পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইহার পর প্রশ্ন উঠবে, বিশ্ববাণিজ্যের প্রগতির সহিত वीरः क्-छद्म शंचगंब्र शृश् ॰बिंबांबिब्र चटर्षंषि्ट्नव। गरीबउ श्रेष्ठ । नन-गनब्र बध्नब्र भूर्ल७ यांत्र उिन-कांद्र णक টাকার কুশিদ বস্ত্র, জেদী, আলজিরিয়া, টিউনিল, কট্টাটিনোপল, লিঙ্গাপুর প্রভৃতি স্থানে রপ্তানী হইত। এই রপ্তানী বাণিজ্যের সহিত ঢাকার ব্যবসারিগণের কোন সম্বন্ধ ছিল না। র্তাহারা স্ব স্ব উৎপন্ন মাল কলিকাতায় चवाडानौ ब्रथानैौशब cश~ानैौद्र निकले नगन मृगाश्चाक्षित्र চুক্তিতে পাঠাইতেন মাত্র। আজ চার-পাঁচ বৎসরের মধ্যে এই কুশিয়া বস্ত্র রপ্তানীর ব্যাপারে ঘোরতর বিপৰ্যয় ঘটিছে। সৰ্ব্বসমেত রপ্তানীর মূল্য এখন মাত্র ত্রিশ-চল্লিশ হাজার টাকায় জাসিয়া দাড়াইয়াছে ; অর্থাৎ ঢাকার কুশিদ বস্ত্রশিল্প এখন ধ্বংসপ্রায় হইয়া আসিয়াছে বুঝিতে হইবে। এই বিপত্তি নিরাকরণের জন্ত বেঙ্গল স্কাশনাল চেম্বারের সহায়তায় কোন ব্যবস্থা করা যাইতে পারে কি-ন৷ তাহাই আলোচনা করিবার জন্য ঢাকনিবাসী এক ব্যবসায়ী মহোদয় আমার সহিত সাক্ষাৎ করেন। আমরা এ-বিষয়ে যথাসাধ্য অনুসন্ধান করিতেছি। কিন্তু এই একটি মাত্র দৃষ্টান্তই বাংলার মফস্বলের ব্যবসায়িগণের পক্ষে পরম শিক্ষণীয় বলিয়া মনে হইবে। আমি ঢাকা শহরের এই ফুশিদ ব্যবসায়ীর রপ্তানী বাণিজ্য বিষয়ে অজ্ঞতা দেখিয় যুগপৎ বিস্থিত এবং হতাশ হইয়াছি। তাঁহারই মুখে শুনিয়াছি যে, তিনি কয়েক দিন পূৰ্ব্বে ব্রিটিশ ট্রেড কমিশনারের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া এ-সম্বন্ধে আলোচনা করেন, এবং কেন বিগত কয়েক বৎসর বিভিন্ন দেশে ‘কুশিদার আমদানী হ্রাস পাইয়াছে সে-বিষয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করিলে, ট্রেড কমিশনার স্পষ্ট জবাব দেন যে, বর্তমান যুগে ষে-ব্যবসায়ী বিশ্ববাণিজ্যের অবস্থা সম্বন্ধে এরূপ উদাসীন থাকিবে, তাহার পক্ষে ইহাই অনিবাৰ্ষ্য শাস্তি। ঢাকার কুশিদা বন্ত্রের চাহিদা হ্রাস একদিনে হয় নাই, ক্রমে ক্রমে হইয়াছে। যখনই চাহিদা হ্রাস হইতে আরম্ভ করিয়াছিল, তখনই ঢাকার ব্যবসাধিগণ অনুসন্ধান করিতে পারিভেন উহার কারণ কি। যে-সকল দেশে, মাল রপ্তানী হুইত সেখানে শুদ্ধবুদ্ধি হইয়াছে, কি, লে দেশের লোকের কচি পরিবর্তন ঘটিছে। কারণ জানিতে পারিলে নিয়াকরণের উপায় নির্ধারণ করিতে পারা যায়–অন্ততঃ চেষ্টা করা যায়। জিটিশ ট্রেড কমিশনারের উক্তি অর্থহীন নয় । >Эве বাংলার মফঃস্বল ব্যবসায়িগণের যোগস্থত্র স্থাপনের উপায় কি ? আমার মনে হয়, ইহার একমাত্র উপায় ব্যবসায়িগণের সংহতি এবং কলিকাতার কোন কেন্দ্রীয় ব্যৰসারসংঘের সহিত তাহার সংযোগস্থষ্টি । কলিকাত অস্তবাণিজ্য এবং বছিবাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। সেখানেই এই ব্যাপারের সকল তথ্য সংগ্ৰহ, মতামত প্রকাশ এবং রীতিপদ্ধতির আলোচনা করিবার জন্য ব্যবস্থা ও স্বযোগ রহিয়াছে—স্বতরাং বাংলার ব্যবসায়শিল্পের প্রসারের উপায় কলিকাতাকে কেন্দ্র করিয়াই করিতে হুইবে । বাংলার প্রত্যেক জেলাকে কেন্দ্র করিয়া যদি ব্যবসায়িগণের সঙ্ঘ স্বষ্টি হয় এবং সেই সজাগুলি যদি কলিকাতায় প্রাদেশিক কেন্দ্রীয় সঙ্ঘের সহিত সংযোজিত থাকে, তাহা হইলে অনায়াসেই সমগ্র বিশ্বশক্তির সহিত যোগ স্থাপন সম্ভব হইতে পারে। প্রতি বৎসরে কোন কেন্দ্রস্থানে সমস্ত বাংলা দেশের ব্যবসায়িগণের একটি সম্মিলন করা যায় কি-না, এ-বিষয়ে বেঙ্গল স্কাশনাল চেম্বার অফ কমাস চিন্তা করিতেছেন। আমার মনে হয় এরূপ একটি সম্মিলনের বিশেষ প্রয়োজন আছে। এখানে নানা স্থানের ব্যবসায়ীর সমবেত হইয়া পরস্পরের সহিত সন্মিলিত কাৰ্য্যপ্রণালীর আলোচনা করিতে পারেন এবং তৎসঙ্গে বাণিজ্য-সম্পৰ্কীয় নানারূপ সমস্যার সমাধানেরও চেষ্টা হইতে পারে। বিভিন্ন স্থানে নানারূপ রাজনৈতিক সন্মিলনের ফলেই আজ দেশে এরূপ রাজনৈতিক জাগরণ আসিয়াছে। ব্যবসাক্ষেত্রেও আমাদের এইরূপ জাগরণ আনিতে হইবে, তাহা না হইলে আমাদের বর্তমান হীন অবস্থা শীঘ্র নিরাকরণের আশা নাই। এই প্রকার সংহতি, পরস্পর যোগাযোগ স্থাপনের সম্ভাবনীয়তা সম্বন্ধে আমি দু-একটি কথা বলিতে চাই। বাংলার মফঃস্বলে এখনও যে শিল্পব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে, দেশের অর্থনৈতিক সংস্থানে তাহাকে কখনও উপেক্ষা করিলে চলিবে না। বস্তুত: সমগ্র দেশের পক্ষ হইতে বিবেচনা করিলে, কৃষির সহিত ইহাদিগকেও মফঃস্বল বাংলার আর্থিক মেরুদণ্ড বলিয়া মনে করিতে হুইবে । সেই কারণে ইহার বাসভব উন্নতি সাধন করিবার জন্য আমাদিগকে,কর্মতৎপর হইতে হইবে। উদাহরণস্বরূপ, কালা পিত্তল ভাষা