পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড ইউরোপের বনাম ভারতের জ্ঞানপন্থা ইউরোপের দান হষ্টলেছে সায়নস্ অর্থাং জিনিষের গতি সম্বন্ধে জ্ঞান, কাৰ্য্যকারণ পরম্পরার জ্ঞান । কোন জিনিষ লইয়া জিজ্ঞস উঠিলে ইউরোপীয় মনীষীর। তাহাকে দুই রকমে দেখিবার, তাহার মধ্যে দুইটা দিক্‌ পৃথক্ করিয়া লইবার ব্যবস্থা দিয়াছেন—একটা হইতেছে চলন ( process ) বা তfহার কৰ্ম্মের ধরা, আর একট। হইতেছে গড়ন ( content ) বা তাহার আধারের উপাদান বিশ্লেষণ • একটা হইতেছে তfচfর “কি রকমে" ( how ), আর একটা হইতেছে তাহার 'কি' ( what )। জিনিষের এই দুইটি দিকের কথা বলিলেও, ইউরোপ তাহার প্রতিভা দেখাইয়াছে বিশেস ভাবে “কি বকমের”, কৰ্ম্মপ্রণালীর আলোচনায়,-“কি"র উত্তর, বস্তু-সত্তা সম্বন্ধে জ্ঞান যাহ। তাহা আসিয়াছে ঐ আলোচনার অতুষঙ্গী f(TfLA I SS (matter) fE, fÆIV (electricity) fF, ইউরোপীয় বিজ্ঞান তাহ ঠিক করিয়া বলিতে পারে না, তবে যে জিনিষটা সে পারে তাহ হইতেছে ইহাদের কার্য্যপ্রণালীর কথা । আর সেইজন্যই, ইউরোপের তত্ত্বশাস্থে (metaphysics ) --যে শাস্ত্রের বিশেষ উদ্দেশ্য হইতেছে জিনিষের মূল সত্ত। ব। গড়ন ( content ) সম্বন্ধে জ্ঞান, তাহা খুব উচ্চদরের নয়, সেখানে –-ইউরোপের মন কেমন ঘোলাটে হইয়। গিয়াছে ; ਿ Rosetto (physics )— যেখানে পাই জিনিষের প্রয়োগ সম্বন্ধে আলোচনা সেখানে -ইউরোপ অসাধারণ রুতিত্ব দেখাইয়াছে । ভারতের প্রতিভা ইহার ঠিক উন্ট রকমের । জিনিষটা কি, তাহাব মধ্যে বস্থ কি, ভারতীম মন বিশেষ । ভাবে এই দিক্‌টাই লঙ্গয় মগ্ন -আমরা চাহি “দ্রব্যজ্ঞান”, কিন্তু জিনিষটা কি রকমে আসিল, কেমন করিয়৷ চলিয়াছে, সেই কৰ্ম্মশৃঙ্খলার পরম্পরার উপর আমাদের নজর তেমন পড়ে নাই । তাই ভারতে তত্ত্বজ্ঞান যতখানি দেখি, তন্ত্রজ্ঞান সেই অনুপাতে পাই না । ইউরোপ দেখিতেছে জিনিষের কলকজা, যাহার মধ্যে রহিয়াছে তাহার কৰ্ম্মের— তাহার জাতির রহস্য , ভারতবর্ষ দেখিতেছে কি উপাদান বা ধাতু দিয়া জিনিষ গঠিত, সে যেন চাহিতেছে জিনিষের যে সন্ত বা স্থিতি তাহার রহস্য । কি করিলে কি FI Etzt. Hoff (Science I Mechanism ) HTLE ভারতের মন উদাসীন ; এই করিলে এই হয়, ইহাতেই ভারতবর্য সন্তুষ্ট—সে চায় কি করিতে হইবে, তার ফল কি হইবে ; মাঝের রাস্তার খাঁটিনাটি তাহাকে বড় ব্যতিব্যস্ত করে না । যে কোন বিসমেত হউক না কেন আমাদের শাস্ত্র ব| ত্ৰে ব| বচন এই কথারই প্রমাণ দিতেছে । আমর আমাদের জ্ঞানের ফলটিকে শাস্ত্রে সূত্রে ব! বচমে লিপিবদ্ধ করিয়া বথিয়ছি, কিন্তু সেই জ্ঞানের প্রণালীটি মুছিয়া ফেলিয়ছি ; আমরা আবিষ্কার করিয়াছি অনেক জিনিষই, কিন্তু যাত। আবিষ্কাব করিলাম তাহাই মুখ ফুটিয়া বলিয়াছি, কি রকমে সে তাঙ্ক। আবিষ্কার করিলাম ব৷ অন্যে সেটি কি রকমে আপার আবিষ্কার বা পরীক্ষা করিতে পরিবে সেই পথট। সেই পথেৰ অন্ধিসন্ধি সম্বন্ধে অমর। প্রায়শই নিৰ্ব্বাক্ । এষ্ট যেমন একটা বৈজ্ঞানিক সভ্য আমরা স্বত্র বঁাপিস দিয়াছি-- চল। পুর্থী স্থির। ভাতি ইঙ্গর হেতুবাদটা কি ? অথবা যে কথাট। লইয়া ইউরোপীয় মনীষী-মহলে পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা চলিতেছে, ইউরোপীয়ু মনীষীদের পথ অবলম্বন করিয়াই আমাদের জগদীশচন্দ্র বাহার সম্বন্ধে নূতন নূতন তথা বাহির করিতেছেন—উদ্ভিদেরও প্রাণ বা অন্তভূতি আছে—সেই কথাটা মোটামুটি আমরা বহু পূৰ্ব্বেষ্ট স্বম্পষ্ট বলিয়। wিয়াছি— অশ্ব সংজ্ঞাভবস্তোতে মুখদুঃখসমন্বিতাঃ কিন্তু কি রকমে, কি ধরণে, কোন কোন শক্তির সমাবেশে এই ঘটনাটি হয়, এই ব্যাপারটির বিচিত্র ইতিহাস সম্বন্ধে আমাদের কোন কৌতুহুল ছিল কি না সন্দেহের বিষয় । ভাস্করাচার্য বলিয়া দিয়াছেন পরিধি ও বাসের অঙ্কপাতের পরিমাণ কি-ইউরোপীয় গণিতজ্ঞেরা