পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯৬ অনির্দেখ দূর সৌন্দর্ঘ্যে লুদ্ধ মন যখন প্রকৃতির সহিত মিলনের জন্ত ধাৰিত হয়, তখন রাস্তার বহু খুঁটিনাটি তাহাকে ভুলাইয়া লইয়া যায়। রোমাটিকৃ-মুভমেণ্টের লেখকগণেরও তাঁহাই হইয়াছিল । কেহ অতীতের মনোহারী পরীরাজ্যের মত প্রাসাদে প্রবেশ করিয়া সেখানে গল্পের ঘুমন্ত রাজকুমারীর মত নূতন সৌন্দৰ্য্যরাশিকে পাইয়া বাহিরের বিপুল জীবন হইতে তফাতে পড়িয়া গিয়াছিলেন । কেহ মানবাত্মার স্বাধীনতা ঘোষণা করিতে গিয়া জীবনের নিবিড়তর পুষ্প-লঘু সৌন্দৰ্য্যরাশিকে ভুলিয়া দূরে ঠেলিয়া ফেলিয়াছিলেন । নগ্ন মানবাত্মার সহিত নিবিড়তম পরিচয় তাহারা প্রায় কেহই করেন নাই। বঙ্কিমচন্দ্র বাঙ্গালায় সেই রোমাণ্টিকু-মুভমেণ্টের শ্ৰেষ্ঠ সাধক। র্তাহার সমস্ত লেখাতেই প্রায় আমরা জাতির অতীত আলোচনা দেখিতে পাই । তাহার উপন্যাসগুলির মধ্যেও ইহা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায় । মৃণালিনী, দুর্গেশনন্দিনী, রাজসিংহ, সীতারাম, চন্দ্রশেখর প্রভৃতি উপন্যাস বাঙ্গালার তথা ভারতবর্ষের অতীত-চিত্ররূপেই ' কবির মনে প্রথমে জন্ম-গ্রহণ করিয়াছিল । তাহাদের নায়ক-নায়িকার মানব-ভাগ্য তাহার পর তিনি চিন্তা করিয়াছেন । তাহার পর বাঙ্গালার সমসাময়িক চিত্র দিয়া বর্তমান সমাজের ব্যর্থতায় তিনি সেই অতীতের শিক্ষাকে আরও ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। বিষবৃক্ষ, কৃষ্ণকাস্তের উইল ইহার নিদর্শন। এবং পরিশেষে বাঙ্গালার অতীতের ভিতর দিয়া স্বকল্পিত ভবিষ্যতের পূর্ণভার একটু আভাস দিবার চেষ্টা করিয়াছেন, দেবী চৌধুরাণী, আনন্দমঠ, সীতারামে । কপালকুণ্ডলা তাহার এই রোমাটিকু সাধনার চূড়ান্ত ফল। কপালকুণ্ডলার মত রোমান্স, বাঙ্গালাম আর দ্বিতীয় লেখা হয় নাই । ইহার সমস্ত উপকরণগুলি বিশ্লেষণ করিয়া দেখাইবার ইহা স্থান নহে, কিন্তু তাহা বিশ্লেষণ করিয়া দেখিবার উপযুক্ত বটে এবং বঙ্কিমচন্দ্রের এই ক্ষেত্রে সিদ্ধির তাহা শ্রেষ্ঠ পরিচায়ক। ইহার যে সকলেই ইউরোপীয় রোমাটিকৃ-মুভমেণ্টের ফল তাহার প্রধান প্রমাণ, ইহাদের সাধারণ নাম দেওয়া যাইতে পারে "ঞ্জোমান্সং। ইংরেজী শিক্ষা প্ৰবৰ্ত্তিত না হইলে wstwrrwn ewru xstrnkraz sturn rster zri azo *er*=st প্রবাসী- পৌষ, ક9° [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড সাহিত্যে রোমাটিকৃ-মুভমেন্ট না চলিলে আমাদের দেশে ‘দুর্গেশনন্দিনী’ ‘দেবী চৌধুরাণী’ও লেখা হইত না। এই রোমাটিকৃ-মুভমেণ্টের প্রধান গলদ হইয়াছিল প্রকৃত সৌন্দর্য্য-বিচারে। যে বিস্তারশীল সৌন্দৰ্য্য ক্রমশঃ আমাদিগকে আপনা হইতে দূরে লইয়া যায়, রূপ হইতে টানিয়া অপরূপের মধ্যে ডুবাইয়া দেয়, সেই সৌন্দৰ্য্য ছাড়িয়া বা না বুঝিয়া রোমাটিক লেখকগণ শুধু রূপ, যাহা পটে প্রতিভাত হইতে পারে, তাহাতেই বেশী মজিয়াfgcota, Beautiful Etfggi Picturesque aq ss ধাবিত হইয়াছিলেন । রোমাটিক লেখকগণের অতীত সাধনা তাহীদের Medievnlism, তাহদের দরিদ্র জীবনের সহিত সহানুভূতি, সমস্তের ভিতরেই সেই নিগূঢ় গলদটি দেখ দিতেছে । বঙ্কিমচন্দ্রকে বিশেষরূপ পৰ্য্যালোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাইব তাহাতেও এই দোষ কিয়ৎ পরিমাণে সংক্রামিত হইয়াছিল । তাহার কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, রাজসিংহ, চন্দ্রশেখর প্রভৃতি তাহার উজ্জল দৃষ্টান্ত। তাহার সমসাময়িক লেখকগণের মধ্যে ইহা বহু পরিমাণেই সংক্রামিত হইয়াছিল। রমেশচন্দ্রের রাজপুত-জীবনসন্ধ্যা, মহারাষ্ট্র-জীবনপ্রভাত, মাধবীকঙ্কণ প্রভৃতির ঘটনাবলী মনে করুন। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাহার ছোট গল্পগুলির মধ্যে অনেক স্থলে এইসকলের কৃত্রিমতাকে লক্ষ্য করিয়াই লিখিয়াছিলেন ‘তথন আমার গল্পের নায়ক সপ্তদশ পরিচ্ছেদে রাজকুমারীকে লইয়া দুর্গের বাতায়ন হইতে ঝম্প প্রদানের উদ্যোগ করিতেছিল’ ইত্যাদি * তাহার এই গভীর শ্লেষ বুঝিতে অণর কাহার ও বাকি থাকে না । নবীনচন্দ্রের পলাশীর যুদ্ধ' এবং অন্যান্য কবিতাবলী, হেমচন্দ্রের কবিতাবলী, এবং অন্যান্য বহু নিবন্ধকারের লেখা প্রকৃত রস বা সৌন্দৰ্য্যবোধ হইতে ততদুর উদ্বুদ্ধ হয় নাই, যেমন একট। অপ্রাকৃতিক বা প্রকৃতিবহির্ভূত জীবনাম্বুমান ও তজনিত রূপপ্রকাশ-চেষ্ট হইতে উদ্ভূত হইয়াছিল। এই চারিধারের স্বতঃ-উৎস্থত জীবনকে রসের আকারে না ধরিয়া তাহার একটা রাজপুত-জীবনসন্ধা জয়ােবিংশ পরিচ্ছেদ, শম वृषॆन • مقدمےبھگے سـے ممتگ--اس