পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JS ভার ক্যিন্‌ষ্টে” ভবনে এই মূৰ্ত্তি দেখানো হইয়াছিল। দর্শকের একটা জ্যাস্ত নরবানরের হাত পা মুখভঙ্গী পাথরের শিল্পে স্পর্শ করিতে পারিয়াছে। অনেকদিন ধরিয়া গার্ডল এইটার জন্য খাটিয়াছিলেন । ( ७ ) প্যারিসের মতন বার্লিনেও বে-সরকারী প্রদর্শনীভবন অনেক আছে । এই-সকল ঘরে শিল্পদ্রব্যের ব্যবসায়ীরা চিত্রকর ও ভাস্করদের কাজ দেখাইয় থাকে। কেনা-বেচার ব্যবস্থাও থাকে, বলাই বাহুল্য । হবালাষ্টাইন কুলিটু ইত্যাদি নানা কোম্পানীর আশ্রয়ে এইরূপ শিল্প-বাজার বসে। এই-সকল বাজারে দুই মহিলা শিল্পীর কাজ দেখা গিয়াছে। ইহার দুইজনেই নারীমূৰ্ত্তি গড়িয়াছেন। মূৰ্ত্তিগুল সবই দুঃখ-দারিদ্র্য যন্ত্রণার অভিব্যক্তি । কোনো গড়নেই প্রাণ নাই, শক্তি বা স্বাস্থ্যও নাই। চোখমুখের ভিতর দিয়া হাহুতাশ বাহির হইতেছে । কতক গুলা শিশু লইয়৷ এক জননী বিত্রত, দুর্ভিক্ষ এবং নৈরাশ্যের আবহাওয়া। আর-এক ওগে বাদল, তোমার বিদায় বাজে, বাজে, মোর চেতনায় আঘাত হেনে, বুকের মাঝে ! তোমার চোখের জলে ধুযে যে-বাণী হায় গেলে খুঁয়ে,— তারি আকুল বিলাপ-ধ্বনি থামে না যে, আমার গোপন বুকের মাঝে ! সেই রাগিণী ফিরছে যে গে৷ কেঁদে কেঁদে কি-যেন তার ছিল বলার, গেছে বেধে ; না-বলা সেই বাণীর আভাস ছেয়েছে আজ সারা আকাশ,— মানস-লোকের দ্বারে-দ্বীরে সেধে সেধে সেই রাগিণী ফিরছে কেঁদে । প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩০ [ २०* छाँगं, २ग्न थe মূৰ্ত্তির লম্বা লম্বা মোচড়ানো হাত-পার আবেষ্টনে অশান্তি উদ্বেগ এবং ব্যাধির উৎপীড়ন পরিস্ফুট। জীবনে আনন্দের অভাব দেখাইবার জন্তও জার্মান শিল্পীরা বাটালি ধরে । দেখিবামাত্র মনে পড়িবে ম্যালেরিয়াগ্রস্ত অনাহার-প্রপীড়িত হাস্যবিহীন মরণমাত্র-প্রত্যাশী ভারতীয় নরনারীর জীবন । এইগুলা কি জাৰ্ম্মানির বর্তমান রাষ্ট্রীয় দৈন্তের সাক্ষী ? না বোলশেভিক বিপ্লবের অশান্তি কল্পনা করিয়া মহিলা স্থপতি উদ্ভট স্থষ্টি করিয়াছেন ? চিত্রশিল্পেও জাৰ্ম্মানরা এই ধরণের দৈন্ত এবং অশান্তিকে রূপ দিতেছেন । কোনো কোনো সমজ দার বলিতেছেন -“এই ধরণের দুঃখ-কষ্টের মূৰ্ত্তিকে রুশ সাহিত্যুবীর দস্তয়েব স্কির প্রভাব বিরাজ করিতেছে।” ভারতীয় দর্শক সহজেই অনুমান করিবেন,— জাৰ্ম্মানিতে কোনো এক গড়ন-রীতি অথবা শিল্পাদর্শ প্রভাবশালী নয়। এখানকার শিল্পসংসারে একসঙ্গে বহুবিধ রসের রূপের ও রীতির হষ্টি এবং প্রচার চলিতেছে। শ্ৰী বিনয়কুমার সরকার বাদল-বিদায় কত কথাই সেই-কাদনে রইল গাথা, কত হারা-স্মৃতির ব্যথা—আকুলতা ! কত প্রেমের কাহিনী যে ঐ কঁাদনে গেল ভিজে, আজ বাদলে তারি করুণ সজলত, হারা-স্মৃতির আকুলতা! বিদায়-পথের ওগো বাদল, তোমার বাণী হারা-দিনের কোন বারতা দিল আনি ; নাম-হারা কোন স্বরের স্মৃতি মনের নীড়ে জাগায় গীতি, অনেক-কালের ভুলে-যাওয়া বেদন হানি’ ওগো বাদল, তোমার বাণী । শ্ৰী হৃষীকেশ চৌধুরী