পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৭৬ সম্বন্ধবিহীন । আমাদের স্বরাজ সকলের-“রাজ" হওয়া চাই ( কেবল যোদ্ধ-“রাজ” হইলে চলিবে না ) ; এবং তাহা হইতে হইলে স্বরাজ সকলের স্বেচ্ছাকৃত আত্মোৎসর্গ ও আত্মবলিদান দ্বারা লব্ধ হুওয়া চাই । তাহা না হইলে আমাদিগকে, কেবল স্ব সাজ লাভের জন্য নহে, স্বরাজ রক্ষার জন্যও যোদ্ধা শ্রেণীদের বলবীর্যের উপর নির্ভর করিতে হইবে । কিন্তু ইহা আমাদের করা চলিবে না । ( কারণ, খাহীদের শক্তির উপর নির্ভর করিতে হয়, তাহার কালক্রমে প্রত্ব ও অত্যাচারী হইয়া উঠে । ) অধিকতম লোকের নূ্যনতম ত্যাগের দ্বারা স্বরাজ লাভ করিতে হইবে, নূ্যনতম লোকদেব অধিকতম আত্মবলিদানের দ্বারা নহে । যেহেতু অহিংস অসহযোগের জাতিগঠনাত্মক অনুষ্ঠানসমষ্টির ফলদায়কতায় আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে, সেইজন্য আঞ্জ বল প্রয়োগের জন্য আমার গুদয় লালায়িত নষ্ঠে । এই গঠনমূলক অনুষ্ঠানসমষ্টি আমাদিগকে জয়ী করিতে যদি নাও পারে, তাহা হইলেও, আমি জানি, স্বেচ্ছায় প্রফুল্লচিত্তে দুঃখ সহ করিলে তাই ই সফল আস্ত্র বল প্রশে{গের জন্য উৎকৃষ্টতম প্রস্তুতি হইবে । কিন্তু, ঈশ্বরেষ্ঠায়, আমরা যদি মন প্রাণ দিয়া কাজ করি এবং ঘদি জাতিকে গঠনমূলক অনুষ্ঠানগুলির জন্য সামান্য ত্যাগ স্বীকারে অভ্যস্ত করিতে পারি, তাহা হইলে উহ। আমাদিগকে সিদ্ধির আশায় নিরাশ করিবে না।” স্বরাজ জাতির নিকট কি দাবী করে ? মৌলানা মহম্মদ আলি বলেন, “আমাদের যে পনের লক্ষ ভারতীয় জাতভাই অপরের প্রয়োজন সিদ্ধির জন্য যুদ্ধ করিতে গিয়াছিল, তাহারা প্রাণ দিতে গিয়াছিল, এবং অনেকে প্রাণ দিয়াওছে । ( আমরা আমাদের নিজেদের জাতীয় প্রয়োজন সিদ্ধির জন্য তাহীদের মত ত্যাগ করিতেছি কি ? করিতে প্রস্তুত আছি কি ? ) অহিংস অসহযোগ আমাদের কাছে যে সামান্য ত্যাগ চায়, তাহা হইতে পিছপাও হওয়া কি আমাদের উচিত? আমাদের বর্তমান কাৰ্য্যসমষ্টি জাতীয় কাজের আরম্ভ মাত্র ; এবং স্বরাজ লব্ধ হুইবার পর সৈনিকদের চেয়েও বেশী ত্যাগ . [ ২৩শ ভাগ, ২য় থগু o ASA SSASAS A SASAAAAASA SAAAAS AAAAA AAAASAAAAMAAAS AAAAAS থাকার আমাদিগকে করিতে হইবে । কোন একটা উদ্দেশুসিদ্ধির জন্য প্রাণ দেওয়া বেশী কঠিন নয়। সকল দেশে সকল যুগে মানুষ ইহা করিয়াছে, এবং কখন কখন অতি তুচ্ছ কারণে করিয়াছে। কোন উচ্চ উদ্দেশু সাধনের জন্যই জীবন ধারণ করা, জীবনের প্রত্যেক মুহূৰ্ত্ত তাহার জন্য ব্যয় করা, এবং প্রয়োজন হইলে, তজন্য দুঃখভোগ করা—ইহাই কঠিনতর কাজ । যে লক্ষ্যের জন্য আমাদিগকে জীবন ধারণ ও যাপন এবং দুঃখ সহ্য করিতে হইবে, তাহ, ভারতবর্ষে ঈশ্বরের রাজ্য স্থাপন।” গোবধ মৌলানা সাহেব গোবধ সম্বন্ধে অনেক খাটি কথা বলিয়াছেন। মংস্যা গান্ধী খিলাফতকে রূপক ভাষায় মধেনু বলিবার পূৰ্ব্বেই “আমার ভাই ও আমি স্থির করিয়াছিলাম, যে, গোবধের সঙ্গে আমরা কোন সম্পর্ক রাখিব না ; আমি জানি হিন্দু ভাইদের চোখে গাভী কিরূপ ভক্তির পাত্র । তখন হইতে আমাদের বাড়ীতে চাব রেরা ও গোমাংস ভোজন করে না, এবং আমাদের স্বধৰ্ম্মাদিগকে এইরূপ করিতে অনুরোধ করা আমাদের কৰ্ত্তব্য মনে করি । গে। কোরবানী আমার ভাই ও আমি কখন করি নাই, সকল দরকারের সময় ছাগ বলি দিয়াছি।” তাহার পর তিনি বলেন, যে, “দরিদ্রতর নগরবাসী মুসলমানদের গোমাংস প্রধান খাদ্য ; ছাগ ও মেষ মাংসের মূল্য খুব কমাইতে না পারিলে খাদ্যের জন্য গোবধ একেবারে বন্ধ করা যাইবে না। আমি বলিতে বাধ্য হইতেছি, যে, বেশীর ভাগ গাভী হিন্দুদের সম্পত্তি । গাভী দুধ দেওয়া বন্ধ করিলেই তাহারা যদি উহ বিক্রয় না করেন, তাহ হইলে গোবধ অনেক কমিতে পারে। গাভী রক্ষার জন্য ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করাইবার নিমিত্ত মেযছগব্যবসায়ীদিগকে উৎসাহ দিতে পারা যায়।” পরিশেষে তিনি সকলকে, বরদাস্ত করা এবং ত্যাগস্বীকার করা, এই দুইটি বিষয়ে পরস্পরের সহিত প্রতিযোগিতা করিতে অঙ্গুরোধ করেন । S A S A S A S A SAS S S AAAA S AAA S AAAA S -. ہا۔ ’’سہ