পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾Ꮔ& SAMAMeMAMAMMA AMM MA AMM MA AMAMMAMeeAMMMMAMMMMA SAM AMAMMAMMMJMAMMMAMMS ব্রাহ্ম bペ> ৬১৬ বৌদ্ধ * ఫిహ్రి ) ভূতপূজক s a *\o ( শিক্ষার অভাব প্রভৃতি কারণে ) মুসলমানদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা যে বেশী, তাহ পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি । অতএব, ধৰ্ম্মের কথা ছাড়িয়া দিয়া, যদি কেবল পার্থিব কারণেও লোকে খৃষ্টিয়ান করিবার চেষ্টায় না চেঁচাইয়া নামে-মাত্র-মুসলমান করিবার চেষ্টায় বিচলিত হয়, তাহাতে বিস্মিত হওয়া উচিত নয়। মৌলানা সাহেব এই প্রসঙ্গে একজন ধনী প্রভাবশালী মুসলমান ভদ্রলোকের যে প্রস্তাবটি কংগ্রেসের সম্মুখে উপস্থিত করেন, তাহাতে আমরা সায় দিতে পারিলাম না। তিনি বলেন, আদিম-নিবাসী জাতিসকল ও হিন্দু সমাজের অস্ত্যজ জাতিসকল যে-সব অঞ্চলে বাস করে, তাহা হিন্দু ও মুসলমান ধৰ্ম্মপ্রচারকের তাহাদের কৰ্ম্মার এবং হস্তেস্থিত টাকার পরিমাণ অনুসারে এক এক বৎসর বা দীর্ঘতর কালের জন্য ভাগ করিয়া লউন । হিন্দুর অংশে যে-সব জায়গা পড়িবে, সেখানে হিন্দু নিদিষ্টকাল কাজ করিবেন ; মুসলমানও তদ্রুপ নিজের অংশে কাজ করিবেন । নিজের নির্দিষ্ট স্থানের অকুন্নত লোকদিগকে র্তাহার নিজ নিজ সমাজের সামিল করিয়া লইতে চেষ্টা করিবেন। এরূপ ভাগাভাগিটা কতকটা প্রবল জাতিদের সমুদয় পৃথিবীর দুৰ্ব্বল “অসভ্য” জাতিদিগকে “ম্যাণ্ডেটু” দ্বারা ভাগ করিয়া লওয়ার মত শুনায়। সাওতাল বা গোড় যদি বলে, আমি হিন্দু বা মুসলমান বা গৃষ্টিয়ান কিছুই হইব না, তাহা হইলে তাহাকে উক্ত কোন সম্প্রদায়ের গ্রাস ও হজম করিবার কি অধিকার আছে ? তা ছাড়া, একই স্থানের কতক সাওতাল বা চামার বা হাড়ি উন্নত-হিন্দু হইতে, কতক মুসলমান হইতে, কতক খুষ্টিয়ান হইতে, কতক বৌদ্ধ হইতে চাহিতে পারে। কেবল একটি ধৰ্ম্মের আলোক ঐ স্থানে ধরিয়া অন্ত ধৰ্ম্মের আলোক আটকাইবার অধিকার কাহারও আছে কি ? তা ছাড়া, নির্দিষ্ট কালের জন্য এক সম্প্রদায়ের প্রচারকগণ কোন স্থানে কাজ করিয়া যদি চলিয়া যান, ও পরে অন্য প্রবাসী=মাঘ, ১৩৩e [ ३७* ভাগ, ২য় খং AAAAAA AAAASAAAAMeMASAMAeAeS AeS AeS ধৰ্ম্মের লোকেরা সেখানে গিয়া নিজের দল পুরু করিতে চান, তাহা হইলে কি নূতন করিয়া ঝগড়া বাধিবে না ? ধৰ্ম্ম প্রচার-ক্ষেত্র সম্বন্ধে কোন প্রকার ভাগাভাগি চলিতে পারে না । স্বরাজ ও বিদেশীর আক্রমণ মৌলানা মহম্মদ আলীর মতে, ভারতবর্ষে স্বরাজ স্থাপিত হইলে তাহাতে মুসলমানদের সকল প্রয়োজন সিদ্ধ হইবে । স্ব-রাজ কিম্বা সৰ্ব্ব-রাজের মধ্যে স্ব-ধৰ্ম্মও উহ আছে । ইসলাম ইহা বলেন না, যে, দিল্লীতে মোগলের সিংহাসনে একজন মুসলমানকেই বসিতে হইবে। তা ছাড়া, সকলেই জানেন, পৃথিবীর প্রবলতম মুসলমান রাষ্ট্রে রাজসিংহাসন আর নাই, তথায় সাধারণতন্ত্র স্থাপিত হইয়াছে। প্রত্যেক থাটি মুসলমান অতীত কালের পৃথিবীর বড় বড় মুসলমান-সাম্রাজ্যের কথা সেরূপ গৌরবের সহিত স্মরণ করেন না, যেরূপ গৌরবের সহিত খিলাফতের প্রথম ত্রিশ বৎসরের কথা স্মৃত হয়, যখন খলিফাগণ সাধারণতন্ত্রের প্রধান সেবক ছিলেন। এই-সকল কথা হইতে বুঝা যায়, যে, মৌলানা সাহেবের মনের ঝোক সাধারণতন্ত্রের দিকে । ভারতীয় মোসুেমদের সাহায্যে আফগানিস্থানের ভারত আক্রমণ করিবার আশঙ্কা সম্বন্ধে তিনি বলেন, যে, ওটা একটা জুজু মাত্র । তিনি বলেন, স্বরাজ লব্ধ হইবার পর যদি কোন বিদেশী ( যে ধৰ্ম্মেরই হউক ) • ভারত আক্রমণ করিতে সাহসী হয়, তিনি তাহা হইলে ভারতীয় সৈন্যদলে ভৰ্ত্তি হইবেন, এবং নিশ্চমুই পলাতক হইবেন না । র্তাহার মতে হিন্দুর যদি-ব ; স্বরাজ-সংগ্রামে ক্ষান্ত হন, তাহা হইলেও মুসলমানেরা স্বরাজের জন্য চেষ্টা করিতে থাকিবে, এবং স্বরাজ লব্ধ হইলে হিন্দুদিগকেও তাহার ফলভাগী করিবে । স্বরাজের অর্থ স্বরাজের অর্থ যে হিন্দুর প্রভুত্ব ও মুসলমানের দাসত্ব, কিম্ব মুসলমানের প্রভুত্ব ও হিন্দুর দাসত্ব নহে, তাহা