পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woe 3. SAASASAAAAAS AAASASAAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS যে ব্যক্তি বয়নবিদ্যা নিয়ে মাথা ঘামায়, তার কাজটা প্রয়োজনসিদ্ধির উদ্দেশ্যে বলা হবে কেন, আর যে ঈশ্বরের হিংসা বা ভালবাসা আছে কি না এই নিয়ে ব্যস্ত, তার কাজটা প্রয়োজনসিদ্ধি করছে বলা হবে না কেন ? গোলমালটা উঠছে, “প্রয়োজনসিদ্ধি” কথাটি নিয়ে । দুই ক্ষেত্রে “প্রয়োজন” কথাটির মানে বিভিন্ন । আমরা যে “প্রয়োজনসিদ্ধির” কথা বলছি, সেটি বাহবস্তুতন্ত্রের কথা, আর তার্কিকের “প্রয়োজনসিদ্ধি ’ হচ্ছে জ্ঞানতন্ত্রের কথা। অর্থাৎ কিনা, অfমাদের প্রয়োজনসিদ্ধি হ’লে তা দেখা যাবে, ছোয়া যাবে, এক কথায় ইন্দ্রিয়গুলির সাহায্যে তাকে বোধ করা যাবে। কিন্তু ব্যক্তিবিশেষের মনের মধ্যেই শুধু যদি কোন “প্রয়োজনসিদ্ধির সাড়া পড়ে এবং অপরে যদি সেটা প্রত্যক্ষ করতে না পারে, তবে সে জিনিষটির মূল্য জ্ঞানতান্ত্রিকের কাছে থাকুলেও বস্তুতান্ত্রিকের কাছে নেই। বাহবস্তুতন্ত্র ও জ্ঞানতন্ত্র পরস্পর বিরোধী নয়। একই মানুষের মধ্যে দুইটি থাকৃতে পারে ও সচরাচর থাকে। দার্শনিক যদি বলেন, “ছাদে ফুট থাকৃলে ছাদের কার্য্যসিদ্ধি হয় না,” অথবা, “একই জিনিষ এক স্থলে আট আনা ও অপর স্থলে চার আনা মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে দেলে, অস্তুবিধা না হলে আমি চার আনা দিয়েই জিনিষটা কিন্‌ব", তা হ’লে তিনি অদার্শনিক হয়ে যাবেন না। যন্ত্রব্যবসায়ী যদি বলেন, “ভোরের বেলায় পাখীর গান আমার প্রাণে কি একটা অবর্ণনীয় আনন্দ যে এনে দেয়, তা বুঝাব কি ক'রে ?” তবে তার যন্ত্রজ্ঞান অসাড় হয়ে যাবে না। মাড়বার-নন্দন যে সময় সময় ভজনানন্দে মেতে যান, তাতে অন্য সময় তার ভোজননন্দের কোন ব্যাঘাত হয় না। একই মানুষের প্রাণে নানান রসের আবির্ভাব হয়, নানান চিন্তার ধারা বয়ে' যায়। সকল প্রকার চিন্তা ও ভাবের আধার মানুষ, কাজেই এটা আশ্চৰ্য্য কিছুই নয়.। নাক দিয়ে হেঁটে বেড়ান যায় না, বা পা দিয়ে ভ্ৰাণ করা যায় না, অথচ একই শরীরে নাক ও পা রয়েছে। এতে আমরা আশ্চৰ্য্য হই না। তবে একই ব্যক্তি যদি কাৰ্য্যসাধন-চেষ্টা ও জ্ঞানলাভ-চেষ্টা করে, তা হ’লেই বা অবাক হবার কি আছে ? অথবা প্রবাসী—আষাঢ়, OOHO [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড" একই অনুসন্ধিৎসা যদি জ্ঞানলাভ ও কার্ধ্যসাধন এই উভয় ক্ষেত্রেই সাহায্য করে, তাতেই বা আপত্তির কি আছে ? অস্থসন্ধিৎসার দুই উদ্দেশ্য হ’তে পারে। এক হচ্ছে, অমুসন্ধানের বিষয়টি যে প্রকার, সেই প্রকার কি করে’ হ'ল ; যেমন উদ্ভিদবিজ্ঞান আমাদের দেখিয়ে দেয়, কেমন করে বীজ থেকে বৃক্ষ হয়, কেমন করে মাটি বাতাস ও স্বৰ্য্য থেকে বৃক্ষ তার পুষ্টির উপকরণ সংগ্রহ করে, ইত্যাদি। আবার অন্য প্রকার অনুসন্ধিৎসার উদ্দেশু, কি করে অন্ধুসন্ধানের বিষয়কে কোনো বিশেষ প্রকার করা যায়। অর্থাৎ বিষয়টি যদি নৌকা হয়, তা হ’লে কেমন করে নৌকা তৈরী করা যায়, এই হবে অহসন্ধানের বিষয়। প্রথম ধরণের অমুসন্ধিৎসা হচ্ছে বিজ্ঞান ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে বিদ্যা । কেমন করে’ মাহুষের দেহ এ-প্রকার হয়েছে ও রয়েছে, শরীরবিজ্ঞান আমাদের তা জানাচ্ছে ; কেমন করে" অস্বাভাবিক দৈহিক অবস্থাকে স্বাভাবিক করে আনা যায়, তা আমাদের জানাচ্ছে চিকিৎসাবিদ্যা । বিজ্ঞান ও বিদ্যার মধ্যে এই পার্থক্যের স্বষ্টিতে কারুর কারুর আপত্তি থাকৃতে পারে, কিন্তু প্রয়োজনীয়তার খাতিরে এটা করতে হবে। অবশ্য তলিয়ে দেখলে অনেক সময় দেখা যাবে যে বিজ্ঞান ও বিদ্যা দুইটিই একই জিনিষ জানাচ্ছে ; কেবল বিজ্ঞান বলছে, “এই রকম করে’ হ’ল,” আর বিদ্যা বলছে, “এই রকম করে কর।” তা ছাড়া বিজ্ঞান জিনিষটাকে যত খুটিয়ে দেখবে, বিদ্যা ততটা নাও দেখতে পারে । কাজটা সমাধা (ভবিষ্যৎটাও অবগু চোখের সামনে থাকবে) করতে হ'লে যতটুকু জ্ঞান দরকার, বিদ্যার কেবল সেইটুকুর দিকেই নজর থাকবে ; কিন্তু বিজ্ঞান জিনিষটাকে এমন ভাবে দেখতে পারে, যে, কাজের দিক্‌ থেকে তার অন্ততঃ সেই সময়ের মত কোনই দাম না থাকৃতে পারে । মানুষকে নিয়ে মানুষ চিরকালই চিন্তা করে আসছে। ব্যক্তি নিজে শারীরিক ভাবে ও মানসিক ভাবে কি, তা নিয়ে অনেকগুলি বিজ্ঞান ব্যস্ত থাকে ; যথা শরীরবিজ্ঞান বা প্রাণীবিজ্ঞান ( উচ্চতর প্রাণীদের ক্রমবিকাশ এর মধ্যে পড়ে ) এবং মনোবিজ্ঞান।