পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিন ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিল । क्लेजुङ क्लिो তাহাকে বলিতে হইল না। কিন্তু ৰে কথাটি সব চেয়ে আজ তাহার বেশী বলিবার, বারেবারেই গলার কাছে জাসিয়া তাহ বাধিয়া গেল। চারিপাশের পরম নিশ্চিন্ত জীবনযাত্রা, তাহার মধ্যে ঐ একটিমাত্র কথাই কিছুতেই কেমন খাপ খাইতে চাহিল না। মনের মধ্যে অন্ধকারের সঙ্গে অজয়ের দীর্ঘ দিনব্যাপী সংগ্রাম এবং সে সংগ্রামের শেষে তাহার আজিকার এই জয়লাভ, যেন অজয়েরই কাছে অভাবনীয়। পৃথিবীর আর কোথাও হইতে তাহার ঠিক মূলটি সে পাইবে না। কহিল, “স্বভজের কথা যে একবারও বল্ছ না ? তার কি খবর ?” বিমান কহিল, “এই ক'দিন কিছু-না-কিছু একটা নিয়ে সে এত অস্থির ছিল, যে সব দিন তার সঙ্গে দেখাও হয়নি আমার ।” অজয় কহিল, “রিহাসলি চলছে ?” বিমান কহিল, “উহু । আমার একটা মোটা মতন পাট ছিল, কিন্তু শেষ অবধি আমি করব না বলতে সব ভেস্তে গিয়েছে।” অজয় বলিল, “তুমিও পার্ট নিয়েছিলে নাকি ? নিয়েছিলে যদি ত করলে না কেন ?” বিমান বলিল, “আমি বলেছিলাম টাকাই যদি নিতে হয় ত তার ভাগ অভিনেতাদের দেওয়া হোক্, অন্তত যারা চাইবে তাদের। এদেশে সবরকম কুকার্ধ্যের দাম আছে, সে দাম দিতে বা নিতে কেউ লজ্জা পায় না। কিন্তু যত দোষ আর্টের । ছবি-সাকিয়েরা লিখিয়ের, গাইয়ের অভিনেতারা অন্তদের মনোরঞ্জন করবে, কিন্তু নিজের ছুবেলা পেট ভরে খেতেও পাবে না, এ নিয়ম খাটবে না। আমার দলে যে একজনকেও পাইনি, তা বুঝতেই পারছ।” অজয় কহিল, স্বভত্র খুব চটেছে তোমার ওপর ?” বিমান কহিল, “ও কি কখনও কারো ওপর চটে? চটতে হলে দরদ খাৰণ চাই। সেই জিনিষটির ওর মধ্যে অতি মারাত্মক অভাব I* - একটুক্ষণ চুপ করিয়া কাটিলে পর অজয় কহিল, তারপর অভিনয় করে কিছু রোজগার করতে ত পেলে না, ছবিটবি বিক্রী হচ্ছে ? কি করে চলছে তোমার ?” બુલન وی بع বিমান কহিল, “আমার দিন যেমন করে চলে। আমাজ ভাণ্ডার আছে ভরে, তোম-লবাকার ঘরে ঘরে। কিন্তু সে বিদ্যা তোমার ত আত্মত্ত নেই, তোমার দিন ব্ধি করে চলছে ?” 婚 অজয় একটু ইতস্ততঃ করিয়া বলিল, “বই বেচে ।” বিমান কহিল, “দোকান করেছ ?” অজয় হাসিয়া কছিল, “হ্য, দোকান করবারই মত অবস্থা বটে।” বিমান কহিল, “তবে কি ফেরি ?" অজয় কহিল, ‘ত, ফেরি বলতে পার, তবে তুমি যা ভাবছ, তা নয়। কলেজের টেকৃষ্টগুলো বইয়ের দোকানে বিক্রী করে করে চালাচ্ছি!” বিমান অকস্মাং অনেকখানি উৎসাহ প্রকাশ করিয়া প্রায় চেচাইয়া উঠিল, কহিল, " পুরনো বই বেচে সত্যি এতদিন চালান যায় ? আশ্চৰ্য্য, কথাটা আগে কখনও ভাবিনি। বাড়ীতে আমার কতগুলো পুরনো বই পড়ে আছে এখনও যেন, কিন্তু পরক্ষণেই একেবারে বিমর্ষ গম্ভীর হইয়া গেল। কহিল, “ঢের হাটা হয়েছে, এবারে চল একটা বাসে কিম্বা ট্রামে উঠি । ট্রামগুলোই ভাল এ পাড়ার, কপালজোর থাকে ত সুনরী শ্বেতাঙ্গিনী দু-একটির দেখা পাওয় যেতেও পারে ।” অজয় কহিল, “সেইটেই কি আসল দরকার না, সত্যি সত্যি কোথাও যাওয়ার মতলব আছে ?” 變 বিমান কছিল, “আসল দরকার কোনটা জানি না, তবে তোমার বৌবাজারের বাড়ীটাতে একবার যেতে চাই সেটা ঠিক ।” অজয় কহিল, “কি হবে সেখানে গিয়ে ?” বিমান কছিল, “কেবল বইগুলোই বেচেছ না আর য-কিছু ছিল সবই ঐ করে গেছে দেখে আসব।” অজয় কছিল, ‘ল, এতদূর এখনো নামিনি।” বিমান কহিল, “নামনি, নামূবে শীগগিরই। সময় থাকতে থাকতে সেগুলোকে উদ্ধার করে আনা বাৰু, তারপর তুমিও এল। নয়ত গতিক যা দেখছি, কোনদিন নিজেকে শুদ্ধ বেচে দিয়ে ৰসে থাকবে ।” चजब दनिण, “cनüों कब्रटड *ांब्रtण भना छुड न, अकड: