পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«ჩჯ? দিকে বরফগলা জল ও বড় বড় পাথর। এক পাথর হইতে আর-এক পাথরে লাফাইয়া চলা ছাড়া গতি ছিল না। সেই রাত্রে আমাদের আহাৰ্য্যসামগ্ৰী ফরাইয়া গেল। প্রাতে দুগ্ধ ও শর্করা-বিহীন চ পান করিয়া আমরা বদরীনাথের দিকে নামিতে লাগিলাম। সেদিন যদি বদরী না পৌছিতে পারি ত অনাহারে থাকিতে হইবে। আমরা এবার ছত্রভঙ্গ হইয়া ছুটিলাম । এখন বরফের দেশ হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছি । চারিদিকে ফুলের মেল!--নীল আফিঙের ফুল, দোপাটি আর অসংখ্য অজানা ফুল চারিদিক্ আলো করিয়া রহিয়াছে। লিপু-পাসে (গিরিবত্মে")—যেগান দিয়৷ আমরা তিব্বতে ঢুকিয়াছিলাম—যেমন গোলাপের বাহার দেখিয়াছিলাম, এখানে তাহ দেখা গেল না ; কারণ, গোলাপের সময় হইয়া গিয়াছে। তবে পেজ তুলোর বড় বলের মত ফুল এখানেও অনেক দেখা গেল। দুইটি জায়গায় বরফের সেতু - - প্রবাসী --আষাঢ়, NVHෂ AAAAA S AAAAS AAAAA SAAAAA AAAAM AA ee A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS { ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAA AAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAAS AAAAA AAAA AAAAM eeS eee Se S SSS SSAAAS পার হইয়া সুরস্বতীর তীরে উপনীত হইলাম। আর কিছু দূর গিয়া সরস্বতীর এক ভীষণ জলপ্রপাত দেখা গেল। শত শত ফুট উচ্চ হ’তে নদীর জল নীচে পড়িয়া ভূগর্ভে অদৃশ্ব হইয়া গিয়াছে, ও সেখান থেকে একটু দূরে বাহির হুষ্টয়া আবার প্রবল বেগে প্রবাহিত হইয়াছে । এই জলপ্রপাতের ঠিক সাম্নেই নদী পার হইতে হয়, পার হইবার সময় ভয়ে শরীর কণ্টকিত হয়। এই স্থান হইতে বদরীনাথ চার মাইল নিয়ে । বৈকলে বদরীনাথ পৌছিয়া মনে হইল যেন বাড়ী ফিরিয়া আসিয়াছি। স্থদুর তিব্বতের পর বদরীর রাস্তাঘাট, লোকজন যেন চিরপরিচিতের মত বোধ হইল। আর ১৮ দিনে আমরা লাহোরে ফিরিয়া আসিলাম। এই কৈলাস-ভ্রমণে আমরা সাড়ে ছয় শত মাইল পদব্রজে, অশ্বারোহণে বা চমরী-পৃষ্ঠে ভ্রমণ করিয়াছি। ইহাতে আমাদের প্রায় তিন মাস সময় লাগিয়াছিল, তন্মধ্যে দেড় মাস আমরা পশ্চিম-তিব্বতে ছিলাম । শ্ৰী বিজনরাজ চট্টোপাধ্যায় মূৰ্ত্তি-মেখলা বিশ্বদেবের দেউল ঘিরিয়া বিশ্ববীজের বিপুল বিকাশ মুক্তি-মেখলা রাজে— আকাশ-পাতাল জুড়ি' কত ভঙ্গীতে কত না লীলায় অনাদি কালের অক্ষয় বটে কত ৰূপে কত সাজে, কত ফুল কত কুঁড়ি, দিকে দিকে আছে পাপড়ি খুলিয। সোনার মৃণাল মাঝে ! বিশ্বরাজের শত ঝরোপায় আলোর শতেক ধারা, শতেক রঙের অভ্রে ও কাচে রঙীন হয়েছে তারা, গর্ভগৃহেতে শুভ্র আলোক জলিছে সূৰ্য্য-পারা । উৰ্দ্ধে উঠেছে লাখ লাখ শাখা নিম্নে নেমেছে ঝুরি । বিশ্ববীণায় শত তার তবু একটি রাগিণী বাজে, একটি প্রেরণা করিছে যোজনা শত বিচিত্র কাজে, বিশ্বরূপের মন্দির ঘিরি’ মুক্তি-মেখলা রাজে। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত