পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. У о একথা সত্য । কিন্তু সকলরকম গৃহশিল্পেরই শিক্ষা করার প্রয়োজন আছে ; চরকা-কাটাতেও কিছু আছে। “নবাবের হারেমের যে-অবরোধ প্রথার ভুত” বাংলার ঘরে ঘরে বিরাজ করিতেছে, তাহার কল্যাণে দরজি, ছুতোর, তাতী, ধোপা, শালকর, ময়র, স্তাকুরা প্রভৃতির কাছে কাজ শেখা মেয়েদের পক্ষে কঠিন । তা-ছাড়া, সকল-প্রকার গৃহশিল্পই বৈজ্ঞানিকযুগে পুৰ্ব্বাপেক্ষ সহজ ও সস্তী হইয়৷ উঠিয়াছে, কলের প্রতিযোগিতায় সস্তায় কাজ না করিলে বিকায় না। যে-সব কাজে কেবল শিল্পীর নৈপুণ্যেরই দাম, তাহাতে আবার শিক্ষার প্রয়োজন খুবই বেশী । কিন্তু এইসব শিল্পের বিষয়ে বাংলা পুস্তক প্রায় নাই, অথচ ইংরেজী বিস্তর আছে। সুতরাং ইংরেজী শিখিলে ও মাপ জোক প্রভৃতির জন্য কিছু অঙ্কশাস্ত্র ও বিজ্ঞানাদি জানা থাকিলে এক্ষেত্রেও স্ববিধা হয় । না জানিলে প্রতিযোগিতায় টিকিতে ত পারিবেনই না, অসম্পূর্ণ শিক্ষার ফলে অপটু হাতের জিনিষ কেহ কিনিবে না, শিল্প চর্চার ফলে লাভের চেয়ে লোক্সান বহুত বেশী হইবে । মামুষের বহিরিন্দ্রিয় ও অস্তরেন্দ্রিয় যত সজাগ ও পর্য্যবেক্ষণে পটু হয়, সকল কৰ্ম্মক্ষেত্রেই সে তত সফল হয়। সেইজন্য বুদ্ধি, চক্ষু, কর্ণ, হস্ত প্রভূতিকে দক্ষ করিতে হইলে বহু বিদ্যার সাধন প্রয়োজন । অনেক লেখকলেখিকার বিশ্বাস, মেয়ের স্কুলকলেজে পড়িলে, বিবাহিতা ও অবিবাহিতা সকলেই ঘর সংসার ফেলিয়া স্কুলমাষ্টারী ওকালতী কেরানীগিরি বা ডেপুটিগিরি করিতে যাইবেন । যে দেশে একটি মাত্র কুমারী ওকালতী করিবার অনুমতি পাইয়াছেন এবং যে দেশের ত্রিসীমানায় কোনো মহিলা ডেপুটিগিরি করেন নাই, সে দেশের কল্পনাকুশল ঔপন্তাসিকরা বাস্তবে এতখানি উপন্যাসের রং ফলাইয়। যুদ্ধে না নামিলেই পারিতেন । তবু যখন নামিয়াইছেন, তখন বলা যাইতে পারে, শিক্ষিতা বাঙ্গালী রমণীর প্রধান কৰ্ম্মক্ষেত্র বাংলার বালিকা-বিদ্যালয়গুলিতে যদি লেখিকা খোজ করেন ত দেখিবেন, শিক্ষয়িত্রীরা অধিকাংশ কুমারী, সামান্ত অংশ বিধবা এবং অতি অল্প কয়েকজন সধবাyসধবাদের মধ্যে আবার অধিকাংশ নিঃসস্তান, কয়েকজন বয়স্ক সস্তানের জননী এবং প্রবাসী—পৌষ, >S)S)● [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড ASA SSASAS A S A S A SAS SSAS SSAS SSAS - - "م- - -.۔ মাত্র দুই দশজন শিশু সস্তানের জননী । একজন মামুষে দৃষ্টান্ত দিয়া যে সমষ্টির বিচার করা চলে না, তাহা এই সকল লেখিকার লেখায় অনেকবারই দেখা যায় ; অথী ইহার নিজেরাই “একটি লেডি ডাক্তারের মুখে শোন তাহার নিজ-জীবনের একটি গল্পকে” সম্বল করিয়া যুদ্ধে নামেন। কুমারী শিক্ষয়িত্রীরা অধিকাংশই বিবাহের পর চাকরী ছাড়িয়া দেন, অবস্থায় না কুলাইলে বা সংসারে অস্থবিধা হয় না দেখিলে কেহ কেহ বিবাহের পরেও চাকরী করেন ; লেখিকার এ সংবাদ যে জানা নাই তাহা মনে হয় না, তবুও তিনি তাহ গোপন করিয় গিয়াছেন। আমেরিকায় স্ত্রীশিক্ষার যেরূপ প্রসার, পৃথি বীর অল্প দেশেই সেরূপ হইয়াছে। তবু আমেরিকার “ওম্যান সিটিজেন” পত্রে দেখি— “পঞ্চাশ বৎসর পরে আমেরিকান গৃহসংসার আধুনিক গৃহে তুলনায় অনেক বেশী চিত্তাকর্ষক ও কাৰ্যকর হইবে। ভবিষ্যতে মেয়ের। নিজের সংসারের কাজে আীরে অনেক বেশী সময় দিবেন গুহকৰ্ম্ম আর নীচ কাজ থাকিবে না । ভবিষ্যতে গৃহকর্মকে মামু শ্রদ্ধা ও সম্মানের চক্ষে দেখিবে। বিবাহিত রমণীদের মধ্যে অধিকাংশই জীবনের একটা বিশেষ কালের সমস্ত সময়টাই ঘরসংসার গড়িতে ব্যয় করিবেন। সস্তানসন্ততির জন্ম ও পালনের কালটায় প্রায় সমস্ত চিন্তা ও সময়ই গৃহধর্মের জন্য ব্যয় করিবেন। মানসিক, আর্থিক ও ও শারীরিক সকল দিক দিয়াই মেয়ের জীবনের সন্তান-ধারণ যুগটার গৃহের অনুরক্ত হন। মেয়ের নিজেদের কাজ ও সন্তানেৰ যত্ব নিজেরাই করিবেন, দরকার-মত গৃহকৰ্ম্ম, রন্ধন, সস্তানপালন ও অন্যান্ত কাজে শিক্ষিত বিশেষজ্ঞের সাহায্য লইবেন।” বিবাহের পূৰ্ব্বে এবং সস্তানসন্ততি বড় হইয়া গেলে মেয়ের যদি গৃহের বাহিরে কোনো অর্থকরী বিদ্যার অনুসরণ করেন, কি দেশ-ও সমাজ-হিতকর কার্য্য করেন, তাহাতে দেশের ক্ষতি অপেক্ষা লাভই ত বেশী হইবে। বিবাহিত জীবনেও অবসরকালে অর্থ উপার্জন করা স্ত্রীলোকের পক্ষে সম্ভব। শিক্ষা ও বিবেচনা থাকিলে ংসারের ক্ষতি না করিয়া ও তরুণী মাতারা যে অর্থ উপার্জন করিতে পারেন, তাহার বহু দৃষ্টান্ত দেওয়া যায়। ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে গৃহকৰ্ম্ম করিলে গৃহিণীদের অবসরও বাড়িবে, স্বতরাং বাহিরের কাজ করিবার বেশী স্থবিধাও হইবে। অনেকে “এই চাকরীসমস্তার দিনে” রমণীদের “পুরুষের সহিত ভিড় করিয়া” শিক্ষিতা সমস্যা