পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆt મંત્રn ] معمه میدهیم. ক্তিতর দিয়েই আমাদের মর্শকে স্পর্শ করে’ ব্লসকে আমাদের মানল লোকে সার্থক করে তুলতে চায়। কিন্তু ধ্বনির স্পন্দনের এই বিচিত্র স্বগ্ন লীলা ব্যাকরণ অর্থাৎ বিশ্লেষণের সূত্রে বেঁধে দেওয়৷ অসম্ভব। স্বতরাং সে প্রয়াস আমরা করব না। তবে বাংলা কবিতায় ছন্দম্পদনের রীতি বৈশিষ্ট্য এবং কোন কোন বিশেষ উপায়ে তা আমাদের চিত্তকে দোলা দেয় সে-সম্বন্ধে অনেক কথা বলা যায় এবং বলা দরকারও বটে। আমরা পরে সে-বিষয়ের আলোচনা করতে চেষ্টা করব। স্বর ছন্দ ও সঙ্গীতের আলোচনায় প্রবৃত্ত হয়ে আমরা মাত্রা লয় যতি ও তাল, উভয় শাস্ত্রের একম্বুটা সামান্ত পরিভাষা এবং দু শাস্ত্রেই এদের সার্থকতা ও পার্থক্য কি, তাই বিশদ করতে চেষ্টা করেছি। বলা বাহুল্য উভয়ুশাস্ত্রেই এমন কতকগুলো বিশেষ স্বতন্ত্ৰ ধৰ্ম্ম আছে যা এক পক্ষে থাটে অন্ত পক্ষে থাটে না । কাব্যছন্দের আলোচনা করাই আমাদের উদ্দেশ্য এবং এক্ষেত্রের বিশেষ ধৰ্ম্মগুলোর আলোচনা পুৰ্ব্বেই করা হয়েছে। কিন্তু সঙ্গীতশাস্ত্রের সঙ্গে কাব্যছন্দের খানিকট সাদৃশ্য আছে বলে উভঙ্গের মধ্যে একটা তুলনা করার উদ্দেশ্বেই সঙ্গীতের অবতারণা করা হয়েছে। সঙ্গীতের আলোচনা গৌণ এবং কাব্যছন্দের আলোচনাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশু। এইজগুই। কাব্যছন্দের কথাই বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করে সঙ্গীতের কথা সংক্ষেপেই সমাপ্ত করেছি। কিন্তু একথা মনে রাখা দরকার যে লয় ও তাল সঙ্গীতের ক্ষেত্রে যতই প্রয়োজনীয় হোকু না কেন এগুলোই সঙ্গীতের মূল-তত্ত্ব নয়, সঙ্গীতের অন্তরতম মূলতত্ত্ব হচ্ছে স্বর। মাত্রা লয় প্রভৃতি স্বরের বাহনমাত্র, স্বরের গতি-প্রকৃতিকে ফুটিয়ে তোলার মধ্যেই এদের সার্থকতা। সঙ্গীতে স্বরই অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দ-রসকে মামুষের মনের স্পৰ্শ-সীমার মধ্যে এনে পৌছিয়ে দেয়। সঙ্গীতে যেমন স্বর, কাব্যে তেমনি ভাব। ভাব বলতে শুধু শব্দের অর্থকেই বুঝিলে । ভাব বলতে বুঝি এমন একটা ইঙ্গিত, এমন একটা সৌরভ, এমন একটা স্বযম যা চৰিতের মধ্যেই জামাদের মানস লোকে অদ্ভুত पैt९ज1: इन ७ जलैंड ఇbసి, SAAAAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAAMAASAA AAAS সৌন্দৰ্য্যস্থষ্টির মায়াজাল বিস্তার করে। কাব্যেও তাল লয় মাত্র প্রভৃতি গৌণ, এই ভাবকে ফুটিয়ে তোলার মধ্যেই এদের সার্থকতা। ষা হোৰু, কাব্য এবং সঙ্গীত উভয়ের চরম লক্ষ্য এবং পরম সার্থকতা হচ্ছে সৌন্দৰ্য্য বা আনন্দ-রসের স্বষ্টি। সঙ্গীতে এই সৌন্দর্ঘ্য প্রকাশ লাভ করে স্বরের উপর নির্ভর করে’ এবং স্বরুপ্রবাহিত হয় লয় তাল প্রভৃতির আশ্রয়ে । কাব্যেও তেমনি সৌন্দর্ঘ্য ফুটে ওঠে ভাবের ভিতর দিয়ে এবং ভাব বিকাশিত হয় ছন্দের সাহায্যে। কিন্তু তা বলেও যে এ দ্বয়ের মধ্যে কোনো জায়গায় কোনো যোগ নেই তা নয়। সঙ্গীতে স্থর যদিও প্রধানত ধ্বনিকে অবলম্বন করে’ই সৌমাধ্যকে স্বষ্টি করে, তবু স্বরের মধ্যেও কাব্যের ভাব-ব্যঞ্জনার আভাস রয়ে গেছে। আবার, কাব্যের ভাবও সম্পূর্ণ স্বরনিরপেক্ষ নয় ; কেননা কাব্যের ছন্দেরও ত ধ্বনিনিরপেক্ষ কোন অস্তিত্ব নেই। কিন্তু গানের স্বর ও কাব্যের স্বরের মধ্যে গুরুতর প্রকৃতিগত পার্থক্য রয়ে গেছে। সঙ্গীতে ভাব স্বরের অম্ববৰ্ত্তন করে ; কিন্তু কাব্যের স্বরই ভাবের অমুসরণ করে । সেজন্যই কাব্য আবৃত্তি করার সময় আমাদের রসনা বুদ্ধিবৃত্তির অমুসরণ করে” কথার অর্থকে অব্যাহত রেখে কোথাও চলে ; কোথাও থামে । কবিতায় ছন্দধ্বনি স্বরকেই গ্রাধান্ত দিয়ে কথার অর্থকে সহজে গৌণ আসন দেয় না ; কাব্যে অর্থের অনুযায়ী হ'য়েই স্বর কখনো তীব্র কখনো মৃদু, কখনো গম্ভীর, কখনো তরল, কখনো মম্বর, কখনো দ্রুত হ’য়ে থাকে। সকলেই লক্ষ্য করে থাকৃবেন কবিতা আবৃত্তি করার সময় আমরা শুধু যে ছন্দ তাল বঁচিয়েই কথাগুলোকে আওড়াতে যাই তা নয় ; যদি শুধু তাই হ’ত তবে কবিতার প্রাণটাই জড় শব্দপুঞ্জের নীচে চাপা পড়ে' মারা যেত। তবে ছন্দ কবিতার ভাবকে গতি দান না করে। বরং পাষাণ প্রাচীরের মতো তার গতিরোধ করে’ই দাড়াত। কিন্তু প্রকৃত তথ্য ত তা নয়, ছন্দ কাব্যের বাধা না হয়ে তার সহায় হয়েছে । তার কারণ কাব্যের ভাবকে বহল করে বলে'ই ছন্দের প্রয়োজনীয়তা। ভাবের উপর প্রভুত্ব করাই ছন্দের কাজ নয়, বরং ছন্সের উপরেও