পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$288 ۳-------همسایه- ۔اے ۔ ۔ ۔ ۔ ے ۔ ۔ہ۔ ص~ - ۔ " হইবে না। প্রতিযোগিতার কথা একবার কোনরূপে মনে হইলে স্থমিত্রা প্রবলভাবে প্রতিকূল হইয়া উঠিবে। কিন্তু পরমুহূর্তেই লোভ আশঙ্কাকে পরাজিত করিল। অপরাহ্লে সুরেশ্বর একজোড়া শাড়ী লইয়। স্বমিত্ৰাদের গৃহে উপস্থিত হইল । স্বরম কয়েক দিন হইতে শ্বশুরালয়ে গিয়াছে। জয়ন্তী দ্বিপ্রহরে কোনও আত্মীয়ের গৃহে গিয়াছেন, তখনও প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন নাই । এবং প্রমদাচরণ র্তাহার পাঠাগারে . বসিয়৷ নিবিষ্টচিত্তে শঙ্করাচার্য্যের বেদান্তভাষ্য পর্য্যালোচনা করিতেছিলেন । স্বরেশ্বরের আগমন-সংবাদ পাইয়া স্থমিত্র বান্তিরে আসিল । সুমিত্রাকে দেখিয়া সুরেশ্বর করযোড়ে নমস্কার করিয়া সহস্তে বলিল,—“আজ অব আ ভ্যাগত নই ; আজ আমি ব্যবসাদার, বিক্রি করতে এসেছি।” সুমিত্র স্মিতমুখে ঔৎসুক্য সহকারে কহিল, “তাই নাকি ? কই দেখি কি বিক্ৰী কবুতে এসেছেন ?" তাহার পর সুরেশ্বরের পাশ্বে রক্ষিত বস্ত্রের বাণ্ডিলট। দেখিতে পাইয়া উঠাইয়া লইয়া বলিল, “এই বুঝি ? খুলে দেখ ব ?” “দেখুন।” বাণ্ডিল খুলিয় খন্দরেব শাড়ী দেখিয়া প্রথমটা সুমিত্রার মুখ ঈষৎ মলিন হইয়া গেল ; কিন্তু পরক্ষণেই সে হাস্তপ্রফুল্লমুখে কহিল, "চমৎকার শাড়ী ত ! এ কি আপনার তাতে বোন ?” স্বরেশ্বর হৃষ্টমুখে কহিল, “হঁ্য, আমাদের তাতেই বোনা। কাপড়টা বাস্তবিকই ভাল হওয়াতে একজোড়া আমার বোন মাধবীর জন্যে কিনেছি। আর একজোড়া আপনার জন্যে এনেছি। যদি ইচ্ছা হয় বা দরকার থাকে ত রাখ ষ্ঠে পারেন।” বলিয়া সুরেশ্বর উচ্চস্ববে হাসিয়া উঠিল, বলিল, “ঠিক ব্যবসাদারের মত কথাগুলো বলছিনে ?” স্মিতমুখে স্থমিত্ৰ কহিল, “যখন দরদপ্তর করবেন তখন বুঝতে পারব ব্যবসাদারের মত কথা কন্‌ কি না; এখন ত বিশেষ কিছু বুঝতে পারছিনে।” তাহার পর বস্ত্রাংশে বিদ্ধ একখণ্ড কাগজের উপর দৃষ্টি পড়ায় বলিল, “এই কি দাম ?” প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ { २७° छांग, २ग्न थ७ SAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS সুরেশ্বর কহিল, “হ্যা।” “একখানা কাপড়ের, না জোড়ার ?” “জোড়ার ।” স্বমিত্রা সবিস্ময়ে কহিল, “জোড়ার ? খুব সস্তা ত ! একখানা কাপড়ের এই দাম হলেও আমি সস্তা মনে করতাম।” তাহার পর আরক্ত মুখে ইতস্তত: ভাবে কহিল, “কিন্তু এত সস্তা হলেও আমার নেওয়ার পক্ষে অসুবিধা আছে।” - স্বরেশ্বর মূকুস্মিতমুখে কহিল, “তা হলে বিনামূল্যে নিলে যদি অসুবিধা না হয়, তাই নিন !” একটা কথা সুমিত্রার জিহবাগ্রে আসিয়া ফিরিয়া গেল। একটু চুপ করিয়া থাকিয়া অন্যদিকে দৃষ্টি রাখিয়া সে বলিল, “তাতে আপনার লাভ কি হবে ?” স্বরেশ্বর তেমনি স্মিতমুখে সহজ ভাবে বলিল, “লাভ কি সংসাবে একই রকম আছে ? টাকা আন পয়সার লাভটাও লাভ বটে, কিন্তু সেইটেই বোধ হয় সবচেয়ে মোটামুটি লাভ। মাহুষের হিসাবের খাতা শুধু যে কাগজেই তৈরী হয় তা নয় ।” - সুমিত্রার আনত-আরক্ত মুখে সি দুরিয়া মেঘে বিদ্যুৎ ক্ষুবণের মত মজু হাস্য ফুটিয়া উঠিল। ঈষৎ উত্তেজিত ভাবে সে কহিল, “কিন্তু সে রকম হিসাবের খাতা ত আমারও থাকৃতে পারে।” উৎফুল্প হইয়া স্বরেশ্বর বলিল, “তা যদি থাকে তা হলে ত কোন গোলই নেই! অস্থগ্রহ করে কাপড় জোড়া গ্রহণ করে দয়ার হিসাবে কিছু খরচ লিখে দিন।” . এবার সুমিত্রা হাসিয়া ফেলিল ; বলিল, “কথায় আপনার সঙ্গে ত পারবার যে নেই!” স্বরেশ্বর সহাস্য মুখে কহিল, “তা যদি না থাকে ত কাপড় জোড়া রেখে যাই ?” মাথা নাড়িয়া স্থমিত্রা বলিল, “না।” “কেন, আত্মমৰ্য্যাদায় বাধূবে ?” “বাধতে পারে। বাধা কি অন্যায় ?” “ন, অন্যায় নয়, যদি না আত্মমর্য্যাদার চেয়েও বড় কিছু জিনিষ মনের মধ্যে প্রবল থাকে !” স্বরেশ্বরের কথা শুনিয়া সুমিত্রার মর্থ পংগু হুইয়।