পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য । هحمه تحصخ حییم ه حتیمتخصص خ আবখ্যক। কিন্তু সেগুলি অত্যন্ত জটিল বিষয় জেনে বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে একাগ্রতার সঙ্গে সে-সকল বিষয় অধ্যয়ন ও অনুশীলন করতে হবে, কেবল গবমেণ্ট কে আক্রমণ করবার অস্ত্র খুঁজ বার উদ্দেশ্বে ঐ-সকল ক্ষেত্রে নেচে কুঁদে বেড়ালে চলবে না। অনেকে বলবেন, গবমেন্টের সহায়তার অভাবেই ত আমাদের শিক্ষালাভ ঘটে না। একথা সত্য হলেও, যতদিন আমরা এ-সকল বিষয়ে লব্ধপ্রতিষ্ঠ হতে না পারব, ততদিন রাজনীতিক্ষেত্রে কিছুতেই আমরা যোগ্যতার দাবী করতে পারব না। দাদাভাই নৌরোজী, ওয়াচ প্রভৃতি বোম্বাই অঞ্চলের নেতাগণ ইংরেজের সাহায্য ব্যতিরেকেই ত উক্ত বিষয়গুলিতে পারদর্শিতা লাভ করেছিলেন। গবমেণ্টের রাজস্বনীতি সম্বন্ধে যোগ্য সমালোচনা কয়খানি দেশীয় কাগজে দেখতে পাওয়া যায় ? এ-সকল বিষয়ে ইংরেজ-পরিচালিত কাগজগুলি থেকেই অনেক সময় আমাদিগকে লোকমত সংগ্ৰহ করতে হয়, কারণ আমাদের মধ্যে এসব তত্ত্বের বক্তা শ্রোতা চ দুল্লভ:'। মোট কথা আমাদিগকে second best দ্বিতীয় হলে চলবে না, the very best সকলের সেরা হতে হবে— এই লক্ষ্য অনুসরণ করে রাজনীতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, বৰ্ত্তমান জগতে অন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাক্ষেত্রে দ্বিতীয়ের স্থান নেই। বস্তুতঃ আমরা ভুলে যাই যে, আমাদের এই যে যুগব্যাপী দাসত্ব, এই জাতীয় কলঙ্ক কেবল জাত্মাপরাধবৃক্ষের ফল মাত্র । তা যদি না হত, তবে ত ভগবান আমাদেরই ন্যায় সাদা চামড়ার ভয়ে ভীত, এটা স্বীকার করতে হত । আমরা স্বরাজ্য পেলেই যোগ্য হয়ে উঠ ব, এটা যদি সত্য হয়, তবে ভগবানের ত এটা মস্ত অবিচার যে তিনি আমাদিগকে এতকাল স্বরাজ থেকে বঞ্চিত রেখেছেন ! - আমাদের কোন দোষ নেই, অথচ আমরা পরাধীন অধঃপতিত হয়েছি, এমনটি হলে যে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কিছুই থাকে না। ইতিহাসপাঠক মাত্রেই জানেন যে পরাধীনত আমাদের আত্মকৃত ব্যাধি, আমরা স্বখাত সলিলে ডুবে মরেছি। যে একত, বৈজী, অভেদবুদ্ধি, বীর্ধষ্ণুৰাৰ্থত্যাগ, আমাদের লক্ষ্য MAMAM AMA AMAMAMMMAMAMASA SAMS 8లిసి AeAeSAAMeMAM AeMAM MMAMMMAM AAAA AAAA AAAAMMAMMMA AMAMMAASAAAA মহৎ আদর্শ, স্বেচ্ছাচার-ও-পরপীড়ন-বিমুখত, দেশাত্মবোধ প্রভূতি নৈতিক গুণগুলি ব্যতীত কোন জাতি কখনও জীবনসংগ্রামে আত্মরক্ষা করতে পারেনি—দীর্ঘ কাল ধরে আমাদের মধ্যে সেগুলির অভাব বেড়ে যাচ্ছিল বলে’ই ত আমাদের এত অধঃপতন । এখনও সেই ভেদবুদ্ধি কতটা দূর হয়েছে ? বিগত ৮ই ডিসেম্বর তারিখে বড়লাট বাহাদুর মান্দ্রাজে আদি-দ্রাবিড় মহাজন-সভায় যে কথাগুলি বলেছেন, তা আমাদের প্রণিধান যোগ্য := “None can deny that these social restrictions and limitations are a formidable obstacle to unity and progress in India. They have also unfortunately repercussions beyond India itself......signs are not wanting that these class disabilities lessen the prestige of India as a country in the eyes of foreign nations also.” অর্থাৎ—একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না যে, এদেশে যে-সকল সামাজিক বিধিনিষেধ ও সঙ্কীর্ণতা প্রচলিত আছে, সেগুলি জাতীয় একতা ও উন্নতির ভীষণ অস্তরায় ; দুর্ভাগ্যের বিষয় ভারতের বাহিরেও তারা প্রতিঘাত উৎপাদন করে । সামাজিক কতকগুলি অধিকার থেকে শ্রেণীবিশেষকে বঞ্চিত করার দরুন ভারত যে বৈদেশিক জাতিসমূহের নিকট সম্মান হারাচ্ছেন তার অনেক লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। ভগবানের রাজ্যে কিছুকালের জন্ত অসতের জয় সতের ক্ষয় না হয় এমন নয়। বিশ্বনিয়মের নিগুঢ় রহস্ত বিশ্বস্রষ্ট ভিন্ন আর কারও সম্যকুরূপে ভেদ করতে চেষ্টা করা ধৃষ্টত মাত্র । তবে মোটের উপর যতোধৰ্ম্মস্ততোজয়? এই বাক্যটির উপর বিশ্বাস না থাকুলে ধৰ্ম্মই বা কি, কৰ্ম্মই বা কি, ‘যাবজ্জীবেৎ মুখং জীবেং ঋণং কৃত্বা ঘুতং পিবেৎ’ এই লোকায়ত-নীতি অনুসরণ করে' জীবনটাকে চালিয়ে দেওয়াই ত ঠিক । যাহোক, আমার কথা হচ্ছে এই যে, যেমন আত্মিক ক্ষেত্রে তেমনই ব্যবহারিক ক্ষেত্রে, (‘স্বরাটু’ শব্দটি যে বৈদাস্তিক পরিভাষা থেকে গৃহীত এ-কথাটি সকলে জানেন কিনা জানি না ), স্বরাজ্য-সিদ্ধির জন্য কঠোর সাধনার আবখ্যক । সেই সাধনাই আমাদের মধ্যে একদল যুবকের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে সাধনা কি ?