পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Psilof গীতের সংরক্ষণে ও ইহার নবীন বিকাশে ইহারা অনেক কছু করিয়া গিয়াছেন। নূতন অনেক জিনিসও ইহার স্বষ্টি pরিয়া গিয়াছেন । খেয়াল আমীর খুসরেীয়ের স্বষ্টি বলিয়। পরিচিত ; তানসেন স্বয়ং কতকগুলি প্রাচীন রাগের নূতন রূপ দিয়াছেন, যেমন মল্লার রাগের নূতন রূপ তাহার নাম অনুসারে ‘মিল্পী-কী-মল্লার' নামে পরিচিত, এবং দরবারী কানড়া’ নামে নবীন রাগও র্তাহার স্বই। কিন্তু মুখ্যতঃ ইহার সংরক্ষকই ছিলেন—প্রাচীন সঙ্গীতের প্রতি ইহঁাদের অনুরাগ এযং প্রাচীন ধারাকে অবিকৃত সাধিবার প্রয়াস ইতাদের মধ্যে না থাকিলে আমাদের হিন্দু যুগের বা মধ্য-যুগের সঙ্গীত যতটুকু রক্ষিত হইয়াছে ততটুকুও হুইত না । প্রসঙ্গতঃ বলা যাইতে পারে যে ধ্রুপদ সঙ্গীত নিছক প্রাচীনের সংরক্ষণ বা অন্ধ অনুকরণ-মান ছিল না । তাঙ্ক। ফুলে ধ্রুপদ এতদিন এ ভাবে টি-কিয়া থাকিতে পারিত ম। এখনও বহু বহু ব্যক্তি ধ্রুপদে যথেষ্ট্র আনন্দ পান, এবং ইংtয়া সকলেই পেশাদার ওস্তাদ বা শিক্ষিত কলাযস্ত মহেন—‘গোল লোক’ও ইহাদের মধ্যে আছেন । সধারণের নিকট ‘কলাবস্তু-সঙ্গীত’ আজিকাল ততটা প্রিয় নহে–কিন্তু ইহার আলোচনা ও উপযুক্ত সমাদর শিক্ষিত সমাজে এখন বাড়িতেছে বলিয়াই মনে হয়। ধ্রুপদ সঙ্গীতে এখনও যে নূতন হষ্টি হইতে পারে ও হইয়া থাকে, তাহার উদাহরণ-স্বরূপ, কিছুকাল পূৰ্ব্বে সঙ্গীতরত্নাকর ত্রযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় মহাশয় মহাত্মা গান্ধীর বিগত উপবাস উপলক্ষে যে “রাগ গান্ধী’ নাম দিয়া অতি মনোহর নূতন একটী রাগ বা স্বর স্বষ্টি করেন, তাহার উল্লেখ করা যাইতে পারে ( এই রাগ গান্ধী ও তদানুষঙ্গিক ব্রজভাষা‘হিন্দীতে রচিত বাণী গত বৎসরের অগ্রহায়ণ মাসের প্রবাসী'তে স্বরলিপি সমেত প্রকাশিত হইয়াছে—হিনী "বিশাল ভারউ’ পত্রিকায়ও ১৯৩২ সালের ডিসেম্বর মাসের সংখ্যায় বাহির হইয়াছে )। এইরূপ নূতন রচনা-দ্বারা আর কিছু না হউক, ধ্রুপদ সঙ্গীত যে একেবারে মরে নাই তাঁহা প্রমাণিত হয়। মৃত বা.অচপ্রলিত সঙ্গীতপদ্ধতি বলিয়া ধ্ৰুপদের আদর বা চর্চা বন্ধ করা, মৃত-ভাষা বলিয়া সংস্কৃত, পালি, প্রাকৃত যা গ্ৰীক লাটিন প্রভৃতির কবি তানসেন $సి অনাদর করা বা এগুলির চর্চা বন্ধ বা অসুচিত ভাবে সীমাবদ্ধ করারই মত হুইবে । সৌভাগাক্রমে সম্রাট আকবরের সহিত তানসেনের সম্মিলন ঘটিয়াছিল বলিয়। তানসেনের জীবনী বা জীবনের আকবর, তানসেন ও হরিদাস স্বামী দুই চারিট ঘটনা সম্বন্ধে আমরা কিছু সংবাদ পাই । আকবর ও জাহাঙ্গীরের সময়ের চিত্রশিল্পে তানসেনের প্রতিকৃতি অঙ্কিত হুইয়াছিল । জাহাঙ্গীরের সময়ে অঙ্কিত দুই চারিখানি মোগল-চিত্রে ভানসেনের ছবি পাওয়া যায় । এইরূপ একখানি চিত্রে তানসেনের মূৰ্ত্তির পাশে ফারসী অক্ষরে তাহার নামও লেখা আছে। ভানসেন একটু খৰ্ব্বকায় কালে চেহারার মানুষ ছিলেন, মুখে অল্প একটু গোফ ছিল । একখানি ছবিতে উপবিষ্ট জtহাঙ্গীরের সামনে তানসেন দণ্ডায়মান—জাহাঙ্গীর যখন যুবরাজ, তখনকার কোনও দিনের ছবি ; জাহাঙ্গীর তানসেনের গুণের প্রশংসা করিরা লিখিয়া গিয়াছেন। আর একখানি চিত্রে জাহাঙ্গীরের দরবায়ে গায়ক ও বাদকের দলে তানসেনের ছবি পাওয়া যায়। আরও একখানি চিত্র