পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩• ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড SAASASAAAAASJMAMSJSJAJJAAMJJJMMA S AM MJJJSJJJJMM MMAM AM AJJM SMSM SMSMSMSJSMJSAS A SAS SSASJSJ তাহার প্রমাণ আছে। কারণ ভূমিকম্পের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সমুদ্রের ঢেউ আসিয়া সহরের ভিতর প্রবেশ কবিতে থাকে। প্রকৃতি ভূমিকম্পের সাহায্যে পৃথিবীতে পাহাড়-পৰ্ব্বত নিৰ্ম্মাণ করেন। ভূমিকম্প না হইলে সমস্ত পৃথিবী সমতল ভূমি হইয়। থাকিত । সমুদ্রের তলায় জগের চাপ এত ভয়ানক যে—সেই চাপের দ্বারা জলকে আকাশের গায়ে সমুদ্রের গভীবতার সমপৰিমাণ উচ্চে ছোড়া যাইতে পারে। তুশাকার গহবরের নিম্নে জলের যে চাপ আছে সেই চাপের দ্বারা গহ্বরের সমস্ত জলকে আকাশের দিকে পাঁচ মাইল উচুতে ছোড়া যায়। এই চাপে ছল শক্ত পাখব ভেদ করিয়৷ পৃথিবীর মধ্যে প্রবেশ করিতে পারে। এই জল যখন জ্বলন্ত ধাতুর গায়ে আসিয়া লাগে তখন তাহ গরম বাপে পৰিণত হয়। জাপানের কেবল মাত্র হণ্ড দ্বীপ নয়, অন্তান্ত প্রায় সব দ্বীপগুলিই এইরকম ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রগর্ভ হইতে জন্মলাভ করিয়াছে। উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার সমুদ্র-উপকূলে এপনে খুব গভীর জল দেখিতে পাওয়া যায়—তাহাতে মনে হয় যে সমুদ্র-উপকুলের পাহাড়পৰ্ব্বতগুলিও ভূমিকম্পের ফলে উঠিয়াছে। অনেকে মনে করেন যে ভূমিকম্প পৃথিবীব বিশেয বিশেষ স্থানেই হয় । এ ধারণ ভ্ৰমীয়ক । পৃথিবীর এমন একহাত পরিমাণ স্থানও নাই, যেখানে ভূমিকম্প হয় না। এমনও দেখা যায় যে পৃথিবীর বিশেষ বিশেষ স্থান মানুষের অবোধা কোন উপায়ে স্থিতি পরিবর্তন করে। অনেক পাহাড়কে সবিয়া যাইতে দেখা গিয়াছে । অবষ্ঠ এইসব স্থান পরিবর্তন সাধারণ চোখে বুঝা যায় না, বৈজ্ঞানিকভাবে মাপজোক করিয়া বুঝিতে পারা যায়। যুগের পর যুগ ধবিয়া পৃথিবীর বুকে এইসব আগুন জ্বলিতেছে । এই প্রকার স্থানে প্রায়ই ভুমিকম্প হয পৃথিবীর অঙ্গের এইরূপ নড়াচড়া কেবল মাত্র ভূমিকম্পের সময়ই ঘটে এমন নয়। জাপানে যে শাক্তব সেদিন উচ্ছ,সি হইয়াছিল ও ১৯৯৬ খৃষ্টাব্দে যে অবরুদ্ধ শক্তি সানফ্রানসিস কোতে ছাড়া পাইয়াছিল তাহ চাপের দরুন সঙ্কুচিত হইয়। এইবাপ লেগযুক্ত হইয়াছিল । অনুমান হয় যে এই শক্তি অল্প অল্প চাপের জম্বা ক্রমশঃ সঞ্চিত হইতেছিল, আর যখন এই আভ্যন্তরীণ চাপ পুথিবীর আবরণের সহ করিবার মাত্র ছাড়াইয়া গেল, তখনি সব চুবমীর হইয় গেল। এই অতিমাত্রিক চাপের সময় যে ভাঙন ধবে তাহতেই সহসী ভূখণ্ডের স্থান পরিবর্তন হয় ও ভূপৃষ্ঠে কম্পন অনুভূত হয়। যদি দেখা যায় কোন এক জায়গায় পৃথিবীর আবরণের কোন অংশ উত্তৰ দিকে সরিয়া যাইতেছে তাহ হইলে ভূপৃষ্ঠের উপরের কোন শক্তিৰ প্রয়েগে যে এরূপ ঘটিতেছে তাহ অনুমান করিবার কোন কাবণ নাই। যতটা দেখিতে পাওয়া যায় তাহতে এই বুঝা যায় যে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশগুলি পৰস্পরের দিকে ঝুঁকিয়া ভার-সমতা দ্বারা বিধৃত রহিয়াছে। কোন একটা জায়গা ধসিয়া গেলে কিংবা কোন