পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] , দিকে বাড়ীতেও এমন কেহ নাই যাহাকে বকিয়া গায়ের "াল মিটায়, কাজেই সে আপন মনে চীংকার করিতে গল,—পারব না, রোজ রোজ এমন করে সংসার করা আমায় দিয়ে হ’য়ে উঠবে না—আজি দুমাস ধরে’ লুচি কাঠ নেই, কাঠ নেই—এদিকে রান্নার বেলা ঠিক আছেন:সৰ, তার একটু এদিক ওদিক্‌ হবার যো নেই— কি দিয়ে রাধ বে ? হাত পা উকুনের মধ্যে দিয়ে বে নাকি ? রোজ রোঙ্গ কাঠ কাটে, কেটে .ধt;—অত স্বখে আর কাজ নেই—থাকূল হাড়ী ডু', যিনি যখন আসবেন, তিনি তখন করে নেবেন— রাধিবার কোন আয়োজন সে করিল না। খানিকট বসিয়া বসিয়া তাহার মনে হইল ততক্ষণ মশলাগুল বাটিয়া রাখা যাকু - সে মাঝে মাঝে কাজের স্থবিধার জন্য কয়েকদিনের মসলা একসঙ্গে বাটিয়া রাখিত। বেল প্রায় দশটার সময় একটি অল্পবয়সী ফুটফুটে বউ, পরনে একখানা পুরানো চেলীর কাপড়, হাতে থাকিবার মধ্যে দুগাছি শাখা—একটি বাটি হাতে রান্নাঘরের দোরের কাছে ভয়ে ভয়ে উকি মারিয়া বলিল --দিদি আছ নাকি ? & স্বশীল মশলা বাটিতে বাটিতে মুখ তুলিয়া চাহিয়া বলিল-আয় আয় ছোট বউ—অায় না ঘরের মধ্যে— ঠাকৃরুণ নেই— বউটি ঘরে ঢুকিয়া বলিল—একি দিদি, এত বেলা হ’ল, এখনও রান্না চড়াওনি যে ! স্বশীল মুখ ঘুরাইয়া বলিল—রান্না চড়াব! হাড়ীকুঁড়ি ভেঙে ফেলিনি এই কত – ' , বউটির চক্ষে ভয়ের চিহ্ন পরিস্ফুট হইল, সে বলিল— না দিদি, ওসব কিছু কোরো না, ভাত চড়িয়ে দাও লক্ষ্মীটি, নৈলে জান তো কিরকম লোক সব— - দেব-দেখবে সব আজ কিরকম মজ, রোজ রোজ কাঠ কাটুব আর ভাত রাধব, উঃ ! - —কাঠ নেই বুঝি ? আচ্ছ, দা-খানা দাও দিদি, আমি দিচ্চি কেটে । —তোর কি দায় তুই দিতে যাবি? বস ঠাণ্ডা ইয়ে-ধাদের গরজ আছে তারা নিজেরা বুঝুক গিয়ে— جیخ* cभौघैौभूल ‛»ዓፄ —তোমার পায়ে পড়ি দিদি, দাও রান্নাটা চড়িয়ে, खॉन ८डों Gद्भ- - --তুই বস্ দেখি ওখানে চুপ করে, দেথিস এখন মজা—আজি দুমাস ধরে রোজ বলছি কাঠ: নেই, কথা কানে যায় না কারুর,--অাজ মজাট দেখাব- - স্বশীলার একগুঁয়েমিতে বউটি কিছু ভীত হইল, কারণ মজ কোন পক্ষ দেখিবে এ সম্বন্ধে তাহার একটু সন্দেহ ছিল । কিন্তু সাহস করিয়া আর কিছু বলিতে না পারিয়া সে চুপ করিয়া রহিল। - এই বউটি রামতন্তু মুখুয্যের জ্যাঠতুত ভাই রামলোচন মুখুয্যের পুত্রবধূ। পাশেই এদের বাড়ী। রামলোচনের অবস্থা খুবই খারাপ—তা সত্ত্বেও তিনি বছর দুই হুইল ছেলের বিবাহ দিয়াছেন – রামলোচনের স্ত্রী ছিল না, পুত্রবধুই গৃহিণী। দুরবস্থার সংসারে ছেলেমাস্থ্য বউকে ংসার করিতে অত্যন্ত বেগ পাইতে হইত। সে সময়ে অসময়ে বাটি হাতে খুচি হাতে এ বাড়ীতে হাত পাতিয়া তেলট মুনটা লইয়া যাইত, চাল না থাকিলে আঁচলে বাধিয়া চাল লইয়। যাইত—ধার বলিয়াই লইয়া যাইত— কখনও শোধ করিতে পারিত, কখনও পারিত না । মোক্ষদা ঠাকুরুণকে বউটি বড় ভয় করে—তিনি থাকিলে জিনিষপত্র তো দেনই না, যদি বা দেন তাহ বহু মিষ্ট বাক্য বর্ষণ করিবার পর । তবু বউটর আসিতে হয়, কি করিবে, অভাব । - স্বশীল। তাহাকে মোক্ষদ৷ ঠাকরুণের আক্রমণ হইতে বাচাইয়া গোপনে এটা ওটা যখন যাহা দরকার সাধ্যমত সাহায্য করিত। সামান্ত একবাটি তেল লইয়া গেলেও হু সিয়ার মোক্ষদ। ঠাকুরুণ তাহা কখন তুলিতেন না- গল। টিপিয়া কড়াক্ৰাস্তিতে তাহা আদায় করিয়া ছাড়িতেন। স্বশীল ছিল অগোছালো ও অন্যমনস্কধরণের মানুষ, সে ধার দিয়া অত শত মনেও রাথিত না, বা সামান্য তেল চুন ধার দিয়া আদায় করিবার কোন চেষ্টাও করিত না,— শোধ দিতে আসিলে অনেক সময় বলিত,- ওই তুই আবার দিতে এলি ভাই ছোট বেী ; ওর আবার নেব কি ?— ধ,-ও তুই নিয়ে যা ভাই ।