পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ولم Oeي S AM MAMA AMeMAAA AAAA AAAAJJJS জিনিষ সম্বন্ধে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যায় না, সেসবের বৈজ্ঞানিকভাবে বিচার হওয়া সম্ভব হয় না। কাজেই স্বাচ্ছদ্য-বিজ্ঞান থেকে কতকগুলি আবছায়া ভাবের স্বথ ও স্বাচ্ছন্দ্যকে. বাদ দিতে হয় । বিভিন্ন মামুষের মনে ছোট বড় সামান্ত ও অসামান্য নান কারণে নানা রকম মুখ ও * স্বাচ্ছন্দ্যের আবির্ভাব ও তিরোভাব হ’তে পারে ; বৈজ্ঞানিক মাপকাঠিতে তা ধরা অসম্ভব। একটা জাতির কতটা স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব পরাধীনতার জন্তে হয়, তা ঠিক মেপে কে বলবে? কোনে জাতিবিশেষকে দিয়ে এর পরীক্ষা করা ত চলে না ; কেন না, এই একই কারণে সব জাতির স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব সমান না হ’তে পারে, এবং এত স্বল্প কোনো বৈজ্ঞানিক মাপকাঠি নেই, যা মানুষের কিম্বা মনুষ্যজাতির কোনো একটা মানসিক অবস্থাকে নিক্তির ওজনে কাৰ্য্যকারণে বিভাগ করে দিতে পারে। কাজেই পরাধীনতা কি ভাবে স্বাচ্ছন্দকে কমিয়ে দেয়, সে সম্বন্ধে কিছু বলা শক্ত। মা র্তার ছেলেকে জড়িয়ে ধরে যে সুখ পান, তাকেও কোনো মাপকাঠি দিয়ে মাপ যায় না। স্বাস্থ্য জিনিষটির ঠিক কতটা স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াবার ক্ষমতা আছে, তাও মাপা যায় না । স্বাচ্ছন্দ্যের মাপকাঠি মাত্র একটি আছে। সেটি হচ্ছে ধন । এটা যে কিছু একটা নিখুৎ সঠিক রকম মাপকাঠি, তা নয় ; তবে এ ছাড়া আর অন্য মাপকাঠির অভাবে ধনকে দিয়েই কাজ চালাতে হবে। টাকা দিয়ে কি করে’ স্বাচ্ছন্দ্য মাপা যায় ? ধরা যাকু এক জন লোক এক জোড়া জুতা ও একখানি কাপড়, এই দুইটির জন্যেই দশ দশ টাকা দিতে প্রস্তুত, তার বেশী নয়। এতে বোঝা যাচ্ছে, যে, সেই জুতা-জোড়া ও সেই কাপড়খানির স্বাচ্ছন্দ্য-দান-ক্ষমতা তার কাছে সমান। ( এতে প্রমাণ হচ্ছে না যে জুতা ও কাপড়ের প্রয়োজনীয়তা সমান। শুধু এই জানা যাচ্ছে, যে, কোনো ব্যক্তি কোনো অবস্থা-বিশেষে এক জোড়া জুতার স্বাচ্ছন্দ্যদান-ক্ষমতা একখানা কাপড়ের ঐ ক্ষমতার সমান মনে করেছেন। কোন জিনিষের বাজার-দর, শুধু তার প্রয়োজনীয়তা দিয়ে ঠিক হয় ন!—বিক্রেতার জিনিষটি তৈরী করতে বা জোগাড় করতে কি পরিমাণে কষ্ট হয়েছে প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩০ S AAAA S AAAA AAAA S AAAAA AAAA AAAA AAAAMAMAMAM BAAA SAAAA AASAASAASAASAASAAMeeA AeAMASAS SSAS SSAS SSAS [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড معه ۶یمتحیمی هه جیبی تعییت حیاتی حجیم এবং জিনিষটি কি পরিমাণে পাওয়া যায়, দর তার উপরেও অনেকটা নির্ভর করে। ) এ ছাড়া, কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসংঘের আয় ব্যয় প্রভৃতিও টাকায় মাপা হয় । কি করে হয়, তা আমরা পরে দেখৃব। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, যে, স্বাচ্ছন্দ্য-বিজ্ঞান সামাজিক মুখস্বাচ্ছন্দ্যের শুধু সেই অংশটুকু নিয়েই আলোচনা করবে, যেটুকুকে টাকার মাপকাঠি দিয়ে কোনো না কোনো রকমে মাপা যায়। অবশু ঠিকৃ এইটুকুকে মাপা যায় আর এই টুকুকে মাপা যায় না, এমন কিছু একটা স্বশ্নরকম ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। তবে এটা বলা যায়, যে, এইগুলিকে সহজে মাপা যায়, এইগুলিকে একটু কষ্ট করে মাপা যায় এবং এইগুলিকে মাপা প্রায় অসম্ভব। এই পরিমেয় স্থখস্বাচ্ছন্দ্যটুকু নিয়েই আমাদের বিজ্ঞান । তা ছাড়া যা, সেটুকুকে অপরিমেক্স স্বচ্ছন্দ্য বলতে হবে । এখানে অপরিমেয় অর্থে অনন্ত বুঝাচ্ছে না ; পরিমেয় নয়, শুধু এইটুকুই বুঝাচ্ছে। অপরিমেয় স্বাচ্ছন্দ্য,—যেমন স্বাস্থ্য, পরস্পরের প্রতি ভালবাসা, স্নেহ, ঈশ্বরে বিশ্বাস, প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যবোধ ইত্যাদি ; এবং পরিমেয় স্বাচ্ছন্দ্য অর্থাৎ যা টাকার মাপকাঠিতে মাপা যায় ; এই দুই প্রকার স্বাচ্ছন্দ্যের সমষ্টি হচ্ছে সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য । [পরিমেয় স্বাচ্ছন্দ্য বাড়লে বা কম্লেই যে সামাজিক স্বাচ্ছদ্য বাড়বে বা কম্বে, এমন কোন কথা নেই। মহিষ পরিমেক্স স্বচ্ছন্দ্য বা তার উপকরণ স্বষ্টি করতে গিয়ে নিজের অপরিমেক্স স্বাচ্ছন্দ্য এতটা কমিয়ে ফেলতে পারে, যে, হয় ত ফলে সামাজিক স্বচ্ছন্দ্য কম্বে বই বাড়বে না । ] শুধু পরিমেয় স্বাচ্ছন্দ্ব্যের দিকে নজর দিয়ে মাছুষ তার সৌন্দৰ্য্যবোধ হারিয়ে ফেলতে পারে, তার মধ্যে ভালবাস্বার, স্নেহ করবার বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করবার ক্ষমতা চলে যেতে পারে। এক কথায় বাহাবস্তুর উৎপাদনচেষ্টার ফলে নিজেকেই মানুষ নষ্ট করে ফেলতে পারে, তার মানসিক বৃত্তিগুলি ভেঁাতা হয়ে যেতে পারে। আগেই বলেছি, স্বাচ্ছদ্য একটা মানসিক অবস্থা, এবং ব্যক্তির বোধশক্তির উপরেই তার- পরিমাণ অনেকটা নির্ভর