পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ꬃöö প্রবাসী চৈত্র, ১৩৩০ - [ २०* छौ*, २घ्न थ6 AAAAA SS AASAA AA ASA AAAA AAAA AAA AAAA AAAA AAAAeMAeSAAAAAA SAAAAAM MeMeeMAMMAMAeeSAeM AAAAS AAAAA AMAeeAeM eAAA AAAA SAAA AAAe MMA SAAeeMAeeAeeMAeMAeeAeAeMAeeAee eeAeeMAee eeMAMSAeMAMMSASAMAAAA পার্থক্য দেখি । কিন্তু যাজ্ঞবল্ক্যের মতে আত্মা একই । মানবাত্মায় মানবাত্মার কিংবা মানবাত্মায় পরমাত্মায় কোন ভেদ নাই । ২ । একমাত্র আত্মাই বৰ্ত্তমান ; আত্মা হইতে পৃথক বা দ্বিতীয় কোন বস্তু নাই । ৩। আত্মার অভ্যন্তরে ও বাহিরে কোন ভেদ নাই । অন্য ভাষায় বলা যাইতে পারে— আত্মা যেমন বাহমুহিত, তেমনি অন্তর-রহিত । ৪ । ভ্রাস্তিবশতই লোকে মনে করে এই জগৎ রহিয়াছে । যতক্ষণ এই জগৎ, ততক্ষণই দর্শন শ্রবণাদির কাৰ্য্য সম্পন্ন হইয়া থাকে। কিন্তু আত্মা যখন “স্বরূপ’ প্রাপ্ত হয়, তখন দ্বিতীয় বস্তু থাকে না, স্বতরাং তখন দশন শ্রবণাদি সম্ভব হয় না । ৫ । আমরা যাহাকে সংজ্ঞা’ বা চৈতন্য বলি, তাহা দ্বৈতমুলক। যখন দ্বৈত-রূপ ভ্রম অপসারিত হয়, তখন আত্মার সংজ্ঞ থাকে না । ৬। স্ব-রূপ অবস্থাতে আত্ম৷ অদ্বিতীয় সত্তারূপে অবস্থিতি করে। তখন বিজ্ঞান দর্শন শ্রবণাদির কোন বিষয় থাকে না। কিন্তু তখনও আত্মার বিজ্ঞান দৃষ্টি শ্রুতি প্রভৃতি বিলুপ্ত হয় না। এইজন্ত ના श्हेग्रांप्छ् আত্মা নিত্যই দ্রষ্ট শ্রোতা বিজ্ঞাত ইত্যাদি। ৭ । এই বিজ্ঞাতাকে জানা যায় না । যতক্ষণ আত্মাকে পৃথক বস্তু বলিয়া মনে করি, ততক্ষণই আমরা বলিয়া থাকি “আত্মাকে দর্শন শ্রবণ মনন ও নিদিধ্যাসন করিতে হইবে” । যখন প্রকৃত জ্ঞান হয়, যখন সবই আত্ম হইয়া যায়, তখন আর দর্শন শ্রবণাদির উপদেশ বা কার্য্য সম্ভব হয় না । ৮। আত্মাস পারমার্থিক সত্তা কোনপ্রকারেই বর্ণনা করা যায় না। ইহার বিষয়ে একমাত্র উপদেশ *নেতি”, “নেতি” । মৈত্রেয়ী-ব্রাহ্মণে ধাজ্ঞবল্ক্য ব্ৰহ্মশব্দের ব্যবহার করেন নাই । তিনি ব্যবহার করিয়াছেন “আত্মা” শব্দ । এই আত্মাকেই তিনি ব্ৰহ্মত্ব অর্পণ করিয়াছেন। অপরাপর স্থলে তিনি যে-ব্রহ্মতত্ত্ব ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা পরে আলোচিত হইবে। মহেশচন্দ্র ঘোষ ধন-বিজ্ঞানে নৃতত্ত্বের কথা ( ফরাসী পোল লাফাগ অবলম্বনে) ( S) একএক দলে ত্রিশ-চল্লিশ জনে মিলিয়া “স্তাহেবজ “রা দেশ হইতে দেশান্তরে বিচরণ করিত। যখন যেখানে খাওয়া-দাওয়ার স্বযোগ জুটিত, তখন সেখানে তাহার কিছুকালের জন্য ড়ের গাড়িত । মর্গান বলেন —“সাগরের কিনারায় কিনারায় স্তাহেবজরা আগৰ্ঘ্য চুড়িতে টুড়িতে দুনিয়ায় ছড়াইয়৷ পড়িয়াছে। দরিয়ার দুই কূল ধরিয়াও স্তাহেবজদের অভিযান অমুষ্ঠিত হইয়া থাকিবে ।” আফ্রিকার বুশম্যান এবং সিংহলের বেদাঙ্গাতি এখনও এইরূপ বিচরণের যুগেই রহিয়াছে। শিকার করিয়া ইহার যে-সকল জানোয়ার দখল করে, এমন কি সেইগুলা সম্বন্ধেও ইহার “নিজস্ব” বা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা করিতে পারে না । তাহা ছাড়া যে যে জমিনের উপর ইহাদের শিকার চলে সেই সমুদয়কেও ইহার নিজ সম্পত্তিরূপে বিবেচনা করিতে শিখে নাই । বঙ্গ বাহুল্য শিকারের জমি ভূসম্পত্তির অতি প্রাথমিক রূপ মাত্র । আদিম মানব জমি চষিতে জানে না । শিকার করিয়া এবং মাছ ধরিয়া সে জীবনযাত্রা নির্বাহ করে। বনের ফল মূল এবং জানোয়ারের দুধ তাহার খাদ্যদ্রব্যের তালিকায় বড় স্থান অধিকার করে । কাজেই অল্প-পরিমাণ জমিতে তাহার সকলপ্রকার অভাব মোচন হইতে পারে না। জানোয়ার চরাইবার জন্তই