পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

なぐり● Me SAeSAAAAAA SAAAAA S A S A S A S A S A S A MSAAAAAA S AAA S AAAAAS S আছে—কম, বেশী বা সমান আছে, বলিতে পারি না । কিন্তু, কোন কোন স্থলে হিন্দু বা মুসলমান পক্ষপাতী হইলেও, সুবিস্তৃত দেশের হাজার হাজার চাকরীতে হিন্দুর পক্ষপাতিতায় মুসলমানরা যোগ্যতা সত্বেও ঢুকিতে পারিতেছে না, ইহা নিতান্তই বাজে কথ। (তাহার প্রমাণ পরে দিতেছি ) ;—বিশেষত: যখন কাজ দিবার আসল মালিক অধিকাংশ স্থলে ইংরেজ, এবং ইংরেজ কেবলই হিন্দুর অল্পকূলে পক্ষপাতিত্ব করে, ইত। সত্য নহে । স্বরাজ্য-দলের চুক্তিপত্রের স্থল মৰ্ম্ম এই, যে, সবু কারী কাজের শতকরা ৫৫টি মুসলমান এবং ৪৫টি হিন্দু পাইবে । সরকারী কাজ উচ্চ ও নিম্ন নানা রকমের আছে । এই কার্য্যবিভাগটাকে অনেকটা হিন্দুর বর্ণাশ্রম অমুযায়ী কাৰ্য্যবিভাগের সঙ্গে তুলনা করা যায়। হিন্দুর শাস্ত্র বলেন, রাজ্যশাসন ও যুদ্ধ আদি রাষ্ট্ৰীয় কাজ ক্ষত্রিয়ের । স্বরাজ্য-দল বলিতেছেন, রাজ্যশাসন, রাষ্ট্ৰীয় কাৰ্য্য সম্পাদন, দেশরক্ষা ইত্যাদি কাজের অৰ্দ্ধেকের উপর মুসলমানের ; বাকি, অৰ্দ্ধেকের কম, হিন্দুর । কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়ম হিন্দুব শাস্ত্রীয় কার্য্যবিভাগ মানে নাই বলিয়া বর্ণাশ্রম-অনুযায়ী কার্য্যবিভাগ পুস্তকের পাতায় মাত্র আবদ্ধ হইয়া আছে ; প্রাকৃতিক নিয়ম যোগ্যতমেরই অমুকুল বলিয়। স্বরাজ্য-দলের ফতোয়াও মানিবে না। যোগ্যতা অনুসারে হিন্দু মুসলমান প্রত্যেকেই ৪৫টি বা ৫৫টির বেশী বা কম পাইবে । আমরা পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি, যে, সরকারী কাজের যোগ্যতার ভিত্তি শিক্ষা । শিক্ষা যে ধৰ্ম্মসম্প্রদাযের মধ্যে যত বিস্তৃতি লাভ করিয়াছে, সরকারী কাজও তাহারা সেই পরিমাণে পাইবে । কোন কোন স্থলে হিন্দুব প্রতি পক্ষপাতিত্ব হইয়া থাকিলেও, মোটের উপর ধে অবিচার হয় নাই, তাহার একট। পরোক্ষ কিন্তু অখণ্ডনীয় প্রমাণ দিতেছি। চিকিৎসা বিভাগের সরকারী চাকরীতে নিযুক্ত ডাক্তার অপেক্ষ বেসরকারী এলোপ্যার্থী হোমিওপ্যার্থী হাকিমী কবিরাজী প্রভৃতি নানা মতের চিকিৎসকের সংখ্যা ঢের বেশী । সালের বঙ্গের সেন্সস রিপোর্ট, অনুসারে চিকিৎসাদি কাজে নিযুক্ত কৰ্ম্মী ও পোয্যের >3&> (E!বাসী—মাঘ, తిరి S AM AM MM AAAA AAAA S AAAAA AAAAMASMSMMBAeMMA AMMAe eAeSAASAASAASAASAASAASA SAAAAS AAASASAAAMMAMMAMAMAM MMMAMMA AMMAMM MA MAMMAMAAAS [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড - م حتمسه حمامية মোট সংখ্যা ১,৭৭,৩৬৯। তাহার মধ্যে ১,৪১,৩২৫ হিন্দু ; ৩১,৭১৮ মুসলমান ( অন্যান্য ধৰ্ম্মের লোকদের উল্লেখ এখানে অনাবশ্বক ) । হিন্দু অধিবাসী অপেক্ষ মুসলমান অধিবাসীর সংখ্য বেশী। কিন্তু চিকিৎসাদি কাজে যত হিন্দুর জীবিকানিৰ্ব্বাহ হয়, তাহার সিকি মুসলমানেরও হয় না। এখানে কেহ বলিতে পরিবেন না, যে, কেহু পক্ষপাতিত্ব করিয়া মুসলমানদিগকে বঞ্চিত রাখিয়াছে। আইনের ব্যবসাও একটি “স্বাধীন” ব্যবসা । বঙ্গের । ১৯২১ সালের সেন্সস অনুসারে দেখিতে পাই, মোট ব্যারিষ্টার, উকীল, কাজী, মোক্তার ও রেভিনিউ এজেণ্টের ও তfহাদের পোষ্যদের মোট সংখ্যা ৫৬,৯১৯ । ইহার মধ্যে হিন্দু ৫০,৭৩১ ; মুসলমান ৫,৬০২ ৷ বঙ্গে মুসলমান অধিবাসীর সংখ্যা বেশী ; তাহার হিন্দুদের চেয়ে মোকদ্দমা ও কম করে না। অথচ আইনব্যবসায়ী মুসলমানের সংখ্যা ঐ-ব্যবসায়ী হিন্দুর চেয়ে খুব কম। উকীল ব্যারিষ্টারের মুহুরী, দরখাস্ত-লেখক প্রভৃতির সংখ্য মোট ৩০,৮৪০ ; তন্মধ্যে হিন্দু ২৬,১৮০, মুসলমীন ৪,৫ ৭৭ ৷ ধৰ্ম্মব্যবসায়ীর সংখ্যাও ধরুন। এই কাজে মুসলমান মুসলমানকে এবং হিন্দু হিন্দুকেই নিযুক্ত করিতে বাধ্য। মুসলমানের ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম হিন্দু পুরোহিতের দ্বারা হইতে পারে না, এবং গবর্ণমেণ্ট, কোন পরীক্ষা লইয়াও কোন সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মব্যবসায়ী কে হইবে, ঠিক করিয়া দেন না । সুতরাং এক্ষেত্রে কোন-প্রকার পক্ষপাতিত্বের কথা উঠিতে পারে না । ধৰ্ম্ম ব্যবসায়ীর মোট সংখ্যা ৩,২০,৪৬৫ । তাহার মধ্যে ২,৭৬,৫৭৪ হিন্দু ; ৩৮,০৯৩ মুসলমান । অতএব, মোটামুটি দেখা গেল, যে, যে-সব “স্বাধীন” ব্যবসার কাজে অল্প বা বেশী লেখাপড়া জানা দরকার, এবং যাহাতে কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের পক্ষপাতিত্বের কথা উঠিতে পারে না, বরং যাহাতে যোগ্যতাই টিকিয়ু থাকিবার ও উন্নতি করিবার প্রধান উপায়, তাহাতে । মুসলমান অপেক্ষা হিন্দুর সংখ্যা ঢের বেশী।