পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gł o 8 تیره می به سمه لاسه বার বার প্রতিজ্ঞ করতে লাগল, ভবিষ্যতেও বরাবব এমনি একলা থাকবে, তার জীবন সমাজের জন্তে কষ্ট হয় নি—সমাজ হচ্ছে ধনীদের খেলাঘর, সেখানে তর কিসের দরকার ? - তার ব্যাগের ভিতরে সুমিত্রীর তীক। থানকয়েক ছবি ছিল । ছবিগুলোর উপরে সে একবার চোখ বুলিয়ে গেল। এই অল্পদিনেই স্বমিত্রার আঙুল বেশ নিপুণ হয়ে উঠেছে, কোনো কোনো ছবির রেখা দেখলে বাস্তবিকই মুখ্যাতি করতে হয়, আরো কিছুকাল তার শিক্ষাধীনে থাকূলে স্বমিত্রীর হাতের কাজ অনেকটা নিখুত হয়ে উঠত। এই-সব কথা ভাবতে ভাবতে রতন ছবিগুলিকে টেবিলের উপবে এমন ভাবে রেখে দিলে যাতে ক’রে সে চলে গেলে পর এ ঘরে ঢুকলেই সুমিত্রীর চোখ তার উপরে পড়ে।- স্বমিত্রার সঙ্গে একবার দেখা ক’রে গেলে হত, কিন্তু সে উপায়ও তে নেই ! স্বমিত্রা যে তার সঙ্গে আগেই কথা বন্ধ ক'রে দিয়েছে ! গোছগাছ শেয থ'লে রতন নিজের মোট তুলে নিয়ে অগ্রসর হ’ল । তার পর দরজাটা খুলতেই ঘরের ভিতরে এসে ঢুকুল—স্থমিত্ৰ ! রতন অবাকু হয়ে দু' পা পিছিয়ে দাঁড়াল। সুমিত্রা বললে, “কোথায় যাচ্ছেন ?” যে স্থমিত্র তাজ তিনদিন ধ'রে তার সঙ্গে কথা কয় নি, এমন সময়ে তার দেখা পাবার আশা রতন মোটেই করে নি। সে চুপ ক'রে দাড়িয়ে রইল, বিস্মিতের মতন। সুমিত্রা হাশিমুখে বললে, “রতন-বাৰু, এ তিনদিন আপনার সঙ্গে আমার আড়ি ছিল । আজ আবার ভাব করতে এসে ি ৷” রতন মৃদুকণ্ঠে বললে, “শুনে সুখী হলুম।” —“কিন্তু আপনি মোট ঘাড়ে ক’রে কোথায় যাচ্ছেন বলুন দেখি ?” —“তোমার বাবার কাছে সে কথা শুনে । পথ ছাড়ো ।” -“আমি পথ ছাড়তে আসি নি, রতন-বাবু।” * —“তার মানে ?” - —“আমি পথ আগলাতে এসেছি।” که گی প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩০ { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড —“কেন ?” —“বলছি । আগে মোট নামান ।” —“ন, দয়া ক’রে ছেলেমানুষী কোরো না, আমাকে যেতে দাও ।" —“কোথায় যাবেন, পূর্ণিমার কাছে ?” —“আবার তুমি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছি ?” —“সত্যি বলছি, রতন-বাবু, আমি ঠাট্টা করছি না।” —“আমাকে আর কোনো কথা জিজ্ঞাসা কোরো না, আমি কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি, সব কথা তোমার বাবার কাছেই জানতে পারবে ।” —“আমি সব কথা শুনেছি রতনবাবু, কিন্তু আমার উপরে আপনি কেন এত নিঠুব হচ্ছেন ?” —“সুমিত্র, তোমার পরে আমি নিষ্ঠুর হয়েছি ?” —“নইলে এমন ক’রে চ’লে যেতে চান ?” —“তুমি যখন সব কথাই জানো, তখন কেন আমি যাচ্ছি তা কি তুমি জানো না ?” —“জানি । কিন্তু আমি তা বিশ্বাস করি না।” —“তবু তামাকে যেতে হবে ।” —“আমি যেতে দেব না ।” —“তুমি!” —“হঁn, রতন-বাবু, আমি—আমি, আমি আপনাকে ধেতে দেব না !” —“সে কি সুমিত্ৰা ।” —“আপনি গেলে আমিও আপনার সঙ্গে যাব ।” বিস্ময়ে নিৰ্ব্বাকৃ হয়ে স্বমিত্রার মুখের পানে রতন চেয়ে রইল । স্বমিত্র। আবেগ-ভরে বলতে লাগল, “ভাবছেন আমি ছেলেমামুখী করছি ? না, রতন-বাবু, তা নয়! আপনি যদি বলেন, এখুনি আমি আপনার সঙ্গে চ'লে যেতে পারি —কেউ আমাকে বাধা দিতে পারবে না। আপনি কি তাই চান ? চুপ ক’রে রইলেন কেন—বলুন, বলুন । আমাকে ছেড়ে আপনাকে আমি কোথাও যেতে দেব না”—বলতে বলতে তার দুই চক্ষু দিয়ে অশ্রুর ধারা উছলে পড়ল—সে দুই হাতে নিজের মুখে ঢেকে, সেইখান, রতনের পায়েব কাছে ধুপ, ক'রে বসে পড়ল।