পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] মেঘলা সকাল ›ዓ » S AASAASAASAASAASAA S JJJ SAAAAA AAAA AAAAM MM SMMMSMSMSMSMM SAMAMAMMAMAMAAMMA AMMMAMMM AMMM AJJ AeMMMJJJJJS c ঔষধাদি প্রেরিত হইল। যে-সকল মাতার দুগ্ধপোষ্য শশু আছে তাহাদিগকে সৰ্ব্বাগ্রে খাদ্য দান করা হইল। তার পর অপেক্ষাকৃত অধিকবয়স্ক শিশুদের দেওয়া হইল । অতঃপর অন্যান্য স্থানে সাহায্য বিতরণ করা হইল । ট্রেন হুইতেই অনেক সময় খাদ্য বণ্টন করিয়া দেওয়া হয়। ছোট ছেলেদের ঝোল, চিনি-মিশ্রিত কোকো, রুটি প্রভৃতি দেওয়া হয়। ট্রেনে যে চিকিৎসালয় আছে তাহাতে রুগ্ন শিশুদের চিকিৎসা করা হয়। এই ট্রেনগুলি গড়ে প্রতিমাসে ১,০০,০০০ অসহায় শিশুকে সাহায্য করে । প্রাদেশিক মিউনিসিপাল দুর্ভিক্ষ সমিতিগুলি অসহায় শিশুদিগকে একত্রিত করিয়া সতগুলিকে সম্ভব নিজের আশ্রয় দেন, বাকীদের অন্যত্র প্রেরণ করা হয়। রাষ্ট্র তাহাদের ভার গ্রহণ করে। গরম কাপড় এবং দিনে অন্ততঃ একবার খাইতে তাহারা পায়। এই কাজের জন্য সমস্ত দেশ যথাসাধ্য দান করে। প্রত্যেক নগরে গ্রামে চাদ তুলিবার জন্য নানা উপায় অবলম্বন করা হয়। এক সইরে কর্তৃপক্ষগণ সকল-প্রকার আহাৰ্য্যদ্রব্যের উপর কর বসান । এই টাকা দুর্ভিক্ষে দান করা হয়। বিখ্যাত রুশ লেখক ম্যাকৃসিম গোর্কি প্রত্যেক দুর্ভিক্ষ-সেবক-সমিতির নিকট এই আবেদন প্রেরণ করিয়াছেন—“জগতে এবং বিশেষ করিয়া রুশিয়ায় যত বালকবালিকা আছে, সকলে অনাহারক্লিষ্ট শিশুদের সাহায্যার্থে অগ্রসর হোক । অসংখ্য ক্ষুধাৰ্ত্ত শিশু সাহায্যের জন্য চাহিয়া আছে । আপনাদের পীড়িত অসহায় বন্ধুদিগের আর্তনাদে আজ জগতের সকল শিশু কৰ্ণপাত করুক। প্রত্যেক বালকবালিকার যথাসাধ্য করা কৰ্ত্তব্য। শুধু খাদ্য নয়, রুশ শিশুর আজ সকল জিনিষেরই অভাব । স্কুলের বালিকার তাহাদের শিক্ষয়িত্রীদের পরিচালনায় এই-সকল বদীনদের জন্য সার্ট, শেলাই করিতে পারে। যে-সকল স্কুলে হাতের কাজ করিবার ব্যবস্থা আছে, সেখানে এই-সকল বিপন্ন শিশুদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রস্তুত করা যাইতে পারে । একলক্ষ শিশু প্রত্যেকে যদি একটি করিয়াও জিনিষ তৈয়ারী করিয়া দেয় তাহা হইলে অসম্ভব সম্ভব হয়। কে এ কাজের ভার লইবে ? বালকবালিকাগণ আপনা হইতে কিছু আরম্ভ করিতে পারে না । তাহাদের শিক্ষকশিক্ষয়িত্রীদের কৰ্ত্তব্য এই ব্যাপারটি গড়িয়া তুলিতে সহায়তা কর।” এই আবেদনের ফলেই সেন রুশিয়ার সৰ্ব্ব প্রদেশে শিশুদের দ্বার প্রতিষ্ঠিত সাহায্যসমিতির আবির্ভাব হইতেছে। অপেক্ষাকত প্রাপ্তবয়স্ক বালকবালিকার ত কথাই নাই, নিতান্ত শিশুরাও এ কাজে মহা-উৎসাহে যোগ দিতেছে । এই মহাবিপ্লবের দেশে বাস করিলে, ইহাদের বিপদকে পরাজয় করিবার অদ্ভূত ক্ষমত দেখিলে, অবাকু না হইয়া পারা যায় না । জনসাধারণের সকল শ্রেণীকে কৰ্ম্মক্ষেত্রে টানিয়া আনিবার এই দেশের আশ্চৰ্য্য শক্তি। পরস্পরকে দেপিয়| এই যে অতুপ্রাণন লাভ করিবার ক্ষমতা ইহাই, রুশ-বিপ্লবের মেরুদণ্ড । ইহারই বলে আজ তাহারা জগতে টিকিয়া আছে । শ্ৰী শান্তি দেবী মেঘলা সকাল মেঘলা সকাল, স্বৰ্য্য হারা, রোদট। শাদা ধোয়, দিনটা যেন ক্লাস্ত আঁখি—ঘুমের-পরশ-ছোয়া ; পাশের বাড়ী শাস্ত নীরব, নেইক কলকথা, একটি চিলের করুণ ধ্বনি ভাঙিছে স্তব্ধতা ; একটি চড়ুই আস্তে ডাকে, কল থেকে জল ঝরে, ফেরিওলার গলার আওয়াজ বাজের মত পড়ে ! ঘরে আছি চুপুটি শুয়ে, বাইরে আর্থি ধায়, শামুকেরি মৰ্ত্তন মোরে গুটাই আপনায়। শ্ৰী প্যারীমোহন সেনগুপ্ত