পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্রসঙ্গ টাকা চাই । ঘর সংসার চালাইতে হইলে টাকার দরকার হয়। ধনী হইলেই যে মানুষ খুব মুস্থ সবল জ্ঞানী ও কম্মিষ্ঠ হয়, তা নয় ; কিন্তু ধন থাকিলে সুস্থ সবল হইবার ও থাকিবার, জ্ঞানলাভ করিবার ও কৰ্ম্ম করিবার অধিকতর স্থযোগ হয় । 夷 এরূপ কথার উত্তরে অনেকে সহজেই একপ অনেক দৃষ্টান্ত দেখাইতে পারিবেন, যে, বিস্তর গরীবের ছেলে স্বস্থ সবল জ্ঞানী ও কৰ্ম্মী হইয়াছে। অতএব এবিষয়ের আলোচনা ভাল করিয়া করিবার আগে বুঝা দরকার, গরীব ও ধনী আমরা কাহাকে বলি। শরীরের ক্ষয় নিবারণ এবং দেহের বৃদ্ধির জন্য যে যথেষ্ট থাইতে পায়, আমরা বৰ্ত্তমান প্রসঙ্গে তাঙ্গাকে গরীবু বলিতেছি না, তাহাকে যথেষ্ট সঙ্গতিপন্ন বলিয়| মনে করিতেছি । একজন গরীবের ছেলে খুব বিদ্বান হষ্টতে পারে। হয় ত সে ছেলেটি বিনা বেতনে কোন কলেজে পড়িয়াছে । কিন্তু ইহার স্বারা প্রমাণ হক্টল না, যে, শিক্ষার জন্য ও জ্ঞান লাভের জন্য টাকার দরকার হয় না । কারণ, কলেজটি স্থাপন করিতে ও চালাষ্টতে অর্থের প্রয়োজন হইয়াছে । গরীব ছেলেটি টাকা না দিক, কিন্তু অন্যেরা দিয়াছে ও দিতেছে । ঐ ছেলেটি হয় ত কাহারো নিকট বহি ধার করিয়া কিম্বা কোন সাধারণ পুস্তকালয়ে গিয়া নানা রকম বহি পড়ে ; ভাঙ্গাতে ৪ প্রমাণ হয় না, যে, বিনি পয়সায় বহি পড়া যায় ; কেন না, সাধারণ পুস্তকালয়ের বহি পয়স৷ দিয়া কিনিতে হয় , যাহার। বঙ্গি ধার দেয়, তাহাদিগেরও বহি কিনিতে পয়সা লাগে । অনেক ক্ষুদ্র পুস্তকালয়ের পরিচালকের গ্রন্থকারদের নিকট পুস্তক চাহিয়। লন বটে . কিন্তু গ্রন্থকা বদিগকে পয়সা খরচ করিয়া বাচিয়। থাকিয়। বহি লিখিতে ও বহি ছাপাইতে হয় । আত্মচিস্ত। দ্বারা অনেক জ্ঞান লাভ করা যায় , কিন্তু এরূপ আত্মচিন্তা সভা সমাজের সভ্য মাগুষে করে । এবং এরূপ সভা অবস্থাস পৌছিতে অনেক অর্থব্যয় করিতে ছইয়াছে। স eir মনজের কোন ব্যক্তি সংসারভাগী সন্ন্যাসী হইয় গেলেও সাধারণতঃ র্তাহাকে গৃহীর শ্রমলব্ধ খাদ্যের উপর নির্ভর করিতে হয় । তিনি যদি অরণ্যবাসী হইয়া স্বভাবজাত ফলমূলের উপর নির্ভর করেন, তাহা হইলেও ইহা স্বীকার করিতে হইবে, যে, তাহার পিতামাতা ও পূৰ্ব্বজগণ এবং প্রতিবেশীদিগের নিকট হইতে তিনি শারীরিক ও সামাজিক উত্তরাধিকার- ( physical and social inheritance ) won to atologa, stat; জন্য তিনি ঋণী, এবং তাহার পূৰ্ব্বজ ও প্রতিবেশীদের পূৰ্ব্বজগণের সভ্যতা অর্থসাপেক্ষ ছিল। সামাজিক নানাদিকের উন্নতির গোড়ার কথা আমূল আলোচন। বেশী করিয়া করিবার আমাদের প্রয়োজন নাই। বর্তমান সময়ে ও আমাদের বর্তমান অবস্থায় আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দৈহিক শক্তি, মানসিক শক্তি, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, যে দিকেই অগ্রসর হইতে চাই, কিছু অর্থের প্রয়োজন হইবে । এ কথা ব্যক্তিগত ভাবে সভ্য , এক একটি পরিবারের কথা ধরিলে সত্য , আমাদের সমুদয় দেশ ও জাতির কথা পরিলে সভ্য । দেশ ও জাতির কথাই এখন;আলোচনা করিতে চাই । আমরা সবাই জানি, দেশে শিক্ষাবিস্তার ও শিক্ষার উন্নতির জন্য, গবেষণার জন্য, দেশকে স্বাস্থ্যকর করিবার জন্য, সমুদয় জাতিকে পুষ্ট ও সবল করিবার জন্য, কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার ও উন্নতির জন্য যত টাক খরচ করা দরকার, আমাদের গবর্ণমেণ্ট, তাহ করেন না। অথচ বেশী খরচ না করিলে এসব দিকে আমাদের জাতির উন্নতি হইতে পারে না। কিন্তু বেশী গরচ করা যায় কেমন করিয় ? ইহার সোজ। উত্তর, গবর্ণমেণ্টের অনেক বাজে খরচ আছে ; সেসব ছাটিয়া ফেলিয়া শিক্ষা স্বাস্থ্য কৃষি প্রভৃতির জন্য খরচ করা হউক । ব্যয়সংক্ষেপের অনেক উপায় সমগ্র ভারতের জন্য নিযুক্ত ইঞ্চ কেপ কমিটি এবং ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের প্রাদেশিক কমিটি দেখাইয়াছেন। প্রধান এবং আসল উপায় দুটি তাহারা দেখান নাই, এবং তাহারা দেখাইবেন, এরূপ আশা করা ও যুক্তিসঙ্গত হইত না । কোন দেশ