পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] না হয় বাপের আদরের জন্য কলহ। শৈশবে, কৈশোরে ঈর্ষ বিবাদ । সম্পত্তির জন্য, পিতৃসম্পত্তির অংশের জন্য ভ্ৰাতায় ভ্ৰাতায় কি না হয় ? ইসাইয়ের ধৰ্ম্মগ্রন্থ জান ? আদমের দুই পুত্র, জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠকে হত্যা করিল কেন ? তাহাদের কি সম্পত্তি ছিল ? পিতা বৰ্ত্তমান, কলহের কোন কারণ ছিল না, কেন ভ্রাতৃহত্যা করিয়া কেইন ললাটে আততায়ীর চিহ্ন ধারণ করিল ? সম্রাটের সম্পত্তির জন্য ভ্রাতা ভ্রাতাকে হত্যা করিবে ইহাতে বিচিত্র কি ? এখন ? এখন তুমি তথং-তাউসে, তোমার মস্তকে অসংখ্য হীরকের প্রভাশালী বাদশালী তাজ ; আর আমার ছিন্ন মুণ্ড তথ,ৎ-তউসের নীচে ধূলায় ! দেখ, দেখ, রুস্তম, তথং-তাউসের নীচে রক্তপ্রবাহ, রক্তে চারিদিক ভাসিয়া যাইতেছে, তোমার পদদ্বয় রক্তে ডুবিয়া গিয়াছে : কেবল রক্ত, রক্ত, রক্ত, রক্তে সব ডুরিয়া গেল ।” হাতিম চীংকার করিয়া উঠিলেন, ওষ্ঠে দেন, চক্ষে উন্মত্ততা। রুস্তম শিহরিয়৷ তথং-তাউস ত্যাগ করিয়া নীচে দাড়াইলেন, দৃষ্টি তথং-তাউসের নাচে। ক্ষণেক পরে প্রকৃতিস্থ হইয়া রুস্তম্ কহিলেন, “উহাকে আমার সম্মুখ হইতে লইয়া যাও, আমি উহাকে অfব দেপিতে চাহি ন! ।” এই কথায় হাতিমের প্রাণদণ্ডের আদেশ হুইল । গৌরীশঙ্কর স্তব্ধ হইয়া বসিয় ছিলেন। এখন উঠিয়। হস্ত দ্বার প্রহরীকে যাইতে নিষেধ করিলেন । কহিলেন, “সম্রাটু, ভ্রাতৃহত্য অপরাধে অপরাধী হইবেন না ।” রুস্তম্ রাগিয়া উঠিলেন, “আমি অপরাধী ? আমি অপরাধীর বিচার করিয়া শাস্তি দিতেছি।” “আপনি বিচার করিবার কে ?” “আমি সম্রাটু, কোটি প্রজার জীবন মৃতু্য আমাব কথায় নির্ভর করে ।” “প্রজার । কিন্তু ভ্রাতার নয়।" “ভ্রাতাও আমার আজ্ঞার অধীন।” “সম্রাটু, আদমের জ্যেষ্ঠ পুত্রের ললাট-চিহ্ন আপনিও ধারণ করিতে ইচ্ছা করেন ?” অঙ্গে আঘাত যেরূপ লাগে, রুস্তমের মনে এই কথা সেইরূপ বাজিল। কহিলেন, “আপনার বড় স্পৰ্দ্ধা !" “আপনার আত্মবিস্মৃতি হক্টতেছে । এই সাম্রাজ্য আমি छग्नखैौ AeMeMeeeMAeeM AeMMMMeMAeM eAeeA AA MAeMMAeMMMMAeeAeAMAAA AAAAS MAMAAAS 〉と○ جایهایی هایی স্বহস্তে আপনাকে দিয়াছি । আমি ইচ্ছা করিলে শাহজাদা হাতিম আপনার এক সপ্তাহ পূৰ্ব্বে রাজধানীতে প্রবেশ করিতেন । যিনি সম্রাটের সম্রাটু আমি তাহাকেই জানি।” রুস্তম্ এ কথার কোন উত্তর খুজিয়া পাইলেন না । গৌরীশঙ্কর কহিতে লাগিলেন, “সম্রাটু, আপনার পিতৃবিয়োগ হইয়াছে এখনও এক সপ্তাহও হয় নাই । ইহারই মধ্যে আপনি ভ্রাতুঙ্গতা স্বরূপ মহাপাপ করিতে প্রস্তুত, ভ্রাতার শোণিতে আপনার হস্ত কলুষিত করিতে চাহিতেছেন ? সম্রাটু হইয়৷ ইহাই কি আপনার উপযুক্ত প্রথম কাৰ্য্য ? ভ্রাতার রক্তে সিংহাসন রঞ্জিত করিবেন ? সম্রাট রুস্তম, এ অবসর উদারতার, প্রতিহিংসার নহে। হাতিমকে আপনি মুক্তি দিলে তিনি আপনার কি ক্ষতি করিতে পারেন ? আপনার সন্ধির প্রস্তাব যেরূপ ছিল সেইরূপ থাকুক। দাক্ষিণাত্য ভ্রাতাকে ছাড়িয়া দিন । উনি আপনার আঞ্জকারী প্রতিনিধি হইয়া দেশ শাসন করুন। আমার কথা বিশ্বাস করুন, শাহজাদা হাতিম হইতে আপনার কোন অনিষ্ট হইবে না ।” অবনত মস্তকে সম্রাট রুস্তম্ কিয়ংকাল চিন্ত৷ করলেন । ভাঙ্গর পর গৌরীশঙ্করের হাত ধরিয়া কহিলেন, “আপনার আজ্ঞ আমার শিরোধার্য, যেরূপ আদেশ করিবেন সেইরূপ করিব।” “শাহজাদাকে মুক্ত করিয়া নগরে ঘোষণা করুন যে আপনার প্রতিনিধি হুচয় তিনি দাক্ষিণাত্য শাসন করিবেন । তাঙ্গ হইলে আপনার সিংহাসন তখংহাউসে মতে, প্রজার হৃদয়ে অধিষ্ঠিত হইবে । আপনার মঙ্গল হউক ” সমাঢ় রুস্তম প্রাতার নিকটে গিয়। র্তাহার দুই হস্ত ধারণ করিলেন । গদগদ স্বরে কহিলেন, “ভাই, আমার অপরাধ মার্জন কর !" হাতিম রুস্তমকে আলিঙ্গন করিয়! বালকের ন্যায় রোদন করিতে লাগিলেন । তখং-তাউসের রত্বরাশির জ্যোতি যেন মান হইয়৷ ( ! ( আগামী সংখ্যায় সমাপ্য ) শ্ৰী নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত