পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२९ সৰ্ব্বাগ্রে এই ব্যবসাটিকে গড়িয়া তোলা প্রয়োজন মনে করেন। ভারতের দারিদ্র্যের মূলে রহিয়াছে মামুষের শ্রমের অব্যবহার ও দুৰ্ব্ব্যবহার । এই দারিদ্র্য দুর করিতে হইলে প্রয়োজন, সকলকে কার্য্যে লাগান ও সকলের শ্রম যথাযথ ব্যবহার করা। কিন্তু সকলপ্রকার কারখানাজাত দ্রব্য আমরা আমাদিগের এক মাত্র সম্বল প্রকৃতির দানের পরিবর্তে বাহিরের ব্যবসাদারের নিকট হইতে সংগ্ৰহ করিয়া থাকি । ফলে আমাদিগের নিজের খাদ্যের অনটন ঘটে এবং দেশের অৰ্দ্ধেক লোক শ্রমশক্তির অব্যবহার অথবা কুব্যবহার করিয়া অৰ্দ্ধাহারে ও অৰ্দ্ধনগ্ন অবস্থায় কালযাপন করে । সকল প্রকার কারখানার স্বষ্টি এদেশে একান্ত আবশ্বক । কারখানার স্বষ্টি বলিতে যেন কেহ তৎক্ষণাৎ নিকৃষ্ট ও শ্রমজীবী-উৎপীড়নের লীলাভূমি কারখানার কথা না ভাবেন । কারখt=নাও সকলের জলহু ও eBBuBBB BBB BB uBBi KJuS আমাদের লক্ষ্য সেইরূপ কারখানা—বিলাতী ধরণের অথবা আমেরিকান ধরণের কোন বন্দোবস্তের প্রতি আমাদের টান নাই । লৌহ ও ইস্পাতের ব্যবসা সফল ন হইলে এই নবযুগ ভারতে আসিবে না এবং সেইজন্যই এই ব্যবসাটিকে সৰ্ব্বাগ্রে বাড়াইয়া তোলা আবশ্যক । একবার দাড়াইয়া গেলে আপনার শক্তিতেই ইহা জগতের প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে দাড়াইতে সক্ষম হইবে ; কিন্তু দাড়াইতে সময় লাগিবে এবং সেই জন্য সাময়িকভাবে এই ব্যবসাটিকে সংরক্ষণ করা উচিত। কি পরিমাণ মাশুল বসাইলে বিদেশী লৌহ ও ইস্পাত ভারতীয় লৌহ ও ইস্পাতের সহিত প্রতিযোগিতা করিতে অক্ষম হইবে, আমরা তাহার আলোচনা করিব না, কেন না, তাহার আলোচনা বিশেষজ্ঞের কার্য্য । কিন্তু ইহা বলা যায় যে মূল্য ধরিয়া শতকরা ২০ টাকা মাশুলের কমে কিছু বাজ হইবে না। তাতার লৌহ ও ইস্পাতের কারখানার মালিকগণ শতকরা ৩০এরও অধিক মাশুল প্রয়োজন মনে করেন । কিন্তু তাহাদিগের বিরুদ্ধে বেবন্দোবস্ত ও অমিতব্যয়িতঃ অভিযোগ গুন ধায়। প্রবাসী—পৌষ, `ව්ථාණ්. [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড একদল ইংরেজ লৌহ ও ইস্পাতের সংরক্ষণ প্রয়োজন মনে করে না। তাহীদের মতে ইহাতে লৌহ ও ইস্পাতের মূল্য বৃদ্ধি হইয়া সকল ব্যবসায়ের অনিষ্ট হইবে। কিন্তু তাহারা একথা বলে নাই, বলিতে পরিবেও না, যে বাহিরের ব্যবসাদার চিবকাল ধরিয়া অল্পমূল্যে উক্ত দ্ৰব্যগুলি ভারতকে সরবরাহ করিবে । দেশীয় ব্যবসাদার প্রতিযোগিতার বাহিবে চলিয়া গেলে, বিদেশীর পুনৰ্ব্বার যন্ত্রপাতি ক্রয় ও অন্যান্য কারণে ব্যয় বুদ্ধি হইলে যখন আমাদিগের নিকট বিদেশী ব্যবসাদার পূরামাত্রার দাম এবং তাহারও উপর কিছু আদায় করিয়া লইবে, তখন এই-সকল ইংরেজ আমাদিগকে রক্ষা করিবে না। ইয়োরোপীয়গণ পুনৰ্ব্বার যুদ্ধে লিপ্ত হইলে যখন আমাদিগের লৌহ ও ইস্পাত জুটিবে না, তখনও ইহাব আমাদিগকে রক্ষা করিবে না । আমাদের আশা আছে, যে, সময়ে ভারতেই যথেষ্ট ও সস্তায় ইস্পাত ও লেীত প্রস্তুত হইবে । তখন আমরা নিজেদের পায়ে নিজেরা দাড়াইতে সক্ষম হইব । এইসকল ইংরেজ তাঙ্গতে বিশ্বাস করে না। কেনই বা করিবে ? ইংরেজ আজ জগতে লৌহ ও ইস্পাতের ব্যবসায়ে অন্যজাতীয়েব নিকট পরাস্ত । তাহার শেষ আশ। তাহার পক্ষে এদেশে যথেচ্ছ মূল্যে ধাহা খুলী বিক্রয় করা চলে। ইহা আমাদিগের প্রকৃভ দণসত্ত্ব। বাস্তবিক ও ভারতবর্ষে লৌহ ও ইস্পাত এবং তন্নিৰ্ম্মিত জিনিষ বিদেশ হইতে যত আসে, তাহার অধিকাংশ বিলাত হইতে আসে । এমন লাভের ব্যবসা ইংরেজ ছাড়িবে কেন ? সংরক্ষক মাশুল বসিলে ইংরেজের এই লাভের ব্যবসা যাইবে বলিয়াই ইংরেজরা সংরক্ষক মাগুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতেছে । ভারত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শরীরধারণের জন্য যে কয়টি জিনিষের প্রয়োজন, মামুষ তাহার ব্যবস্থা সৰ্ব্বাগ্রে করে । খাদ্য, পানীয়, বাসস্থান ও বস্ত্রের অভাব হইলে মানুষের জীবন বিপন্ন হয় । তাই এই কয়টি জিনিষের কথা মামুষের মনে সবার আগে আসে । জগতে জন্মলাভ করিয়ামাহুষ জীবনটাকে