পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હર્દ મરચ1િ] ব্যয়সংক্ষেপ করিলে যে রাজসরকারের বিশেষ সুবিধা হুইবে না,তাহ নিঃসঙ্কে'চে বলা যায়। তথাকথিত কুলীন সরকারী কৰ্ম্মচারীরা গাইকোয়ড়ের নিকট নিবেদন করিতেছে যে বৰ্ত্তমানে অস্ত্যঙ্গের সাধারণ স্কুলেই পড়িতে পারে । কিন্তু একথা সকলেই জানে যে অবনত শ্রেণীদের বিদ্যালয়গুলি উঠিয়া গেলে হিন্দুদের স্কুলে তাহাদিগকে প্রবেশ করিতে দেওয়া হইবে না। ফুল-দোল ASAMMMMMMAMAMMAMMAMMAMAMAMMMAMMMA AAMeM MeM MMMMMMMMeMMeMMeM AM SMMMSSM SAAMMMS SSSSSSS SSAAAASA SAAAAAMSAS AMMM AeMSAMMAMS SJSMSMSMS MM MSMSMSJJJAAAA ግ8S মহারাজ গাইকোয়াড় তাহার তথাকথিত কুলীন প্রজাদের কথা প্রত্যক্ষভাবেই জানেন। স্বতরাং তিনি তাহাদের দুরভিসন্ধিমূলক প্রস্তাবে কর্ণপাত করিবেন না বলিয়াই সাধারণের বিশ্বাস। অবনত জাতির তাহার এই উদারতার জন্য র্তাহার নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকিবে । ঐ প্রভাত সাগুলি ফুল-দোল এক শুনিয়াছি, পূৰ্ব্বে নাকি সেখানে নীলের চাষ-আবাদ চলিত। এখন সেস্থান শাল, তমাল, মহুয়া, হরিতকী, পলাশ ইত্যাদি নানা প্রকার বৃক্ষলতাদি-পরিপূর্ণ নিবিড় জঙ্গলে পরিণত হইয়াছে। স্মৃতিচিহ্নের মধ্যে, শীর্ণ সিঙ্গারণ নদীটি পূৰ্ব্বে যেমন ছিল, এখনও তেমনি বনের মাঝে ধীরে-ধীরে বহিতেছে । নীল কুঠীর যে-সব প্রাসাদতুল্য অট্টালিকায় বল-দপী বড়-সাহেব বাস করিতেন, সেগুলা এখন জীর্ণ পঞ্জরাস্থি-সম্বল অবস্থ য় নতশিরে ধূলায় মিশিতেছে। এবং সাহেবের পরিবর্তে সম্প্রতি সেখানে বন্য শৃগালের দল, তাহাদের অপ্রতিহত রাজত্ব বিস্তার করিতেছে । উৎপীড়িত এবং উৎপীড়ক, উভয় সম্প্রদায়ের পদধূলি বক্ষে ধরিয়া লাল কাকরের যে প্রশস্ত পথখানি তাহারই পাশে নিৰ্ব্বিকার মহাদেবের মত ধূলিশয্যা রচনা করিয়া পড়িয়াছিল,—সে যদিও আজ প্রকৃতির করুণায় আত্মসমর্পণ করিয়াছে, তথাপি কচিদুৰ্ব্বাঘাপগুলি তাহার রক্ত-রাঙা বুকের উপর বাচিয়া থাকিতে পারে নাই । কত শত নিরীহ শ্রমজীবীর রক্তে রাঙা এই পখরেখা,—নীলকুঠীর বহুবিধ অনাচার-অত্যাচারের কাহিনী আজিও স্মরণ করাইয়া দিবার লিমিত্ত সবুজের গায়ে রক্ত-নিশান উড়াইয়া বাচিয়া আছে ! সেদিন অপরাত্ত্বে এক সাওতাল যুবক পুনক, এবং এক সাওতাল-যুবতী স্বধী, ফুল তুলিবার জন্য এই বনে আসিয়া প্রবেশ করিল। নিকটস্থ একটা কয়লা-কুঠার কুলি-ধাওড়া হইতে তাহারা আসিয়াছে । আগামী কল্য তাহাঁদের বসন্তোৎসব আরম্ভ হইবে এবং সেইজন্য তাহারা অtজ হইতে পুষ্প-চয়নে ব্যস্ত হইয় পড়িয়াছে। সম্মুখে নীল-কুঠার ভাঙা দেওয়াল বাহিয়া নাম-নাজান কি একটা বন-লতার গাছ উঠিয়াছে এবং ফুলেফুলে সারা দেওয়ালটাকে ছাইয়া ফেলিয়াছে,– এমন কি, গাছের পাতাগুলি পর্যস্ত দেখা যাইতেছে না। সেদিকে স্বর্থীর নজর পড়িতেই, সে তাড়াতাড়ি সেইখানে ছুটিয়৷ গিয়া, হাত হইতে প্রথমে তাহার বঁাশের ঝুড়িটা নামাইল এবং মুগ্ধনেত্রে সেই গোলাপী রঙের ফুলগুলির পানে কিয়ৎক্ষণ ধরিয়া একদৃষ্টে তাকাইয়া রহিল । এদিকে ঠিক এই সময়টায় পশ্চিমদিগস্ত হইতে স্বৰ্য্যাস্তের বিচিত্র বর্ণচ্ছটা গাছের ফাকে ফঁাকে এই পুপ শোভিত ভগ্ন প্রাচীরের উপর প্রতিফলিত হইয়। স্থানটাকে আরও মনোরম করিয়া তুলিয়াছিল। সসস্কোচে ফুলের একটি গুচ্ছ তুলিয়া লইয়া, ধীরে ধীরে স্বধী তাহার খোপায় গুজিল । ভাবিল, সব ফুলগুলা তুলিয়। এখনই তাহার ঝুড়িট। ভৰ্ত্তি করিয়া লইবে কিনা। নিষ্ঠুরভাবে তাহাদিগকে ছিড়িয়া লইয়া গাছটাকে একেবারে হতশ্ৰী করিয়া দিতে সে যেন একটুখানি সস্কোচবোধ করিতেছিল। যৌবনবেদনাময় স্বন্দরীর বুকের তলায় কোথায় যেন ব্যথা বাজিতেছিল । ę