পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sം • পৰ্য্যন্ত তরঙ্গভঙ্গপ্রক্ষিপ্ত ফেনীর রেখা ; স্তুপীকৃত বিমল-কুহমদমগ্রথিত মালার স্তায় সে ধবল ফেনরেখা হেমকান্ত সৈকতে স্বাস্ত হইয়াছে, কাননকুন্তলা ধরণীর উপযুক্ত তালকাভরণ, নীল-জলমণ্ডলমধ্যে সহস্ৰ স্থানেও সফেন তরঙ্গভঙ্গ হইতেছিল। যদি কখনও এমন প্রচও বায়ুবহন সস্তব হয় যে, তাহীর বেগে নক্ষত্রমীলা সহস্ৰে সহস্ৰে স্থানচ্যুত হইয়। নীলাম্বরে আন্দোলিত হইতে থাকে, তবেই সে সাগরতরঙ্গক্ষেপের স্বরূপ দুষ্ট হইতে পারে । এ সময়ে অস্তগামা দিনমণির মৃদুল কিরণে নীলজলের একাংশ দ্রবীভূত স্ববর্ণের স্বায় জ্বলিতেছিল। অতি দুরে কোন ইউরোপীয় বণিক্জাতির সমুদ্রপোত শ্বেতপক্ষ বিস্তীর বরিয়। বৃহৎ পক্ষীব স্বায় জলধিঙ্গদয়ে উড়িতেছিল । * } * পরে একেবারে প্রদেষতিমির অসিয়া কাল জলের উপর বসিল । তথন নবকুমারের চেতন হইল যে, অশ্রম সন্ধান করিয়া লইতে হইবেক । দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া গাত্রেীথান করিলেন । * ¥ গাত্রেীথান করিয়া সমুদ্রেব দিকে পশ্চাৎ ফিরিলেন । ফিরিবামাত্র দেখিলেন অপূৰ্ব্বমূৰ্ত্তি ! সেই গষ্ঠীরনাদি বাবিধিতীরে সৈকতভূমে অস্পষ্ট সন্ধালোকে দাড়াইয়৷ অপূৰ্ব্ব রমণীমূৰ্ত্তি । * * মূৰ্ত্তিমধ্যে যে একটি মোহিনী শক্তি ছিল, তাহা বণিতে পারা যায় না। অৰ্দ্ধচন্দ্রনিঃস্থত কৌমুদীবর্ণ, ঘন কৃষ্ণ চিকুবঙ্গল, পরস্পরের সান্নিধ্যে কি বর্ণ, কি চিকুর, উভয়েবই যে ঐ বিকশিত হইতেছিল, তাহা সেই গম্ভীরনাদী সাগল্পকূলে, সন্ধ্যালোকে না দেপিলে, ৩হিব মোহিনীশক্তি অনুভূত হয় না ।” এখন, সহজেই বুঝিতে পারিবেন, বহিঃপ্রকৃতি ভেদ করিয়া বঙ্কিমচন্দ্র এক পা’ও ভিতরে যান নাই । ইংরেজীতে রোমাটিক বলিলে ( রোমাঞ্চকর বলিলেও বলিতে পারেন ) যাহা বুঝায়, তাহাতে তিনি সিদ্ধহস্ত । কিন্তু রবীন্দ্রনাথের বিশেষত্বই এইখানে যে তিনি বহিঃপ্রকৃতি হইতে একেবারে বিশ্বপ্রকৃতির অন্তরে চলিয়া গিয়াছেন । তিনি যখন বাঙ্গালার শু্যামলমাঠ পল্লীবাট থেয়াঘাটের কথা বলিতেছেন, তখন তিনি শুধু বাঙ্গালার পল্লীশ্রী দেখিতেছেন না, তিনি তাহীদের ভিতর দিয়া সমস্ত বিশ্বের সৌন্দৰ্য্য অষ্টভব করিতেছেন। তাহাদের অন্তরলীন যে সৌন্দয্যরাগ তাহাদিগকে বিশ্বপ্রকৃতির অন্তর্গত করিয়াছে, সেই সৌন্দৰ্য্যরাগই র্তাহার চেতনাকে ভরপুর করিয়া রাখিয়াছে। তাহার ‘সোনার তরী’ তাহার ‘পসারিণী তাহার এমন শতেক কবিতা তাই এমন অজান, weird সৌন্মধ্যে ভরিয়া উঠিয়াছে। উtহার সমুদ্রতীরের কলগজ্জনধ্বনির অন্তরালে ধে