পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

تفالاك “হঁ্যা রে স্বরেশ, ওদের বাড়ী গিয়ে পেট ভরে’ থেয়ে ত এলি, তারা কি রকম লোক তাত কিছু বললি নে ?" . তারাস্বন্দরী স্বরেশ্বরকে কখন তুমি এবং কখন তুই বলিয়া সম্বোধন করিতেন। স্বরেশ্বর স্মিতমুখে কহিল, “লোক ?—বেশ লোক— বড়মানুষ, সৌধীন, সভ্য-ভব্য, কায়দা-দুরুস্ত!” . পুত্রের কথা কহিবার ভঙ্গী হইতে তারাসুন্দরী বুঝিতে পরিলেন যে তাঁহাদের প্রতি পুত্র খুব যে প্রসন্ন তাহ নহে। হাসিয়া কছিলেন, "আর সে মেয়েটি কেমন, যার গল থেকে হার খুলে নিচ্ছিল ?” ਕ੍ਰਿਸ਼ কহিল, “কি কেমন, খুলে না বললে কেমন করে বলব মা কি রকম ?” তারাস্বন্দরী হাসিয়া কহিলেন, “দেখতে শুনতে কেমন তাই প্রথমে বল না।” স্বরেশ্বর মৃদু হাসিয়া কহিল, “দেখতে ত বেশ ভালই, কিন্তু শুনতে সব সময়ে খুব ভাল নয় মা ! মেয়েদের কি বলতে হয় ঠিক বুঝতে পারছি নে, ছেলে হ'লে বলতাম একটু ফাজিল, কিন্তু তাই বলে অমাঙ্গিত নয়, বেশ ভঙ্গ ।” “গিল্পী কেমন মান্তম রে?” এবার সুরেশ্বর হাসিয়া ফেলিল কহিল, “বেশ মানুষ মা ! অল্প সময়ের মধ্যে মান্তষ চিনে ফেলবার অভিজ্ঞতা বা শক্তি হয়েছে বলে স্পৰ্দ্ধ করতে পারি নে, কিন্তু তবুও গিল্পটিকে যে ঠিক চিনতে পেরেছি তা অসস্কোচে বলতে পারি। বেশ মহিষ ; সাদাসিধে, নিজের মনের ইচ্ছাটুকু একটু ঢেকে-ঢুকে বা আটকে রাখতে কোনো প্রবৃত্তি নেই। পাছে তুমি ভুল করে ভাব যে দেশের দশজনের মত তিনিও একজন, তাই পদে পদে নিজের অবস্থা তোমাকে বুঝিয়ে দেবার জন্য ব্যস্ত।” স্বরেশ্বরের বর্ণনার ভঙ্গিম। দেখিয়া তারান্বন্দরী হাসিয়া কহিলেন, “ত। হ’লে ত বেশ লোক রে। বড় মেয়েটি কেমন ?” * এমন সময়ে বাহিরের স্বারে কড়া-নাড়ার শব্দ শুনা গেল। তারান্বন্দরী কছিলেন, “অখণী-ঠাকুরপে এসেছেন ধোঁধ হয়। যা ত মাধবী, দোরটা খুলে দিয়ে জায় ত ।” প্রবাসী—আষাঢ়, NVHO ASA SSASAS SS SAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAS AAAAA SAAAAAM MeeMMA AeAMSM SMS SM MM MSMAAA AAAA SAAM MAMSM AA AM eM AAAS AAAAAS SSAAAASA SAASAASAA AA ASAA AA ASAA AA AAAA AAAAS AAAAA MAMAMMMM [ ૨૭ ভাগ; ১ম খণ্ড মাধবী উঠিয়া গিয়া দ্বার খুলিয়৷ দেখিল অবনী নহে, একজন অপরিচিত ব্যক্তি পথে দাড়াইয়া অপেক্ষা করিতেছে। একটু ভিতরের দিকে সরিয়া জাসিয়া মাধবী মৃদ্ধ কণ্ঠে কহিল, “আপনি কাকে চান ?” অপরিচিত ব্যক্তি কহিল, “কুরেশ্বর-বাৰু কেমন আছেন আমি তাই জানতে এসেছি। তিনি বাড়ী আছেন কি ?” মাধবী কহিল, “তার হাত খোলা হয়ে ধোয় হচ্চে । ভালই আছেন।” - আগন্তুক ব্যগ্র হইয়া কহিল, “যদি অস্থবিধা না হয় খোলা অবস্থায় আমি তার হাতটা দেখতে চাই । আমার নাম বিমানবিহারী বস্থ । তিনি কাল ব্যোটানিকাল গার্ডেনে আমাদের—” , বিমানের অসমাপ্ত কথার মধ্যেই মাধবী বলিল, “বুঝতে পেরেচি। আপনি বাইরের ঘরে বক্ষন, আমি তাকে খবর দিচ্ছি।” o - - বিমান ভিতরে প্রবেশ করিলে তাহাকে বৈঠকখান ঘর দেখাইয়া দিয়া মাধবী অন্দরে গিয়া স্বরেশ্বর ও তারামুন্দরীকে জানাইল যে, অবনী মহে বিমান আসিয়াছে, এবং সে মুক্ত অবস্থায় স্বরেশ্বরের হাত দেখিতে চাহে । " - স্বরেশ্বর ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া কহিল, “ম, তুমি না হয় একটু সরে যাও, এইখানেই বিমান-বাবুকে ডেকে আনা যাক ৷” তারাসুন্দরী কহিলেন, “ত আমি সরে যাচ্ছি। যা মাধবী, তাকে ডেকে নিয়ে জায়।” : ,” একজন অনাত্মীয় অপরিচিত যুবকের নিকট বারধার যাইতে মাধবীর সঙ্কোচ বোধ হইতেছিল, কিন্তু একমাত্র তৃত্য কানাই বাজারে গিয়াছে এবং হাতের স্বাধন খুলিয়া স্বরেশ্বর নানা-প্রকারে বিব্রত হইয়া বসিয়া রহিয়াছে বলিয়া অগত্য সে বিমানের নিকট উপস্থিত হইয়া জাহাকে অন্দরে আহবান করিল। - মাধবীকে অনুসরণ করিয়| বিমান স্বরেস্বরের নিকট উপস্থিত হটল। ইরেশ্বর নিজেই বাম হস্ত দিয়া অল্প অল্প করিয়া গরম জল ঢালিয়া ব্যাণ্ডেজ, ভিজাইতেছিল ;