পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্যই স্বনিতি প্রচেষ্টার আবস্তক। আজ এই পরিবর্জনয় । সূচনাকালে বাঙালীর শিল্পৰাণিজ্যে কোন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হইলে তাহার বিমুখতা আরও বৃদ্ধি পাইবে এবং সে বিমুখত যে বাঙালী জাতিকে ধ্বংসের দিকেই লইয়া যাইবে তাহাতে অনুমাত্র সন্দেহ নাই। আমি এখন আপনাদিগকে ব্যবসায়শিল্পে বাঙালীর হীনাবস্থা ইদানীং কিরূপ প্রকট হইয়া উঠিয়াছে, সে-সম্বন্ধে কয়েকটি প্রমাণ দিতেছি । ১৯৩১ খৃষ্টাব্দের আদমসুমারীতে জীবিকার্জনের উপায় অনুসারে বাংলার অধিবাসিগণের যে সংখ্যা বিভাগ করা হইয়াছে, ১৯২১ খৃষ্টাব্দের অনুরূপ সংখ্যাপাতের সহিত তাহার বৈষম্য লক্ষ্য করিলে বিশেষ উদ্বেগের স্বষ্টি করিবে । আমি মাত্র কয়েকটি সংখ্যার উল্লেখ করিতেছি । (শতকরা হিসাব } 3333 》iいる》 weby ot, տ Հ* by"Ця в

  • : ՖՀ

s"83 কৃষি এবং পশুপালন খনিজ ধাতুসংগ্ৰহ णिअ-थछिछेोन १jन-सृश्नि ব্যবসায়বাণিজ্য ভূত্যোচিত কাৰ্য্য 는 8 বিশেষ কোন জীবিকার্জন ব্যবস্থার অভাব ২৮৮

홀" 를 &*33 や"8マ。 e ‘gor 3 S): মাত্র দশ বৎসরের মধ্যে বাংলায় জীবিকার্জনের উপায় সম্বন্ধে যে পরিবর্তন ঘটিমাছে তাহাতে বাঙালীর অবস্থার কিরূপ দ্রুত অবনতি ঘটিতেছে তাহ উপলব্ধ হইবে। ১৯২১ খৃষ্টাব্দের তুলনায় ১৯৩১ খৃষ্টাব্দে বাংলায় ব্যবসাক্ষিগণের যে সংখ1 বৃদ্ধি হইয়াছে তাহাও সম্যক পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে নিরুৎসাহ হইতে হয়। এ বিষয়ে ১৯৩১ খৃষ্টাব্দের আদমসুমারীতেই বিবৃত রহিয়াছে যে, যে-সকল ব্যবসায়ে বাঙালী ব্যবসায়ীর সংখ্যার বৃদ্ধি হইয়াছে তাহার অধিকাংশই অপ্রধান। বস্তুতঃ পাটবাবলাম্বিগণের মধ্যে ১৯২১ হইতে ১৯৩১ খৃষ্টাব্দের মধ্যে ১৬,৮৬০ হইতে ৩,৮৯৮-এ সংখ্যা হ্রাস ঘটিয়াছে। বর্তমান ব্যবসায় মন্দা এই সংখ্যা-হ্রাসের অন্ততম কারণ হইলেও এ-কথা সত্য যে, ইহা বাঙালীর পাটব্যবসায় হইতে স্থানচ্যুতির পরিচায়ক। উক্ত আদমকুমারীতে বাংলার কুচীরশিল্পগুলি কিঙ্কণ ক্রমশঃ ধ্বংসের মুখে পতিত হইতেছে তাহু বিস্তৃত ব্যবসায়-ক্ষেত্রে বাঙালী ৰণিত হইছে। বাংলার রেশম শিল্প, সতরঞ্চি বন প্রকৃতি এখন সংশয়াপন্ন অবস্থায় উপনীত হইয়াছে। ** বাঙালার এই চরম দুৰ্গতিতে যে জীবনরক্ষার সমস্ত ঘোরতর হুইয়া উঠিয়াছে, তাহাতে এই প্রশ্নই মনে উদয় হয় যে, সম্প্রতি বাঙালীর বিমুখত দূর করিবার চেষ্টা সত্বেও তাহার পক্ষে ব্যবসায়ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়া সম্ভবপর হইতেছে না কেন ? আমার মনে হয় যে, ইহার অন্ততম মুখ্য কারণ হইল বাঙালী ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের ব্যাপক দৃষ্টি এবং স্বনিতি উদ্যমের অভাব। বাঙালী ব্যবসায়ী এতদিন তাহার সঙ্কীর্ণ কর্ণকেন্দ্রে বসিয়া যে জড়ত্ব প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাহা হইতে মুক্তিলাভ করিতে হইবে। নতুবা পুনরায় শক্তিসঞ্চয়ের সম্ভাবনা তাছার পক্ষে স্বদরপরাহত। বৰ্ত্তমানে সৰ্ব্বদেশে ক্ষুদ্রবৃহৎ-নিৰ্ব্বিশেষে সকল ব্যবসায়শিল্পই পৃথিবীব্যাপী অর্থ নৈতিক প্রভাবের দ্বার প্রভাবান্ধিত হইতেছে । এই প্রভাবের প্রগতি সম্বন্ধে উদাসীন থাকিলে কোন ব্যবসায়শিল্পই এখন আত্মরক্ষায় সক্ষম হইবে না । এই বিশ্বশক্তি এখন নানারূপে আত্মপ্রকাশ করিতেছে। এক দিকে যেমন উন্নততর শিল্পোৎপাদন ব্যবস্থার মধ্য দিয়া ইহার প্রকাশ দেখা যাইবে তেমনি বিভিন্ন দেশের গুৰু ব্যবস্থা, অর্থবিনিময় নিয়ন্ত্রণ, যান-বাহন ব্যবস্থা ইত্যাদির মধ্য দিয়া ইহার প্রভাব অভিব্যক্ত হইতেছে। যাহার এক্ট বিশ্বশক্তির দৈনন্দিন প্রগতির দিকে লক্ষ্য রাখিয়া আত্মরক্ষার প্রচেষ্টায় আবৃতি হইবেন, তাহারাই ইহার সংঘাত প্রতিরোধ করিতে সক্ষম • হইবেন । যাহার এ বিষয়ে উদাসীন ও নিশ্চেষ্ট থাকিৰে তাহাঙ্গের পক্ষে ধ্বংস অবগুম্ভাবী । এষ্ট সংযোগের অভাবে বাঙালীর ব্যবসায়শিল্পে কিরূপ অনর্থ ঘটিতেছে দু-একটি দৃষ্টাত্ত হইতেষ্ট আপনার তাহ সম্যক উপলব্ধি করিবেন। আঞ্জ মাত্র একমাস কাল পূৰ্ব্বে ঢাকা শহরনিবাসী এক ‘কুশিদ বস্থব্যবসায়ী কলিকাতায় আমার সহিত সাক্ষাৎ করেন। তাহার নিকটেই আমি প্রথম জানিতে পারি যে, ঢাকায় মাত্র দশ-পনর বংসর পূৰ্ব্বেও 'মসলিন' এবং ‘কুর্শিদা বস্ত্র বিক্রয় বিশেষ লাভজনক ব্যবসায় ছিল। ঢাকা শহরের সন্নিকটস্থ গৃহস্থ পরিবারের মহিলাগণ অবসর সময়ে মহাজনের নিকট হইতে প্রাপ্ত বস্ত্রখণ্ডের উপর রেশমী স্বতী দ্বারা नका बैंकिग्रा ७lहे ‘कूलिन' बग्न अंग्लङ कब्रिाउन । dरेकरण