পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] AAA AAASA SAA AAAA SAAAAA AAAAS AAAAAS AAAAA AAAASAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS নানাদিক্ দিয়া উপভোগ করিতে চায় বলিয়া শরীরটা সৰ্ব্বাগ্রে প্রয়োজন ; আধ্যাত্মিক, মানসিক বা শারীরিক যে-কোনো প্রকার আনন্দই চাই না কেন, শরীরটা ভাল না থাকিলে কোনটাই গ্রহণ করা যায় না। একথা মামরা সকলেই জানি কিন্তু অনেকেই জানি না এবং মানি না, যে, শরীরটাকে কেবলমাত্র কোন প্রকারে রক্ষা করিলে শুধু যে জীবনের বহু আনন্দ হইতে বঞ্চিত হইতে হয়, তাহা নহে, জীবনটাই অনেক স্থলে নিজের ও পরিবার-প্রতিবাসীর কাছে একটা নিরানন্দের ব্যাপার হইয়া দাড়ায় । আনন্দই মানুষেব জীবনের কেন্দ্র । আমরা জ্ঞানপিপাসা, লোক-হিতৈষণা, স্বদেশ-প্রীতি, কৰ্ত্তব্য-বুদ্ধি, ভগবং ভক্তি বা আর যে-কোন নুমেই মানুষের জীবনের কৰ্ম্মপ্রেরণাকে অভিহিত করি না কেন, সকলের মূলেই আনন্দ রহিয়াছে। এই আনন্দ-রস আকণ্ঠ পান করিতে হইলে স্বস্থ দেহ ও মনের প্রয়োজন । সুস্থ মনও বন্ধ পরিমাণে স্বস্থ দেহের উপরই নিভর করে । সুতরাং এক দিক্ দিয়া বলা যাইতে পারে, মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ হিতৈষী তিনি যিনি মাতুষকে সুস্থ শরীর ধারণ করিতে সক্ষম করেন । মানুষের জ্ঞান, প্রেম, বিদ্যা, বুদ্ধি, প্রভৃতির সহিত মানুষের দেহের প্রতি শিরা, স্নাযু, অস্থি, মাংস, চৰ্ম্ম, পেশী, মেদ ও রক্তকণা প্রভৃতির যে কি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাহা বুঝিলে দেখা যায়, যে, শরীর সর্বাংশে স্বস্থ, পূর্ণতাপ্রাপ্ত ও আদর্শাকুরূপ হইলে মামুযের মানসিক গুণাবলীও পূর্ণ বিকশিত হইয়া উঠিবার স্বযোগ পায় । স্বতরাং মানুষের সমাজে চিকিৎসকের স্থান অতি উচ্চ স্থান, এবং তাহার কর্তব্য ও অতি উচ্চ দরের। কিন্তু অধিকাংশ স্থলেই দেখা যায়, যে, চিকিৎসকের যাহা মুখ্য কৰ্ত্তব্য তাহ অপেক্ষণ গৌণ কৰ্ত্তব্যের দিকেই তাহার নিজের ও সাধারণ মানুষের নজর বেশী । কি করিয়া সুস্থ দেহ লইয়া শিশু জন্মগ্রহণ করিতে পারে এবং বড় হইয়া আজীবন সুস্থ জীবন যাপন করিতে পারে সেই উপদেশ মানুষকে দেওয়াই চিকিৎসকের প্রধান কৰ্ত্তব্য হওয়া উচিত, রোগীকে নীরোগ করার কৰ্ত্তব্য দ্বিতীয়স্থানীয়। কারণ রোগ একবার হইলে জীবনের যে কয় দিন মানুষ বিবিধ প্রসঙ্গ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ৪২৩ AA AA ASASASA AAA AMSMSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAASA SAASAASAASAAAS রোগ ভোগ করে সে কয়টা দিন জীবনের আনন্দলাভ হইতে বঞ্চিত ত সে হয়ই, তা ছাড়া ভবিষ্যতেও তাহার শরীর আর আদর্শ শরীর না থাকিতে পারে। কিন্তু বৰ্ত্তমানে চিকিৎসক ও জনসাধারণের মধ্যে যে চুক্তি আছে বলিয়। আমরা ধরিয়া লই, তাহাতে চিকিৎসকের মুখ্য কৰ্ত্তব্যটির দেখাও আমাদের দেশে পাওয়া যায় না। আমরা জানি, গৃহে কাহারও রোগ হইলে টাকা দিয়া ডাক্তার ডাকিবার সামর্থ্য থাকিলে তিনি আসিয়া রোগীকে নিবাময় করিবার চেষ্টা করিতে বাধ্য। কিন্তু রোগ না হইবার ব্যবস্থা করা সম্বন্ধে তাহার কোন বাধ্যবাধকতা নাই । যদি কোনো দেশে এমন ব্যবস্থা থাকিত যে সুস্থ মামুষ বছরে কিম্ব মাসে চিকিৎসককে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়া তাহার উপদেশ পালন করিবে এবং পীড়িত হইয়া পড়িলে ডাক্তার বিন পয়সায় চিকিৎসা ত করিবেনই, উপরন্তু ডাক্তারের কোনো ক্রটি ধরা পড়িলে অর্থদণ্ড দিবেন, তাহা ইলে ডাক্তারের মূখ্য কৰ্ত্তব্যেব প্রতি দৃষ্টিটাই প্রথমে যাইত । এই রকম নিয়ম হয়ত বৰ্ত্তমানের অতি জটিল-জীবনযাত্র-পথের পক্ষে প্রায় অসম্ভব । কিন্তু অন্যান্য আীর কয়েকটা নিয়ম সকল দেশেই থাকা উচিত । আমাদের দেশে এবং অন্যান্য অনেক দেশে ধনী ও দরিদ্র উভয়কেই সমান অর্থব্যয় করিয়া চিকিৎসকের ব্যবস্থা লইতে হয়। মানুষের স্বাস্থ্য কিম্বা জীবনের মূল্য ধনের আধিক্য কিম্বা স্বল্পতার উপর নির্ভর করে না । ধনীর স্বাস্থ্যহানি হইলে র্তাহার যতখানি দুঃখ ও ক্ষতি হয়, দরিদ্রের তাঙ্গ অপেক্ষ কম ত হয়ই না, অনেক সময় বেশীই হয়। স্বতরাং নিজ স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসককে পাইতে ইচ্ছ। দরিদ্রেরও হওয়া স্বাভাবিক । এক্ষেত্রে অর্থাভাবে দরিদ্রকে হয় কুড়ানো উপদেশেই সন্তুষ্ট থাকিতে হয়, নয় চিকিৎসকের করুণার উপর নির্ভর করিতে হয় । মানুষকে অন্যের করুণার ভিখারী হইতে বাধা করিলে তাহার আত্মমৰ্য্যাদার লাঘব করা হয়। তাই “ইন্‌কম ট্যাক্সে”র মত প্রতি রোজ গারী মানুষের আয় অনুযায়ী একটা ডাক্তাবের “ফী” নির্দিষ্ট থাকিলে তাহাকে কাহারও মুখাপেক্ষী হইয়া