পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসুন্দর-উপাখ্যানের মুসলমানী রূপ ঐচিস্তাহরণ চক্রবর্তী, এম-এ সম্প্রতি পল্লীসাহিত্যপ্রচারনিষ্ঠ অধ্যাপক মুহম্মদ মদম্বর উদ্দীন সাহেব শিরণী এই নাম ধিয়া পাবনা অঞ্চলে প্রচলিত একটি মুসলমানী রূপকথা স্বতন্ত্র পুস্তিকাকারে প্রকাশিত করিয়াছেন ঃ গল্পটির গ্রাম্য নাম বোধ হয় ‘স্বয়ঞ্জীর শাস্তর' । সক্ষেপে গল্পটি এইরূপ — এক দরজী এক বাদশাহের নিকট হইতে পাঁচশত টাকা মজুরী লইয়া একটি সুতার ময়ুর তৈয়ার করিল। সতী মার সতী ব্যাটা পৃষ্ঠে আরোহণ করিলে ময়ুর উড়িতে পরিবে—দরঙ্গ এইরূপ বললে বাদশাহ সতীর পুত্রের সন্ধান লোক পাঠাইলেন। কিন্তু সতীপুত্র পাওয়া গেল না। তখন বাদশাহের সদ্যোবিবাহিত পত্নী সোনালু বিবির গর্ভজাত সাত দিন মাত্র বয়সের রহিমকেই অগত্য সেই ময়ূরের পিঠে চড়ান হইল। দরজীর অলৌকিক ক্ষমতার বলে ময়ুর উড়িতে উড়িতে বহু উদ্ধে উঠিয়া গেল। দরজীয় নিষেধসত্ত্বেও বাদশাহ তাহাকে আরও উপরে উঠাইতে বলিলেন। ক্রমে ময়ুর চক্ষুর অগোচর হইয় গেল। এখন তাহাকে নীচে নামান স্বরঞ্জীর ক্ষমতার বাহিরে । তাই দরজী আর তাহাকে নামাইতে পারিল না । সাত দিন পরে সমুদের ওপারে ময়ূর নামিল। তথন সন্ধ্যা হইয়াছে তাই রহিৰ পাৰ্শ্ববর্তী গ্রামের এক ফুল বাগানে শুইয়া রান্ত্রি কাটাইল। পরদিন দেখা গেল-অনেকদিনের মরা বাগানে ফুল ফুটিয়াছে। মালিী সকালে ফুল তুলিতে গিয়া রহিমকে দেখিয়া অবাক হইয়া গেল । রহিম তাছাকে BBS BBBB BBBSSSBBBB BBBB BBBB BBB BBBB BBB BB তাহারই কুটীর আশ্রয় লইল। মালিণী বাদশাহের বাড়ি ফুল জোগাইত।

  • শিল্পী । দয়ঞ্জীর শাস্তর -অধ্যাপক মুহম্মদ মনস্কর উদ্দীন, এম-এ সংগৃহীত। কলিকাত, এম, সি, সরকার এণ্ড সঙ্গ ; পনের কলেজ থোয়ার । DBB BBBS DD BzSAYS 0D S

গ্রাম্য কৃথক বে ভাষায় এই রূপকথার আবৃত্তি করিয়াছে, সংগ্রাহক মহাশয় উহার পুস্তকে সেই ভাষার পরিবহন না করিয়া ভাষাতত্ত্বের আলোচনাকারদিগের ধন্যবাদভাজন হইয়াছেন । সাধারণ পাঠকও ভূমিকার নিদিষ্ট কতিপয় প্রাদেশিক শব্দের সাহায্যে ইহা পড়িয়া জামোদ পাইবেন সন্দেহ নাই। পুস্তকথানির মুদ্ৰণভঙ্গীর একটি বৈচিত্র্য লক্ষ্য করিবার বিষয় । আরবী ফারসী উদ্রর ধরণে বইখানি পড়িতে হয় ডান দিক হইতে বাম দিকে । এরূপভাবে বাংলা বই ছাপান অবগু এই প্রথম নছে—মুসলমানী বাংলায় লেখা বহু গ্রন্থ এইরূপ ভাবে মুদ্রিত হইয় মুসলমান সমাজে প্রচারিত হইয়াছে। তবে সে সব বই কেবল মুসলমান সমাজের মধ্যেই চলে—সাধারণ বাঙালীর নিকট তাহা আদেী পরিচিত নছে। অধ্যাপক মনস্থর উদ্দীন সাহেব বাংলা সাহিত্যে সাধারণ ভাবে এই রীতি প্ৰবৰ্ত্তন করিবার উদ্দেশ্বেই এইরূপ ভাবে পুস্তকখানি ছাপিয়াছেন কি-না তাহা বুধিবার কোনও উপায় নাই। ভূমিকায় তিনি এই মুদ্রণরীতি সম্বন্ধে কোন কথাই বলেন নাই এবং মদম্বর উদ্দীন সাহেবের মত লন্ধপ্রতিষ্ঠ যে সকল আধুনিক মুসলমান সাহিত্যকের লেখসম্ভারে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হইয়া উঠিতেছে তাছাদের ম.