পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য়:সংখ্যা } SAMMAMAMeAeMMe MMAMSMMA AeeAeSeeeASAeeMAeM থোলিঙ্গ, মঠের ভিক্ষুদের দেখিয়াও ভক্তি চটিয়া যায়। অনেক ভিক্ষু আমাদের র্তাবুর কাছে ঘুরিয়া বেড়াইত। তাহীদের চেহারায় ও ব্যবহারে ভদ্রতার বিশেষ পরিচয় পাই নাই। একজনের কাছে নিম্নলিখিত মন্ত্রটি পাই। যেমন শুনিয়াছিলাম ঠিক তেমনি লিখিয়া লইয়াছিলাম । নমো নমো বঙ্গবর্তে অবরসিতা পুনি আয়ুরজনা স্বস্থিনিচিত৷ জিঞ্জারণ জায়৷ অৰ্হতায় সম্মেয়া সম্বুদ্ধয়। তয়থা । পুনি পুনি মহাপুনি অবরসিতা পুনি মহীয়ান পরিয়োরেয়ে স্বাহ নমো বনটোয়ায় নমো আৰ্য্য। জানা সদস্য। বোরণ যায়৷ তথাগতায় সম্মায়া সম্বুদ্ধয় শুর্থ ও দার দারা দিরি দিরি দুরু দুরু এঠে ওঠে পরচলে পরচলে কুন্থমে কুসুমে হোরে ইলি মিলি চিতি জোল মবানায়ে স্বtহ । এ ছাড়া ‘নমো গুরবে নমো বুদ্ধায় নমো ধৰ্ম্ময় নমো সঙ্ঘায়” মন্ত্রও অনেকেরই মুখে শুনিয়াছিলাম । আমরা প্রায় সপ্তাহ থানেক পরে অনেক কষ্টে দ্বিগুণ মূল্য দিয়া ভারবাঙ্গ খচ্চর ও চমরীর জোগাড় করিলাম । দুইদিন হাটিয়া আমরা সত লজের গভীর পাত হইতে বাহির হইয়া আবার খোল। ময়দানে উঠিলাম । পথে একজন লাসার লামার সঙ্গে দেখ হইল । তার যেমন স্বশী চেহারা, তেমনি ভদ্র ব্যবহার। লাসার লোকেরা পশ্চিম-তিব্বতীদের অপেক্ষ অনেক সভ্য ও স্বত্র। র্তাহার কাছে আমরা মাখন--দওয়া লোনত। তিব্বতী চা পান করিলাম ও লাসার প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ মঠের গল্প শুনিলাম। অবশ্য কথাবাৰ্ত্তা সব দোভাষীর সাহায্যে হইল, কারণ আমরা তিব্বতী ভাষা জানি না। রুমাদেবী নাম্নী এক ভোটিয়া মহিল| আমাদের দ্বিভাষী ছিলেন । * ইহার সাহায্যে অসংখ্য কৈলাসঘাত্রী এই দুষ্কর যাত্র। নিৰ্ব্বিঘ্নে সম্পন্ন করে। ইনি হিমালয়ের ক্রোড়ে জন্মগ্রহণ করিয়াও vরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্বৰ্গীয়া সহধৰ্ম্মিণীর কাছে মন্ত্র গ্রহণ করিয়াছিলেন। ইনি প্রায়ই কলিকাতায় মিশন-সংক্রান্ত কার্য্যে আসেন। পশ্চিম তিববতে SAASA SAAAAS AAASASAAAAASA SAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAAM AAAA AAAA AAAA AAAAS AA SAASAASAASAASAASAASAMeSeAAASA SAASAASAA ইনি অনেকবার তিব্বতে গিগছেন ও তিববতী ভাষা বেশ বলিতে পারেন । ২২শে আগষ্ট, আমরা হিমালয়ের ঠিক উত্তরে একটি অতি মনোরম স্থানে উপস্থিত হইলাম। পূৰ্ব্বে ও পশ্চিমে স্বদূর বিস্তৃত সবুজ মাঠ, অৰ্দ্ধচন্দ্রাকারে হিমালয়ের শুভ্র শিখরগুলি এই জায়গাটিকে যেন ঘিরিয়া আছে। কিছু দূরে ২৬ হাজার ফুট উচ্চ কামেত মহাপর্বত অন্যান্ত তুষারাবৃত শুঙ্গ গুলিকে অতিক্রম করিয়া বহু উৰ্দ্ধে উঠিয়াছে। দুই তিনটি তুষারনদী (glacier) উপর হইতে নমিয়া তদনন্তর বরফ গলির সাওয়াতে স্বচ্ছ তরল স্রোতের ধারা হইয়া এই প্রান্সবের ভিতর দিয়া প্রবাহিত হইতেছে । কিয়াঙ ( তিব্বতী বন্ত ঘোড়া ) ইতস্ততঃ বেড়াইতেছে । শত শত দৌড়িয়া আমবা একটি নিৰ্ম্মলসলিলা তটিনীর ধাবে তা লাগাইল ম । এষ্ট হন্দর জায়গ টির নাম [={ာ့; [ তার পরদিন ঝড়, বৃষ্টি ও অল্প অল্প তুষারপাতের মধ্য দিয আমরা মান-পাসের ( গিরিসঙ্কটের ) পাদমূলে আসিয় পৌছিলাম। এই আমাদের তিব্বতে শেষ রীত্রি। প্রায় ১৭ হাজার ফুটের উপর বড় ঠাণ্ড বোধ হইল। ২৩শে আগষ্ট—অনেকটা চড়াই চড়িয়া আমরা মানপাসের ( গিবিবয়ের ) মাঝামাