পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন জীবনকেই কামনাবাকো আঁকড়ে করতে হবে স্বাভাবিক চিন্তাকে, স্বাভাবিক বুদ্ধিকে, স্বাভাবিক বিচারকে । তোমাকে খুব বেশী শক্ট করে দেওয়া আমার অভিপ্রায় নয়, নয়ত বলতাম, লে অবস্থায় প্রয়োজন হলে রেস্ও খেলতে হবে এবং দ্রাক্ষরসে অরুচি থাকলে চলবে না।” বিমান তাহার কথা ভাল করিয়া না বুঝিয়াই তর্ক স্বরু করিয়াছে, ইহা হৃদয়ঙ্গম করা সত্ত্বেও ছাড়িয়া দেওয়া চিন্ত-স্থত্রের খেই আবার কুড়াইয়া লওয়া অজয়ের কঠিন হইল। সে কহিল, “মাজ অন্ততঃ অরুচির পরিচয় আমি কিছু দিচ্ছি না। গেলাসটা আবার ভরে দাও।” ইহার পর আরও এক ঘণ্টা ধরিয়া উচ্ছ্বসিত ভাষায় একই প্রসঙ্গের আলোচনা চলিল। দুইজনেরই মনের চারিপাশ হইতে সমস্ত প্রকার বাধার আড়াল ক্রমে ক্রমে ধসিয় যাওয়াতে এমন সমস্ত-গভীর উপলব্ধির কথা প্রকাশ পাইল, যাহার সঙ্গে ইতিপূৰ্ব্বে নিজেদেরও তাহদের পরিচয় ছিল না। আজ তাহাদের ভয় রহিল না, ভিতরের এবং বাহিরের কোনও জুজুর শাসনকে আজ তাহারা মান্ত করিল না। আজ কয়েকটি মুহূৰ্ত্ত তাহারা মুক্ত হইয়া বাচিল। ক্রমে কথায় অসংলগ্নতা দেখা দিল, বিষয় হইতে বধয়ান্তরে তাহদের আলোচনা আগুনের মত সঞ্চরণ করিয়া ফিরিতে লাগিল। কিন্তু তাহদের অভিভূত মনের মুখেও তাহদের দেশ সারাক্ষণ জাগিয়া রহিল। বিমান চরদিনের মত আজও এই বলিয়৷ শেষ করিল, যে একটা তেভাগ দেশে তাহারা জন্মিস্থাছে, সে দেশের কোনও মিস্ত কোনওদিন মিটবে না। শুধু শুধু তাহা লইয় গবিয়া কি হইবে ? অতএব— বিমানের কথার শেষের দিকৃটা অজয়ের কেমন যেন গনে পৌছিল না। হঠাৎ মনে হুইল চোখের সম্মুখে সব কিছু ঘন নৃত্য করিয়া বেড়াইতেছে। শরীরটাও ঠিক স্বস্থ বাধ হইতেছে না। যেন গুইতে পারিলে ভাল বোধ হইত। ७थन ७ प्रङ कृ८छ,” यजिब्राहे ऐीव्र अश्लिल । বিমান বলিল,“গাড়াও, বিলের টাকাটা দিয়ে নাও আগে।” অজয় বলিল, “বয়কে ডাক।” বয় বিল লইয়া আসিলে, গছার পাওনা চুকাই দিয়া অজয় বলিল, "এবারে চল, tার বলতে শুদ্ধ পাচ্ছি না, শরীর খারাপ লাগছে ।" مة ج حسديرا و ج পৃদ্ধগ 6 في سوا বৌবাজারের বাড়ীটাতে, অন্ধকারে শিথিল কম্পিত" হস্তে তালতে চাবি চুকাইতে গিয়া, পায়ে ৰিলের একটা बैङण व्युँ अष्ट्रङरु रुबिन्न । cघ्राण इहेटङ उच्न। यिप মেহের ঘোর কতকটা কাটিয়া গেল। আতঙ্কে এক পা পিছাইয়া গিয়া জড়িতম্বরে বলিল, “কে ?” অন্ধকার নড়িয়া উঠিল, উত্তর হুইল, নন্দ ।” তাহাকে কিছু ন বলিয়াই অজয় সোজাসুজি বিছানায় গিয়া গুইয়া পড়িল । নন্দ একটু অবাক হইয় তাহার পায়ের কাছে বিছানার এক কোণে জড়সড় হইয়া বসিল । সন্তপণে তাহার পায়ে হাত রাগিয়া বলিল, “অজয়ণ, মসৃপ করেছে কিছু ?” তন্দ্রার মধ্যেও অজয়ের মনে পড়িল, সে মাতাল । দেবশিশুর মত নিষ্পাপ এই ছেলেট, দুঃখের আগুনে বারংবার যাহার অগ্নিশুদ্ধি হইয়া গিয়াছে, সে অঞ্জয়ের চরণস্পর্ণ করিতেছে। সবেগে সে পা সরাইয়া লইল । নন্দ বলিল, “কি হয়েছে অজয়দা ? কেন এমন করছেন ?" অজয় কেবল বলিল, “কিছু হয়নি।” ইহার পর অস্পষ্ট করিয়৷ অসুভব করিল, কাতর, ভয়াকুল দৃষ্টিতে নন্দ তাহার মুখের দিকে তাকাইম আছে । একবার সে বলিল, “ডাক্তার ডাক্ব কি ?” অজয় আতঙ্কিত হইয়া কহিল, “ন, না কাউকে ডাকতে হবে না। বলছি ত কিছুষ্ট হয়নি।” তারপর আবার মোহুের ঘোর তাহার। চৈতন্যকে ঘিরিয়: আসিল । নন্দ বসিয়াছিল, উঠিয়া পড়িল। আজ এতদিন ধরিম এই মুহূৰ্ত্তটিরই প্রতীক্ষায় কি সে হাসিমুখে এত দুঃখ ভোগ করিয়াছে ? দুঃখের মূল্য দিয়া অজয়ের যে দ্বিগুণিত লৈকে সে পাইবে আশা করিয়াছিল তাছার পরিচয় কি এষ্ট ? বিকালে পাচটায় সে ছাড়া পাইয়াছে, তাহার পর হুইতে অজম্বের জন্ত পথ চাহিয়া রাত এগারোটা অবধি সে কাটাইয়াছে । তাহার এত আগ্রহ ভর পথ চাওয়ারও কি এই পুরস্কার ? অজয় শিরে হাত দিয়া তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করে নাই, এমন কি একবার জানিতেও চাহে নাই সে কেমন আছে, কোথায়, কোন অবস্থায় এতদিন সে ছিল।

  • আমি