পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ৪র্থ সংখ্যা ] ছিলেন । সেই কারণে বিদেশ হইতে অপেক্ষাকত কমসংখ্যক মুসলমানের আসিয়া তাঙ্গদিগকে পরাজিত করিতে সমর্থ হন । মুসলমানেরাও, দেশকে নিজের করিয়া লইয়া, সকলের সর্ববিধ শক্তির বিকাশের ব্যবস্থা করিয়া, সকলকে সৰ্ব্ববিধ শক্তি বিকাশের সুযোগ দিয়া যোগ্যতমের আদর করিয়া, সৰ্ব্বসাধারণকে রাষ্ট্ৰীয় কাৰ্য্য পরিচালনের অধিকার দিতে পারেন নাই । এই জন্য মুসলমান রাজার ও তাহাদের কৰ্ম্মচারীর বিধা তার তুলদাড়িতে অধোগ্য বিবেচিত হন। ইংরেজ বাণিজ্য করিতে আসিয়া বাজ হইয়াছিল এইজন্য, যে, মোটের উপর তাহাদের যোগ্যতা বেশী ছিল । সংক্ষেপে, আমরা ইহাই বলিতে চাই, যে, বাষ্ট্রীয় ছোট বড় কাজ চালান, দেশেব ছোট বড় কাজ চালান, যথাযোগ্য ভাবে যার-তার দ্বারা হয় না ; কাহাকেও কোন একটা কাৰ্য্যক্ষেত্রের সবটার বা কতকটার মালিক করিয়া দিলেই যে সে ঠিকমত কাজ চালাইয়া মালিকত্ব রাখিতে পরিবে, ইহা মনে করা খুব ভূল । হিন্দু জৈন বৌদ্ধ ত ভারতের সব কাস্যক্ষেত্রের মালিক ছিল ; কিন্তু সে মালিকত্ব গেল কেন ? অযোগ্যতাব জন্য । মুসলমান ভাবতের অধিকাংশ প্রদেশের রাষ্ট্ৰীয় কাৰ্য্যক্ষেত্রেব মালিক ছিল । তাহা গেল কেন ? অযোগ্যতা হেতু । মরাঠী:ভারতের অনেক প্রদেশের প্রভূ হইয়াছিল। প্রভু থাকিতে পারিল না কেন ? অযোগ্যতার নিমিত্ত। ইহাই মোটামুটি উত্তর । জ্ঞান অর্জন ও দানের, ধৰ্ম্ম আচরণ ও ধৰ্ম্মেীপদেশ দানের পুরাপুরি অধিকার ( শতকরা ৫৫ অংশ নহে ) শাস্ত্র অনুসারে ব্রাহ্মণের ; রাজকাৰ্য্য ও যুদ্ধেব পূব অধিকার (শতকরা ৫৫ অংশ নহে ) শাস্ব অনুসারে ক্ষত্রিয়েব । কিন্তু এসব কার্য্যক্ষেত্রে অন্যান্য ধৰ্ম্মের ও জাতির ( caste এর ) লোকেরাও বহু শতাব্দী হইতে ভাগ বসাইতে সমর্থ হইয়াছে কেমন করিয়া ? অধিকতর যোগ্যতার দ্বারা : মুসলমান যখন এদেশ জয় করিলেন, তখন তিনি সরকারী কাজের শতকরা ১০০টিই, ৫৫টি নহে, স্বধৰ্ম্মীকে দিতে সমর্থ, ও অধিকারী ছিলেন ; কিন্তু প্রভুত্বের সময়ও তাহা দিতে পারেন নাই । কারণ সব কাজ মুসলমানের বিবিধ প্রসঙ্গ—হিন্দুদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ©© দ্বার চালাইবার মত নানা-প্রকারের শক্তি দক্ষত৷ যোগ্যত। মুসলমান-সম্প্রদায়ের মধ্যে ছিল না । এইজন্য অনেক বড় বড় কাজ আওরংজীব বাদশাও হিন্দুকে দিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । মুসলমান-শাসনকালের শেষ দিকে যখন মৈস্বরের হিন্দুরাজবংশকে সিংহাসনচ্যুত করিয়া হাইদার আলী ও টিপু সুলতান রাজত্ব করেন, তখনও তাহাদের প্রধান মন্ত্রী নিযুক্ত হইয়াছিলেন পূর্ণিয়— একজন হিন্দু ৷ বঙ্গের শেষ নবাবদের রাজত্বকালে ৪ প্রাদেশিক শাসনকর্তা প্রভৃতির পদে র্যাহার নিযুক্ত ছিলেন, তা তাদের মধ্যে অনেক হিন্দুর নাম আজিকালকার দিনে ৪ দেখিতে পাই, যখন কিছু কাল পূৰ্ব্বে বঙ্গের কোন কোন মুসলমান ধৰ্ম্মনেতা মুসলমান জমাদারদিগকে হিন্দু কৰ্ম্মচারী ছাড়াইয় তাহাদের জায়গায় মুসলমান কৰ্ম্মচারী রাখিতে বলেন, তখন সে অনুরোধ রক্ষিত হয় নাই। আফগানিস্থানের বর্তমান মুযোগ্য আমীবেরও একজন প্রধান কৰ্ম্মচারী দেওয়ান নিরঞ্চনদাস হিন্দু ; কারণ সম্ভবতঃ আমীর তীহাকেই এই কাজেব সৰ্ব্বাপেক্ষ উপযুক্ত মনে করেন । অতএব, আমরা ইহাই বলিতে চাই, যে, মুসলমানের শতকর। ৫৫টি কেন, শতকরা ৮০টি সরকারী কাজই প্রাপ্ত হউন, তাহাতে কোনই আপত্তি নাই ; কিন্তু যোগ্যতা দ্বারা তাহারা উহ। প্রাপ্ত হউন । যোগ্যতা অর্জনের জন্য র্তাহাদিগকে শিক্ষা লাভের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হউক । সেইসঙ্গে হিন্দু সমাজের যে-সব জা’ত মুসলমানের চেয়েও শিক্ষায় পশ্চাদ্বী তাহাদিগকেও সুযোগ দেওয়া হউক । छठे श्ध्र । হিন্দুদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ একজন শিক্ষিত মুসলমান খবরের কাগজে লিখিয়াছেন, যে, হিন্দুর সব আফিস দখল করিয়া বসিয়াছে ; তাহীদের বড়-বাবুরা যোগ্য মুসলমানকে চাকরী না দিয়া কেবল হিন্দুকেই চাকরী দেয় । কোন হিন্দু চাকর্যের বা অনেক হিন্দু চাকর্যের এইরূপ দোষ নাই, ইহা আমরা বলিতেছি না । মুসলমান চাকর্যেদেরও অনেকের এই দোষ