পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●ፃ• هم مسیحیه تحتی ۶۹یعی ۶۳۹یه নাই, নয় ऊंशब्र। गन्त्री इ३८ङ ब्राखौं श्न नाडे, কিম্বা গবর্ণর তাহাদিগকে রাজনৈতিক বা অন্যবিধ কারণে মনোনীত করেন নাই। স্যার স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচিত হন নাই ; স্বতরাং তাহার সহিত মল্লিক সাহেবের তুলনার প্রয়োজন নাই । ইহার চেয়ে যোগ্য লোকও দেশে আছেন । ইনিও মন্ত্রী হইয়া কি করিতে পারিবেন, না দেখিলে বিশ্বাস নাই। তবে যদি এই তিন ব্যক্তি বার্ষিক চৌষটি হাজার টাকা শোষণ না করিয়া অল্প কিছু কমও লইতে রাজী হন, তাহা হইলে তাহাও একট। কীৰ্ত্তি হইবে বটে। প্রবল-পরাক্রান্ত জাপান-সাম্রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী মাসিক দেড় হাজার এবং অন্য মন্ত্রীরা মাসিক হাজার টাকা বেতন লইয়া থাকেন। সুতরাং ম্যালেরিয়ায় ছারখার এবং ভারতগবর্ণমেণ্টের দয়ায় শূন্ততহবিল বাংলা দেশের মন্ত্রীরা যদি মাসিক পাচ হাজার লইয়া খুচরা কয়েকটা টাকা ও ছাড়িয়া দেন, তাহ বাঙালী দেশভক্ত মন্ত্রীর পক্ষে কম দয়া হইবে না। শুনা যায়, সে-কালে বড় ঘরান। যে-সব ইংরেজ সৈনিক বিভাগে অফিসারের কাজ করিতে আসিত, তাহীদের কেহ কেহ বেতনের অর্থের নোট কখানা পকেটে পুবিয়া চলিয়া যাইত, টাকা রেজকী পয়স পাই কেরানী চাপরাসীরা লইত। মন্ত্রী মহাশয়েরা এই দৃষ্টাস্তের অনুসরণ করিয়া মাসিক ৩৩৩/৪ পই বাংলা দেশের গরীব প্রজাদিগকে মাপ করিলে খুব অনুগ্রহ করা হইবে । তাহা হইলে বুঝিব, জাপানী মন্ত্রীরা মাসিক হাজার টাকা লন, ইহঁর লন, মাসিক পাচ হাজার মাত্র ; অতএব জাপানী মন্ত্রীদের অন্ততঃ এক-পঞ্চমাংশ স্বদেশপ্রেম বাঙালী মন্ত্রীদের জন্মিয়াছে ; এবং তাহাতে দেশের লোক পুলকিত হইবে ! আগেকার বারের মস্ত্রীরা বার্ষিক ৪৮০ • • মাত্র আত্মসাৎ করিয়া বাকী ষোলহাজার দেশহিতে লাগাইবেন বলিয়াছিলেন। কিন্তু তাহার কোন হিসাব পাওয়া গেল না। এইজন্য এবার বার্ষিক ষোল হাজারের পরিবর্তে বার্ষিক চারি হাজার টাকার ভিক্ষা জানান যাইতেছে। প্রবাসী—মাঘ, ృలిరిe AMAAA SAAAAA MAAASAAAAS AAAAA AAAA SAAAAA AAMAAA SAAAAA SAAAAAe eMe AAAA AAAA AAAASAAAA [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড AMMeAe AMMAeMAAA SAAAAA AAMA SAeAeeAMAMAAAA জাতীয় উন্নতি ও চিন্তাশক্তির ব্যবহার আমাদিগের মধ্যে বৰ্ত্তমানে জাতীয় উন্নতি লইয়া চিন্তা ও আলোচনা খুবই প্রচলিত হইয়া উঠিয়াছে। নানান মুনির নানান মত, কথাটির সত্যতা প্রমাণের স্বযোগ এরূপ আর কখনও পাওয়া যায় নাই । কিন্তু একটি বিষয়ে প্রায় সৰ্ব্বক্ষেত্ত্বেই ভুল ধারণা রহিয়াছে দেখা যায় । মতামত প্রকাশ-কালে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই মানুষ, চিন্তার সহিত ভাল লাগ না-লাগার যে বিশেষ পার্থক্য আছে, একথা হুলিয়া যায়। আমার কি ভাল লাগে অথবা ন লাগে, অর্থাৎ কোন কিছুকে আমার হৃদয় কি ভাবে গ্রহণ করে, তাহার সহিত আমার চিন্তার ধারার কোন অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধ থাকা উচিত নহে। পৃথিবী গোল ন হইয়া ত্রিকোণ হইলে কাহারো কাহারে হৃদয়ে আনন্দের উদ্রেক হইতে পারে, কিন্তু তজ্জন্য, পৃথিবী ত্রিকোণ, ইহা কাহারও ভাবা উচিত নহে। বাস্তবিক ঐরূপ অসঙ্গত ধারণা কোন শিক্ষিত ব্যক্তির মনে না থাকিলেও, ঐ-প্রকার গোলযোগ অনেকের মনেই হইয়া থাকে। আমরা যখন বলি, “আমার মনে হয় অমুক জিনিয ভক্ষণ করিলেই শরীর ভাল হয়", তখন কি আমরা চিন্তাশক্তি ব্যবহার করিয়া কথাটি বলি ? একটি আবছা মনোভাবকে চিন্তা বলিয়া ভুল করি বলিলেই যথার্থ বলা হয় । আমার মনে হয়, অর্থে, আমি চিন্ত| করিয়া ইহা মনে করি, একথা বুঝায় না । কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই আমাদের এই ভুল ধারণ বর্তমান । চিন্তা ও অনুভূতির মধ্যে যে বিশেষ পার্থক্য আছে, এই জ্ঞানের অভাবই বহু ভুল ধারণা ও অবিবেচনার মূল । বাহিরের ঘটনা মানুষের মনে কি-প্রকার অনুভূতির স্বষ্টি করিবে, তাহা নির্ভর করে মামুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, তাহার শিক্ষা ও পরিবেষ্টনী প্রভৃতি নানান কিছুর উপর। হিন্দু যে গোবধ পাপ মনে করে এযং মুসলমান যে করে না, ইহাতে প্রমাণ হয়, যে, গোবধ সম্বন্ধে ভারতীয় মানবের মনোভাব চিস্তার দ্বারা চালিত নহে ; জন্মাবধি শিক্ষা ও অন্যান্য কারণের প্রভাবেই হিন্দু ও মুসলমানের মনে একই বিষয়ে বিভিন্ন-প্রকার অমুভূতি হইয়া থাকে। মামুষের বিশ্বাস বিশেষ করিয়া এই-প্লেকার