পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wooSe প্রমীলাকে চিনিত না, প্রমীলাও দাদাকে চিনিত না। অথচ এই অভয় সময়ের মধ্যে এই দুইটি মানুষ পরস্পরকে এত দূর আপনার করিয়া ফেলিয়াছে, যে, এখন এক জনের আদর্শনে জার এক জন থাকিতে পারে না। তাহাদের উভয়ের হৃদয়পদ্ম প্রেমের পর্শে ধীরে ধীরে দল মেলিতেছে। ইহার মধ্যে কোন প্রকার জোরজবরদস্তি নাই। এখানে নারী কিসের আকর্ষণে পুরুষের নিকট আত্মসমর্পণ করিল ? স্বতরাং দিবাকর যে নারীর দুর্বলতার কথা লিখিয়াছে, তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই । অৰে নারী যে মানসিক উৎকর্ষে পুরুষ অপেক্ষা হীন, এ কথা জামি কিছুতেই স্বীকার করি না। অবশু শেকস্পীয়র, মিলটন, কালিদাস, ভবভূতির স্থায় কোন কবি অথবা নিউটন, ডারউইন, হাৰ্ব্বার্ট স্পেন্সারের স্তায় বৈজ্ঞানিক নারীজাতির भाथा जग्रांब नाहे गङा, किरू ईशब्रा बेश्वब्रनख थङिडांलालौ মহাপুরুষ, ইহাদের কথা স্বতন্ত্র। আর এত কাল পুরুষজাতির মধ্যে জ্ঞানচর্চা আৰদ্ধ ছিল বলিয়া পুরুষেরাই সকল বিষয়ে উৎকর্ষ লাভ করিয়াছে । কিন্তু উপযুক্ত স্থযোগ পাইলে কোন কোন নারীও যে তাহাঁদের সহজাত প্রতিভার পরিচয় দিতে পারে, সাহিত্যক্ষেত্রে এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও তাহার অনেক পরিচয় পাওয়া গিয়াছে। মাদাম কুরী এক বার তাহার স্বামীর সঙ্গে পদার্থবিদ্যায় এবং আর এক বার একই রসায়নী-বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পাইয়াছিলেন। জেন ম্যাডামস শাস্তিস্থাপন চেষ্টার জন্ত ঐ পুরস্কার পাইয়াছেন। সেন্মা লাগেরলফ এবং প্রাৎসিয়া দেলেদা সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ পাইয়াছেন। সব রকম দৈহিক সামর্থেই যে সব মেয়ের পুরুষদের চেয়ে হীন, তাহাও সত্য নহে। যে সতর জন সাতার দিয়া ইংলিশ চ্যানেল পার হইয়াছেন, তার মধ্যে ছয় জন নারী । উচ্চশিক্ষিতা নারী যদি পুরুষের অধীনতা শৃঙ্খলে আবদ্ধ না হইয়া স্বাধীন বৃত্তি অবলম্বন করে, তাহাতে দোষ কি ? এতাবৎকাল পুরুষজাতি নিজেদের স্বর্থ-স্ববিধার জন্ত নারীকে সামাজিক আইন রচনা করিয়া অধীনতা-শৃঙ্খলে বাধিয়া রাখিয়াছে, নারী উচ্চশিক্ষা লাভ করিয়া এখন নিজের হীন অবস্থা বুঝিতে পারিয়াছে। পাশ্চাত্য জগতে অনেক मशैबगैौ नान्नैौ भूक्षनिब्रटनच रहेब निज निब ऐं★क्र६ब्र *ब्रिछद्र निम्न औयनवांबा निर्बाइ कब्रिटडरह्म । च्षयश्च

  • off-s: il of SO8ఠి

তাহাতে সকলস্থলে সন্তানপ্রসব, সন্তানপালমাদি গৃহধৰ্ম্ম হয় না ; তাহা নাই-বা হুইল ? সকল নারীই অবগু সংসারধৰ্ম্ম ত্যাগ করিবে না। অন্ততঃ কতক নারীও যদি অন্ত পথে যায়, তাহাতে সমাজের ক্ষতি কি ? বহুসংখ্যক পুরুষ ত সন্ন্যাসী হয়, কেহ কেহু ধর্থার্থ সন্ন্যাসী না হইলেও চিরকুমার থাকিয়া বিজ্ঞানচর্চ, মানবসেবা ইত্যাদি করিয়া থাকে। ভারতীয়া নারীদের মধ্যেও মানবহিতব্ৰতা চিরকুমারী নারীর একান্ত অভাব নাই। আমি এই সকল কথা লিখিয়া আর একটি প্রবন্ধ রচনা করিলাম। কিন্তু ইহাতে দিবাকর শর্শার সকল কথার জবাব দেওয়া হুইল না। স্বতরাং তাহ আমার নিকটেই রাখিলাম। দাদা তিন দিন শ্বশুরবাড়ি থাকিয়া বউকে লইয়া দ্বিরাগমন করিয়া আসিল। এবার প্রমীলা আমাদের বাড়িতেই স্থায়ী হইল। সে আমাকে বলিল,--“দাদার ইচ্ছ। আমি, ম্যাটি স্কুলেশন পরীক্ষাটা দিয়ে পাস করি। আপনার কি বলেন ?” আমি বলিলাম,--“আমার আবগুই মত আছে। দাদার কি মত তা তুই নিজে জিজ্ঞেস করলেই ত পারিস ?” প্রমীল একটু সলজ হাসির সহিত বলিল,-“র্তার অমত নেই, তবে মা'র মত হবে কি-না জানা দরকার ।” আমি বলিলাম,- “দাদার মত হ’লে মা’র অমত কেন হবে ? তুই ত আর স্কুলে পড়তে যাবিনে।" প্রমীলা বলিল,—“বাড়িতে কি পড়া হবে ? আমাকে কে পড়াবে ?” আমি বলিলাম,-—“কেন, নিজে নিজে পড়বি—আর যা নিজে না বুঝতে পারিস দাদা বুঝিয়ে দেবে।” প্রমীলা হাসিয়া বলিল,—“তা হয় না, তিনি তার নিজের পড়া নিয়েই যে-রকম ব্যস্ত, তার সময় হবে না।” আমি বলিলাম,—“কিন্তু তোর স্কুলে যাওয়ায় মা’র মত হৰে, না। তোর দাদা বুৰি তোকে স্থলে যেতে বলেছেন " প্রমীলা বলিল,-“ন, তিনি তা বলবেন কেন ? তবে তিনি বলছিলেন, এতদিন পরিশ্রম করে পড়ে শেষকালে পরীক্ষ। দেওয়া হ’ল না—দিতে পারলে ভাল হত ।” আমি বলিলাম,—“তোর দাদা বুঝি তোকে বাড়িতে পড়াতেন ?”