পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] MSMSeSMAMSMSASAeAMSMMAMSMAAASAAA S শিক্ষা ও অন্যবিধ প্রভাবের ফল। ভারি জিনিষ মস্তকে পড়িলে আঘাত লাগে, এই বিশ্বাস বিশ্বের সর্বত্র সত্য বলিয়া গৃহীত হয় ; কেননা ইহার বিপরীত শিক্ষা বা উদাহরণ জগতে নাই। দুই আর দুইএ চার না হইয়া তিন অথবা পাচ, হয় একথাও ভরসা করিয়া এ জগতের কোন সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে না । অতিমানবেরা করিতে পারেন, কিন্তু তাহদের কথা এ ক্ষেত্রে আলোচ্য নহে । মোটর-চালক যে-কোন ধৰ্ম্মাবলম্বী হউক না কেন, কলকব্জ। সম্বন্ধে তাহার বিশ্বাস সৰ্ব্বক্ষেত্রে সমান । কোন মোটরচালকই বিশ্বাস করে না, যে, ‘ব্রেকৃ’ কষিলে গাড়ী আরও দ্রুতগামী হয়, অথবা তৈলের অভাবই এঞ্জিন চলিবার পক্ষে অমুকুল। বিজ্ঞান এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ে জগতের সকল শিক্ষিত মানবের মধ্যে একমত দেখা যায়। তাহার কারণ এই-সকল ক্ষেত্রে মাস্থ্য অনুভূভিকে চিন্তা বলিক্সা ভ্রম করেন । কিন্তু যিশু আবার অসিবেন, অথবা আসিবেন না; গোবধ ভাল অথবা মন্দ ; মাতুযের নিজের মত আগে, না তাহার ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মত লোকমত অথবা গুরুর মত আগে ; ভারতীয় মানব নিজের অদৃষ্ট নিজের হাতে রাখিবে, অথবা ইংরেজের হাতে রাখিবে , স্ত্রীলোকগণ মানুষ কি না ; মানুষের আত্মা আছে কি মা ; ইত্যাদি নানা বিষয়ে মানুষ মভ প্রকাশ কব্লিভে ক্রটি করে = কিন্তু চিত্ত কব্ৰিভে চাহে =ন । ইহার কারণ, মামুযের উপর আলুভূভির অভ্যাচীর । বেচারা বাঙালী কিছুতেই খুসী হইয়া ভাবিতে পারে না, যে, কাজ করিবার পক্ষে ধুতি পাঞ্জাবী শ্রেষ্ঠ পোষাক নহে, ফেনগালা ভাত শ্রেষ্ঠ আহাৰ্য্য নহে, বাল্যবিবাহ দুষণীয় ও জাতীয় আত্মহত্যার সামিল, স্ত্রীলোকদিগকে ঘরে বন্ধ করিয়া রাখা তাহাদের শরীর ও মন উভয়ের পক্ষেই অপকারী, সত্য কথা যে ভাষাতেই লিখিত হউক তাহা সত্য, ইত্যাদি । তাহার মন কিছুতেই শুনিতে চাহে না, যে, তাহার অনুভূতি তাহাকে ভুল বুঝাইতেছে। নিজের নিবুদ্ধিতা স্বীকার করার মতই, নিজ অমুভূতিকে মিথ্যাবাদী বলিতে মামুষের অহমিকায় আঘাত লাগে । কাজেই চিন্তা ও বিবিধ প্রসঙ্গ—জাতীয় আদর্শের গঠন-প্রণালী مت*سمتیے ہمہ مسیح حمیہ &^% যুক্তিকে, দিদিমা, ঠাকুরমা, বিবেক, ভালমন্দজ্ঞান, প্রভৃতি নানান ছদ্মবেশধারী অনুভূতির খাতিরে বর্জন করিয়া বাঙালী দ্রুতবেগে অহমিকার মোটরগাড়ী হাকাইয়া আত্মহত্যার দিকে ছুটিয়া চলিয়াছে। নানান বিষয়েই দেখা যাইতেছে, যে, বাঙালী নিজের পূৰ্ব্বশিক্ষা, পারিপাশ্বিক, সমাজ ও কুসংস্কার ইত্যাদি হইতে জাত অহুভূতিগুলির দোহাই দিয়া অবিবেচনা ও নিবুদ্ধিতা দোষে দুষ্ট হইতেছে । জ্ঞানের উপর সকল বিষয়ের সত্যাসত্যত নির্ভর করে । আমরা জ্ঞান সত্ত্বেও জ্ঞানবিরুদ্ধ কাৰ্য্য ত করিয়া থাকিই ; বহুক্ষেত্রে আবার জ্ঞানকেই অস্বীকার করি। কুশিক্ষা ও কুসংস্কারলদ্ধ অনুভূতিগুলিকে প্রশ্রয় দিবার জন্য এ এক বিরাটু আয়োজন । কিন্তু ফলে আমাদের জাতীয় উন্নতির কথা দূরে থাকুক, দুৰ্গতি ক্রমশঃ বাড়িয়া চলিতেছে। বর্তমান কালে আমরা মতামতের মূল্য বিচার করিবার পূৰ্ব্বে যেন দেখি যে উক্ত মতামত জ্ঞান ও চিন্তার উপরে নিৰ্ম্মিত, অথবা শুধু মানসিক অনুভূতির 2 || অ জাতীয় অাদর্শের গঠন-প্রণালী বাংলা ভাষায় একটি কথা আছে, সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দর । ব্যক্তি অথব| জাতি কি আদর্শ অনুসারে আপনাকে গড়িয়। তুলিতে চেষ্ট করবে, তাহা বলিতে গেলে এই কথাটি ব্যবহার করা প্রয়োজন হয় । কোন ব্যক্তি কখনও একাঙ্গসুন্দর হইতে চাহে না তাহী নহে ; কোন কোন জাতিও সেইরূপ আংশিক সৌন্দর্য্যের অন্বেষণে ঘুরিয়া বেড়ায় । ইহা সাধারণত ব্যক্তির বা জাতির আদশের অসম্পূর্ণতার ফল । ব্যক্তিবিশেষ শীর্ণ দেহ ও অগাধ পাণ্ডিত্যের একত্র সংস্থাপনকে আদর্শ মনে করিতে পারেন। অপর কেহ কোন একটি বিশেষ বিষয় মাত্র লইয়াই জীবনের প্রতি মুহূৰ্ত্ত কাটাইতে পারেন। জাতিবিশেষ শুধু অর্থের জন্য সকল শক্তি ও চেষ্টা ব্যয় করিতে পারে । কিন্তু আদর্শ জীবন, ব্যক্তিগতই হউক অথবা জাতীয়ই হউক, কদাপি এইরূপ একাঙিমুখী ও একাদম্বন্দর হইতে