েটির বয়স বাইশতেক্টশের বেশী হইবে না। রূপ নাই, এবং সে যে কতখানি রূপহীন তাহ এই স্তিমিত দীপালোকে এই পর্ণকুটরের বুকচাপ। দারিদ্র্যের ভিতরে বসিয়া না দেখিলে বুঝা যায় না। সমস্ত মুখখানিতে ক্ষতের দাগ, বোধ করি কোনোদিন বসন্ত হইয়াছিল। সৰ্ব্বাঙ্গে কোথাও আভরণের চিহ্নমাত্র নাই, কেবল দুই হাতে দুইগাছি মাটির রাঙা রুলি। নিতান্ত জীর্ণ শয্যায় পড়িয়া মেয়েটি চোথ চাহিয়াই ছিল বটে, কিন্তু নবাগতাকে পাশে আসিয়া বসিতে দেখিয়া কোনরূপ সাড়াও দিল না, অভ্যর্থনাও করিল না। উনি কি আর জানতে পেরেচেন, চোখে যে দেখতে পান্‌ না। বলিয়া হরিপদ স্নিগ্ধ হাসিয়া স্ত্রীর কানের কাছে মুখ লইয়৷ গেল এবং উচ্চ কণ্ঠে কহিল, শুনচ, মা এসেচেন, আলাপ করবে না মা’র সঙ্গে ? মেয়েটি ব্যাকুল হইয়৷ এদিক-ওদিক মুখ ফিরাইল, বলিল, ‘कझे ? ‘এই যে। বলিয়া নীল কুকিয়া পড়িয়া একখানি হাত তাহার গায়ের উপর রাখিল, বলিল, “ম নয়, আমি বোন,— কেমন আছেন ? মেয়েটি ক্লান্ত হাসি হাসিল। অকৰ্ম্মণ্য জীবনের সহিত যাহার এতটুকুও পরিচয় আছে সে-ই জানে এ হাসির অর্থ কি ! নীলা জিজ্ঞাসা করিল, “কি অম্বখ হরিপদবাবু ? হরিপদ কহিল, "ঙ্কি-যেন একটা ইংরেজী নাম আছে, তার বাংলা নেই। এই ত আজ আট বছর হল। ‘আট বছর P—দুইটি শঙ্কাকুল চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া নীলা তাহার দিকে তাকাইল। ‘श, हे माषाफ न' वहब शव । भूद कडे शाद्व्हन,