পাহাড় জলস্রোতে ক্ষয়প্রাপ্ত হইলে এই ভার এক স্থান হইতে স্থানান্তবে পরিচালিত হয়। এমুনি করিয়া এই ভার-সমতা নষ্ট হুইয়া যায়। এই সঞ্চলন-ব্যাপার যদি বেশী জোরে ঘটে, তাহা হইলে যে অংশ নুতন ভারাক্রান্ত হইয়াছে সেই অংশ হইতে একটি শক্তিস্রোত হাল্ক দিকে প্রবাহিত হয় ও তাঁহাতে পৃথিবীর আবরণটার উপর টান পড়ে। ফলে হয় সে অংশ ফাটিয়া যায় নয় ধসিয়া যায় ও তাঁহাতেই ভূমিকম্প ঘটে। ভূমিকম্পেব সময় ঘরবাড়ী ভাঙ্গিয় যাওয়ার প্রধান কারণ বাড়ীর বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন দিকে নড়া পাইয়৷ ফাক হইয়া যায়। বৈজ্ঞানিক এবং ইঞ্জিনিয়ারের এই বিষয়টিকে বিশেষভাবে পর্যাবেক্ষণ করিয়াছেন। উহাদের মতে যদি কোন বাড়ীকে এমনভাবে শক্ত করিয়া তৈরী করা যায় যে হাজার নড়াচাড়াতেও বাড়ীখানি অটুটভাবে থাকে ও এক সময়ে বিশেষ একদিকেই নড়ে, তাহ হইলে সেই বাড়ী খুব সস্তব ভূমিকম্পের পরেও অটুট থাকিবে । এইজন্য ইঞ্জিনিয়ার এবং বৈজ্ঞানিক উভয়ে মিলিয়া স্থিব করিয়াছেন, যে, যে দেশে সময়ে অসময়ে ভূমিকম্প হয়, সেই দেশে বাড়ী তৈরী করিবার জন্য প্রথমে কঠিন ইপাতের একটি শক্ত কাঠাম তৈরী করিতে হইবে । কাঠামকে যথেষ্ট পরিমাণে ভারীও করিতে হইবে । যাহ। কিছু জোড়াতাড়া লগাইতে হইবে—তাহীও বেশ শক্ত করিয়া ইস্পাতের পাতা দিয়া লাগাইতে হইবে। জোডাতাড়া দেওয়ার জন্য যতদুর সস্তব বেশী রিভেট বা পেরেক ব্যবহার করিতে হইবে । মোটের উপর দেখিতে হইবে যে ফ্রেমের কোন অংশ টিল] বা আলগা হইয়া না থাকে, এবং কাঠামর যে-কোন স্থানে আঘাত কবিলে, তাহার স্পন্দন যেন কাঠামর সব জায়গায় পৌঁছায়। এই কাঠােমর উপব যদি বাড়ী তৈরী করা যায়- তাহ ভূমিকম্পের পরও বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হইবে না। অবগু একেবারে স্থিরনিশ্চয় করিয় বল৷ যায় ন—তবে যতদূর সস্তব মনে হয়, এই প্রকার বাড়ীতে কোন ক্ষতি হইবে না । পরীক্ষার দ্বারাও ইহাই প্রমাণ হইয়া গিয়াছে । এইসমস্ত বাড়ীতে যদি আগুন লাগে, তাহা হইলেও ফ্রেমথানি অটুট থাকে। জাপানে এই প্রথায় কতকগুলি সাততলা আটতলা বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে, তাহার অধিকাংশই টি-কিয়া আছে—কিম্বা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে। ভুমিকম্পের সময় আর-একটি প্রধান বিপদ মানুষকে আক্রমণ করে। সহরের গ্যাস-পাইপ ইত্যাদি ভাঙ্গিয়া গিয়া, তাহাতে আগুন লাগিয়া যায়। জলের নলও ফাটিয়া যায়—তাহাতে জল-প্রাপ্তির আশা নিৰ্ম্মল হয়। এইজন্ত যে-সমস্ত সহরে ভূমিকম্পের আশঙ্ক অত্যধিক, সেই-সমস্ত সহরে এমন ব্যবস্থ করা দরকার যাহাতে কলের নল ভাঙ্গিয় গেলেও সহরে চড়াইবার জন্য প্রচুর ভাল পাওয়া যাইবে। জল রাখিবার স্থানগুলিও বিশেষভাবে নিৰ্ব্বাচন করিতে হইবে । যে-সমস্ত স্থানে ভূমিকম্প বেণী দেখা যায়, সেই সমস্ত বিশেষ স্থান হইতে বষ্ট দুরে জলরক্ষা করিতে হইবে। সহরে জল প্রেরণের জন্য দুই তিনটি পাম্পিং ষ্টেশন রাখাও প্রয়োজন—অবগু সবগুলি একসঙ্গে কাজ করিবে না—প্রয়োজনমত যে-কোন একটি কাজ করিবে, অন্তগুলি রিজার্ভ বা সংরক্ষণ করিয়া রাখা হইবে ।