েJ অঙ্ক কেহ তাহাদের প্রকাশিত গ্রন্থে এরূপ রীতি অনুবর্তন করিয়াছেন বলিয়া আমাদের জানা নাই । বাদশাহ ঠাহার স্ত্রী উঞ্জীর এবং 'তোলাপতি কস্তা—এই চারজনকে সে মল দিত। এক দিন মাসকে অনুরোধ করিয়া রহম মালা গাঁথিবীর ভার লইল এবং তোলাপতি কস্তার মালা বিনাসূতায় গাথিরা উহার উপর নিজের নাম লিখিয়া দিল । কস্তা মল দেখিয়া মুগ্ধ হইল এবং তাহাকে ধাম ভরিয়া জিলাপী, মণ্ড. সন্দেশ ইত্যাদি অনেক দিল । মালিনীর বাড়ীতে মুতন কেই আসিয়াছে কি না জানিবার জন্ত অনেক পীড়াপীড়ি করায় অগত্যা মালিনী বলিল যে তাহার একট বোঝি আপিয়াছে। কস্তার অনুরোধে মালিণী তাছাকে বোনথিটি দেখাইতে স্বীকৃত হইল। ইতিমধ্যে একদিন রহম ময়ুরে আরোহণ করিয়া বাদশাহের বাড়ি ঘুরিয়া ফিরিয়া দেখিয়া আসিল । নিদিষ্ট দিনে মনোহর স্ত্রীবেশে সজ্জিত হইয়া রহিম মালিনীর সহিত তোলাপতির অন্দরমহলে প্রবেশ করিল এবং তাহার খাটের নীচে বসিয়া রহিল ৷ যথাসময়ে উভয়ের সাক্ষাৎ হইল i তোলাপতির বস্থ অনুরোধেও কিন্তু মালিনী তাহার বোণবিকে বাদশাহের বাড়িতে রাখিয়া যাইতে রাজী হইল না । এদিকে রহিম ময়ুরে চড়িয়া তোলাপতির অন্দরে যাওয়া-আসা করিতে লnগল । ক্রমে তোলাপতির গর্ভসঞ্চার হইল। তাহাকে প্রতিদিন ওজন করা হইত—তোলাদারের কাছে তাহার ওজনবৃদ্ধির সংবাদ পাইয়া বাদশাহ চোর ধরিবার জন্য কড়া পাহারার বন্দোবস্ত করিলেন । তোলাপতি ওজনবৃদ্ধি বিষয়ে বলিল—থাওয়া বেশী হওয়ায় এবং টক খাওয়ায় শ্লেষ্মার জন্ত শুiহার শরীর ভর হইয়াছে । পাহারাদার চোর ধরিবার জন্ত নুতন রকম মতলব আঁiয়া বাদশাহের দ্বারা হুকুম দেওয়াইল--রাল্লিতে কোন ধোপা কাপড় কাচিতে পরিব না । তারপর সে এক মণ তেল ও এক মণ পিন্মুর লইয়া তোলাপতি কস্তার মহলের থাম, বরগী এবং অন্তষ্ঠি সমস্ত জায়গায় মাথাইয়া দিল । রহিম রাত্রিতে যপন থাম বাহিয়া তোলাপতির মহলে নামিল তখন তাহার সমস্ত কাপড়-চোপড় সিন্দুরে রঞ্জিত হইয়া গিয়াছে । সে তৎক্ষণাৎ ধোপাবাড়ি গিয়া ধোপা এবং তাম্বার স্ত্রীকে সেই রাত্রেই তাহার কাপড় কাচিয়া দিবার জন্ত অনেক কাকুতি মিনতি কল্পিল এবং পাঁচশত টাকা বকশিস দিতেও রাজী হইল। অনেক কথা কাটাকাটির পর অর্থলোলুপ স্ত্রীর বিশেষ অনুরোধে অগত্যা ধোপা কাপড় কাচিতে লাগিল। কাপড় কাচার শব্দ শুনিয়া কোতোয়াল আসিয়া তখনই তাহাকে ধৰিল । রহিম কাছেই বসিয়াছিল। তাহাকেও গ্রেপ্তার করা হইল । বাদশাহের হুকুমে জল্লাদ রহিমকে দৃঢ়বন্ধনে বন্ধ করিয়া বধ্যস্থানে লইয়৷ গেল। তোলাপতি তেতলার ছাদে ছুরি হাতে দাড়াইয়া রহিল এবং রহিমের মৃত্যুসংবাদ পাইলেই সে আত্মহত্যা করিবে এইরূপ সঙ্কল্প করিল। এদিকে জল্পাদের রহিমের অদ্ভুত ময়ূরের কথা শুনিয় তাহার উপর চড়িয়া দেখিল এবং রহিমকে একবার চড়িতে অনুরোধ করিল। এই অবসরে রহিম চড়ির উপরে উঠিয়া গেল এবং ময়ূরের পাখার আঘাতে বাদশাহের বাড়ি ভাঙ্গিয়া কেলিতে লাগিল। তখন বাদসাহ কস্তার উপদেশানুসারে গলবস্তু হইয় যুজকরে উর্দষ্ট হইয়া প্রার্থনা করিতে