পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و& dt e তাহাতেও ত পুরুষের হস্তক্ষেপ করায় শাস্ত্রে অথবা আইনে মান নাই ; কিন্তু এই অধিকারের সদ্ব্যবহার করিয়া গৃহকৰ্ম্ম করিতে পুরুষকে সৰ্ব্ব স্থলে বা অধিকাংশ স্থলে ত দেখা যায় না। পত্নীর মৃত্যুতে একাদশীর উপবাস ও ব্রহ্মচৰ্য্য পালন ত পুরুষকে করিতে শাস্ত্রকার কি আইনকৰ্ত্তা বারণ করেন নাই ; তবে এদিকেই বা তাহাদের দৃষ্টি এত কম কেন ? মামুষের অধিকার মানুষ সুবিধা ইচ্ছা শক্তি কর্তব্য ও পছন্দ-মত সকল দিক দেখিয়া খাটায়। সকল মামুষের সকল কাজ করিবার ইচ্ছা স্ববিধা শক্তি ও সময় না থাকিতে পারে। কিন্তু ঠিক্‌ কোন মানুষটির কোন কাজ করিবার মত অবস্থা হইবে কি ন-হইবে, ভবিষ্যদ্বাণী করিয়া কেহ বলিতে পারে না ; কোনো একটা জাতি সম্বন্ধেও তাঁহা বলা যায় না । সুতরাং অধিকার হইতে কাহাকেও বঞ্চিত করিবার স্পৰ্দ্ধা না রাখিয়া মানুষকে নিজ স্বভাব ও শক্তি প্রভৃতি অনুসরণ করিতে ছাড়িয়া দেওয়াই সভ্য সমাজের নিয়ম হওয়া উচিত। নিজ অধিকার অকুসারে কাজ করিতে গিয়া মানুষ যtহাতে নিজের ও অপরের কোনো ক্ষতি না করে, তাহ দেখিবার জন্য আধুনিক মানুষের শিক্ষিত মস্তিষ্ক আছে, স্বার্থবৃদ্ধি আছে, আইন আদালত আছে, মানুষের স্বেচ্ছা প্রণীত বহু নিয়ম আছে, সামাজিক বন্ধন ও আচার ব্যবহার আছে । পাছে সে নিজের কিম্বা অপরের ক্ষতি করে এই ভয়ে তাহাকে জন্মাবধি জেলখানার কয়েদী করিয়া রাখিবার দরকার নাই । সচরাচর একটা তর্ক শোনা যায়, যে, গৃহের বাহিরের কৰ্ম্মক্ষেত্রে নারী পুরুষের উপরে ত উঠিতেই পারেন না, এমন কি সমকক্ষও হইতে পারেন না। “রাজনীতিক্ষেত্রে, বাণিজ্য, কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান, সৰ্ব্বত্রই পুরুষ নারীর অনেক উপরে স্থান লাভ করিয়া আছে।” স্বতরাং যে ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠতা দেখাইবার উপায় আছে তাহা ফেলিয়৷ বৃথা আয়ু ও শক্তি ক্ষয় করিয়া পঞ্চম শ্রেণীর পুরুষের এতিমূৰ্ত্তি হইবার চেষ্টা কেন ? ব্যাস, বাল্মীকি, ভিক্টর হিউগে, শেক্সপীয়ার, র্যাফেল, চাণক্য, কি বিস্মার্ক, হইবার ক্ষমতা ও সম্ভাবনা যখন নাই, তখন সামান্ত চুনো প্রবাসী --মাঘ, లలిe ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড ASA SSASAS AAAMS পুটি হইবার জন্য এ-সকল ক্ষেত্রে নারীদের প্রবে: লাভের অধিকারের দাবী করিয়া কি হইবে ? ধরা যাক, বহিজগতের কোনো কাৰ্য্যক্ষেত্রেই না পুরুষের মত উচ্চদরের স্বজনী শক্তি ও প্রতিভার পরি দিতে পারেন নাই এবং পারিবেনও না ; অর্থাৎ সব শ্ৰেষ্ঠ প্রতিভাবান্‌ পুরুষদের প্রতিভার তুলনায় সৰ্ব্বতে প্রতিঙাশালিনী নারীদের প্রতিভা অতিক্ষীণপ্রভ এ ংখ্যায়ও এই-সকল নারী ঐ জাতীয় পুরুষদের অপেশ্ব অনেক কম। সমগ্র পুরুষজাতি ধরিয়া যদি বিচার ক:ি তাহা হইলে দেখিব, সাধারণ মামুষের তুলনায় জগতে সৰ্ব্বদেশে ও সৰ্ব্বকালেই অসাধারণ ও উচ্চদরের প্রতিভ বান্‌ মানুষের সংখ্যা মুষ্টিমেয়। জগতের ইতিহাস যতদি হইতে লিখিত হইয়াছে, ততদিন যে কোটি কোটি পুরু পৃথিবীর বক্ষে বিচরণ করিয়া গিয়াছে, তাহাদের মধে কয় জন অতিমানব ও মহাপুরুষ জন্মিয়াছেন হিসা করিয়া দেখাইতে খুব বেশী সময় লাগে না । কোf পুরুষ প্রতি ইহাদের সংখ্যা কত সামান্য হইবে দেখিৰে বিস্মিত হইতে হয়। অথচ মানুষের স্থষ্টিকাল হইতে পুরুষ শিক্ষার ও কৰ্ম্মক্ষেত্রের স্থযোগ পাইয়া আসিতেছে নারীর সেরূপ এবং ততটা স্বযোগ আগে ত পানই নাই, এখনও পাইতেছেন না। স্বতরাং জগতে একজন নারীও যদি শ্রেষ্ঠ প্রতিভার পরিচয় না দিয়া থাকেন, তবে এই হিসাব দেখিবার পর তাহাতে নারীদের লজ্জা কি দুঃখের খুব বেশী কারণ থাকিবে না। সৰ্ব্ববিধ স্বযোগ থাকা সত্বেও প্রতিভাবান ও অমরকীৰ্ত্তিমান পুরুষের সংখ্যা যদি এত কম হয়, তাহা হইলে স্বযোগহীন নারীর অমরকীৰ্ত্তি না-থাকাটা লজ্জা দুঃখ বা বিস্ময়ের বিষয় হইত না । কিন্তু প্রতিকুল অবস্থা সত্ত্বেও নারীর অমরকীৰ্ত্তি আছে। এত অল্প পুরুষ জগতে শ্রেষ্ঠ প্রতিভার পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও সমস্ত পুরুষজাতির বহিজগতের সমস্ত কৰ্ম্মক্ষেত্রে শিক্ষালাভ অমুশীলন ও অর্জিত বিদ্যা দানে কেহ আপত্তি করে না ; কারণ সমস্ত পুরুষ জাতির কোন অংশ হইতে শ্রেষ্ঠ প্রতিভার উদয় হইবে তাহ কেহ বলিতে পারে না এবং জগতে মুষ্টিমেয় মহামানব লইয়াই মামুষের জীবনচক্র চলে না। মহামানবগণ