পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ) সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের মাপকাঠির ব্যবহার ও স্বাচ্ছন্দ্যবৃদ্ধির কয়েকটি উপায় ৩৫৯ AMAMMMMeMeeAMMAMMeMAMMeeMAMMMMeM AMSMeMSMA AMMSMMeAMMMMAMAJMAJAMAJJJJAJJAMA ASASASA AMMA AAeJeAM SMSM SMS SMJJ JJSAAAA করাকে শৃঙ্খল-পদ্ধতিতে ( chain method ) তুলনা করা বলা চলে । মাপকাঠিকে মাপা নিয়ে আরও অনেক কিছু গোলমাল আছে, কিন্তু তার ভিতর যাওয়া এক্ষেত্রে সম্ভব হবে না । ' ( 3 ) সামাজিক স্বাচ্ছদ্য সামাজিক ব্যক্তিদের মনের স্বর্থস্বাচ্ছন্দ্যের সমষ্টি ছাড়। আর কিছু নয় । সমাজ বলে’ একটা এমন কোনো জানোয়ার নেই যে সে ভোগ্য-সম্ভোগ করে’ স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করবে। ব্যক্তিই হচ্ছে সমাজের বোধশক্তির যন্ত্র ও কেন্দ্র ৷ ব্যক্তির স্বাচ্ছন্দ্য বা সুখ ভোগ করার শক্তির উপরেই সামাজিক স্বচ্ছন্দ্য নির্ভর করে ; শুধু ভোগ্যসমষ্টি একটা থাকুলেই হয় না। ব্যক্তির স্বাচ্ছন্দ্য-আহরণ-ক্ষমতা না থাকূলে সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের অনেক উপকরণ মাঠে মারা যায় । একটা ভাল ছবি বা একটা ভাল গান কি একটা বাজনা বুঝে’ উপভোগ করতে শিক্ষার প্রয়োজন হয়। শুধু লাইব্রেরীতে পুস্তক থাকুলেই হয় না, পড়বার ক্ষমতা না থাকূলে তা থেকে কোনো স্বাচ্ছন্দ্য কেউ পাবে না । কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, সামাজিক স্বচ্ছন্দ্য বাড়াবার আর-একটা বড় উপায় হচ্ছে, নানা উপকরণ থেকে স্বচ্ছন্দ্য আহরণ করার ক্ষমতা মামুষের মধ্যে স্বষ্টি করার চেষ্টা । সামাজিক শক্তির কতকটা ব্যক্তির মানসিক উৎকর্য সাধনের জন্যে খরচ করলে তার থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সেইপ্রকার শারীরিক উন্নতিও অবশ্য প্রয়োজনীয়। মুস্থ সবল শরীর ছাড়। স্বচ্ছন্দ্য কোথায় ? জরাক্রান্ত কি স্থখলাভের উপকরণ পেলেও স্বর্থী হ’তে পারে ? যার সৰ্ব্বদা মাথা ধরে তার কি কিছুতে আনন্দ আছে ? এখন, শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষ সাধন কিভাবে হতে পারে তা দেখতে হবে । দুইটি প্রধান উপায়ে এই কাৰ্য্য সাধন করা যায় :–একটি মামুষের পারিপাশ্বিক অবস্থার উৎকর্ষ সাধন ; আর একটি যোগ্য লোক ছাড়া অযোগ্য লোকের বংশবৃদ্ধি নিবারণ, অর্থাৎ জীববিজ্ঞানসম্মতভাবে ভবিষ্যৎ বংশের পিতামাতা বাছাই কর । দ্বিতীয় উপায়ে সমাজ থেকে খারাপ অংশটুকু বাদ দেওয়া যাৰে আশা করা যেতে পারে, অর্থাৎ অৰ্দ্ধবুদ্ধি, অল্পবুদ্ধি, উন্মাদ, জন্মগত মাতাল বা বংশানুক্রমিকভাবে ব্যাধি গ্রস্ত, অকেজে ভিক্ষুক ( pauper ) অপকৰ্ম্মী দুর্জন ইত্যাদিকে সমাজ থেকে এইভাবে অনেকটা দূর করে দেওয়া যায়। বাছাইকরা বীজে যেমন ফসল ভাল হয়, সেইরকম বাছাই-করা পিতামাতায় ভবিষ্যৎ জাতি উন্নত হয় । বিজ্ঞান আমাদের দেখিয়েছে যে পৃথিবীতে প্রথম প্রথম যখন জীবন মুরু হয়, তখন প্রাণীরা অতি নিকৃষ্ট ধরণের ছিল। কোন রকমে প্রকৃতির কাছ থেকে পুষ্টি আহরণ করে দেহ ধারণ করতে পারে ও বংশ বিস্তার করতে পারে এইরকম প্রাণীতেই সেই বহুপুরাতন কলে পৃথিবী পূর্ণ ছিল। আকুতি-গত পার্থক্য উদ্ভিদে ও প্রাণীতে খুব ছিল না। অনেক স্থলে প্রাণী চলাচল-শক্তি-রহিত ছিল । পুরুভুজ শাখ শামুক প্রভৃতি জলের বান্দিারাই পৃথিবীর আদিমকালে রাজত্ব করত । তার পর ক্রমে ক্রমে চিংড়ি কাকড়া ও নানাপ্রকার অদ্ভুত জলচরেরা পৃথিবীতে এল। তখন শুধু জলেই প্রায় পৃথিবী ঢাকা ছিল । স্থলের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে নানাপ্রকার জানোয়ার (উভচর জলচর খেচর ও সৰ্ব্বচর ) পৃথিবীতে এল ; বর্তমানে তারা লুপ্ত হয়েছে। তার পর কত জাতীয় প্রাণী এল আর গেল তার ইয়ত্তা নেই—শেষে এলাম আমরা । প্রাণী-জগতে নূতন নূতন ধরণের জীবের বিবর্তন হ’ল কিপ্রকারে? এবিষয়ে বিজ্ঞান বলছে যে জীবজগতে এমন তিনটি প্রবল শক্তি সব সময় বর্তমান রয়েছে যার জন্যে নিকৃষ্ট জাতের প্রাণী থেকেই অপেক্ষাকৃত ভাল জাতের প্রাণীর উদ্ভব হচ্ছে । একে বলে প্রাণী-জীবনের ক্রমবিকাশ। এই শক্তিগুলি হচ্ছে, ১ । জীবন-সংগ্রাম (Struggle for Existence ), * 1 offs of footba (Natural Selection ) os o of Rowl (Heredity) । জীবন-সংগ্রাম ও প্রাকৃতিক নির্বাচন হয় এইভাবে :–অনেক রকম ও বিভিন্নগুণসম্পন্ন বহু প্রাণী যদি কোনো জায়গায় থাকে, তা হ’লে সেই জায়গার অবস্থা কারুর প্রাণ-ধারণের পক্ষে মূবিধাজনক ও কারুর প্রাণধারণের পক্ষে অসুবিধাজনক হবে । যার প্রতি পারি