অনন্ত নীরবতার চেতন, নৈশাকাশের নক্ষত্রমালার দীপ্তি হরণ করিয়া যে বিরাট অন্ধকারের অঙ্গভূতি সে কেবল সেই বিশ্বপ্রকৃতির চেতনা-সমুদ্ভূত । বঙ্কিমচন্দ্রে ও রবীন্দ্রনাথে এইখানে আকাশ-পাতাল তফাৎ। প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩• SJJMMA AJJJM AMAMJJAAJJMS MMMMMMMMAMAMAMAMMMM AMMMMMAMMMMMAMMMMAMS { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড ه برای ۹-تریس حاویه حبیب یحییر یحیی রবীন্দ্রনাথ একদিকে যেমন এই বহিঃপ্রকৃতি ভেদ করিয়া বিশ্বপ্রকৃতির স্বরূপ সন্ধান করিয়াছেন, অন্যদিকে তেমনি অবস্থা দেশ কাল লঙ্ঘন করিয়া নগ্ন মানবাত্মার নিবিড় প্রচেষ্টা অঙ্কিত করিয়া মানবজীবনের উচ্চতর স্বার্থসমূহের বিকাশ দেখাইয়াছেন। অনেকে রবীন্দ্রনাথকে বাঙ্গালায় মনস্তত্বমূলক উপন্যাসের Psychological Novelএর জন্মদাতা বলেন । ইংরেজীতে যাহাকে psychological novel &il itu, :t: f: Giel লেখেন নাই। র্তাহার লেখা অনেক সময় psychological novelএর ও গণ্ডী কাটাইয়া উচ্চতর ভাবে অতুপ্রাণিত হইয়াছে। “গোরায় তিনি যাহা আরম্ভ করিয়াছিলেন, ‘ঘরে বাইরে’তে তাহার একাংশের পরিণতি হইয়াছে । রবীন্দ্রনাথের জীবনাচুভূতি ও বঙ্কিমচন্দ্রের আখ্যায়িস রচনার ব্যবধান তাহার ‘গোরা’তেই স্পষ্ট বুঝা যায়। একজন আইরিশ শিশু বাঙ্গালীর ঘরে পালিত হইয়া যে সমাজের ও জীবনের নূতন নূতন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করিবে, ইহা নিতান্তই আড়ম্বরহীন আখ্যায়িকা । একজন আখ্যায়িকাকার ইহাতে কখনই সন্তুষ্ট হইতে পারেন না। যিনি জীবনকে শুধু বাহির হইতে দেখেন, তাহার IPoup এবং Show, আড়ম্বর ও জমক যাহার চোথে রাজশোভাযাত্রার চমক লাগাইয়া দেয়, তিনি জীবনের অন্তরালে নিরাবরণ নগ্ন যে মানবাত্মা— যাহার শুভাশুভের কল্পনায় বিশ্বজগৎ ক্ষণে ক্ষণে ভাঙ্গিতেছে ও গড়িতেছে, তাহার গেী জ্ব রাখেন না । তেমন কোন আখ্যায়িকাকার যদি এই আইরিশ যুবকের ভাগ:বিধাতা হইতেন, তবে তিনি হয়ত বঙ্কিমচন্দ্রের ধরণেই গ্রন্থের কতক দূরে তাহার পিতা মাতা বা আত্মীয়স্বজনকে হাজির করাইয়া অশ্রুজলাভিষিক্ত দৃখে “আমি ‘Pat বা "Ton’ ” বা ওইরূপ কিছু একটা মিলন ও পরিচয়ের দৃষ্ঠ আনিয়া ফেলিতেন, কত আয়ালfাণ্ডের জন্ত চিন্তা, কত জটিল ঘটনাচক্রের মধ্যে গল্পের পুর্ণত সম্পাদন করিতেন । কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মনের মধ্যে যে নগ্ন স্থদর মানবাত্মার ছবিটি প্রতিভাত হইয়াছে, সে কি সে গল্পের নায়ক হইতে পারে ? সে যে আপনার