পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র । ज*ोंधोकाव्द ब्रॉब्र ভ2৫ র্তার শাসন ছিল বাহিক, স্নেহ ছিল আন্তরিক। অনেক শিক্ষক আছেন যার দূরত্ব রক্ষা করে ছেলেদের কাছে মান বাচিয়ে চলতে চান,--নিকট পরিচয়ে ছেলেদের কাছে তাদের মান বজায় থাকবে না এই আশঙ্কা তাদের ছাড়তে চায় না । জগদানন্দ একই কালে ছেলেদের মুহৃদও ছিলেন সঙ্গী ছিলেন অথচ শিক্ষক ছিলেন অধিনায়ক ছিলেন– ছেলেরা আপনারাই তার সম্মান রেখে চলত—নিয়মের অঙ্কবত্তী হয়ে নয়, অস্তরের শ্রদ্ধা থেকে । সন্ধ্যার সময় ছাত্রদের নিয়ে তিনি গল্প বলতেন । মনোজ করে গল্প বলবার ক্ষমতা তার ছিল। তিনি ছিলেন যথার্থ হাস্যরসিক, হাসতে জানতেন । তার তর্জনের মধ্যেও লুকোনো থাকত হাসি । সমস্ত দিন কর্মের পর ছেলেদের ভার গ্রহণ করা সহজ নয় । কিন্তু তিনি তার নির্দিষ্ট কৰ্ত্তব্যের সীমানা অতিক্রম করে স্বেচ্ছায় স্নেহে নিজেকে সম্পূর্ণ দান করতেন । অনেকেই জানেন ক্লাসের বাইরেও ছেলেদের ডেকে ডেকে তাদের লেখাপড়ায় সাহায্য করতে কখনই তিনি আলস্য করতেন না । নিজের অবকাশ নষ্ট করে অকাতরে সময় দিতেন তাদের জন্তে । কৰ্ত্তব্যসাধনের দ্বারা দাবি চুকিয়ে দিয়ে প্রশংসা লাভ চলে। কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠতাকে মূল্যবান বলেই লোকে জানে । দাবির বেশি যে দান সেটা কৰ্ত্তব্যের উপরে, সে ভালবাসার দান। সে অমূল্য. মাহুষের চরিত্রে যেখানে অকৃত্রিম ভালবাসা সেইখানেই তার অযুত। জগদানন্দের স্বভাবে দেখেছি সেই ভালবাসার প্রকাশ, যা সংসারের সাধারণ সীমা ছাড়িয়ে তাকে চিরস্থনের সঙ্গে যোগযুক্ত করেছে। আশ্রমে এই ভালবাসসাধনার আহবান আছে । নির্দিষ্ট কৰ্ম্ম সাধন করে তারপর ছুটি নিয়ে একটি ক্ষুত্র পরিধির মধ্যে নিজেকে বদ্ধ রাখতে চান ধারা, সে রকম শিক্ষকের সত্তা এখানে ক্ষীণ অস্পষ্ট । এমন

  • @一金

লোক এখানে অনেকে এসেছেন গেছেন পথের পথিকের মত । তারা যখন থাকেন তখনো তারা অপ্রকাশিত থাকেন, যখন যান তখনো কোনো চিহ্নই রেখে যান না । এই যে আপনার প্রকাশ, এ ন মেধয়া ন বছন শ্রতেন-- এ প্রকাশ ভালবাসায়, কেন-না, ভালবাসাতেই আত্মার পরিচয় । জগদানন্দের যে দান সে প্রাণবান, সে শুধু প্ৰতিপটে চিহ্ন রাখে না, তা একটি সক্রিয় শক্তি যা সৃষ্টিপ্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে যায়। আমরা জানি বা না-জানি বিশ্ব জুড়ে এই প্রেম নিয়তই স্বাক্টর কাজ করে চলেছে । কেবল শক্তি দান করে কৃষ্টি হয় না, আত্মা আপনাকে দান করার দ্বারাই স্থষ্টিকে চালনা করে । বেদে তাই ঈশ্বরকে বলেছেন, “আত্মদা বলদা” । যেখানে আত্মা নেই শুধু বল সেখানে প্রলয় । আমি এই জানি আমাদের আশ্রমের কাজ পুনরাবৃত্তির কাজ নয়, নিরস্তর স্বটির কাজ। এখানে তাই আত্মদানের দাবি রাপি । এই দানে সীমা নেই। এ দশটা চারটের মধ্যে ঘের-দেওয়া কাজ নয় । এ যন্ত্র চালনা নয়, এ অল্পপ্রাণন । আজ শ্রাদ্ধের দিনে জগদানন্দের সেই আত্মদানের গৌরবকে স্বীকার করছি । এখানে তিনি তার কর্মের মধ্যে কেবল সিদ্ধি লাভ করেন নি অমৃত লাভ করেছেন । কেন-না তিনি ভালবেসেছেন আনন্দ পেয়েছেন । আপনার দানের স্বারা উপলব্ধি করেছেন আপনাকে । তাই আজ শ্রাদ্ধবাসরে যে পারলৌকিক কৰ্ম্ম এটা তার পারিবারিক কাজ নয় সমস্ত আশ্রমের কাজ। বেঁচে থেকে তিনি যে প্রীতি আকর্ষণ করেছিলেন তাকে স্মরণ করে তার পরলোকগত আক্সার উদ্দেশে সেই প্রীতির অর্ণা নিবেদন করি । জাপ্রমে তার আসন চিরস্থায়ী হয়ে রইল *

  • পরলোকগত জগদানন্দ রায় মহাশয়ের শ্রাদ্ধবাসৱে মন্দিরে প্রদত্ত ৰক্ষতা ।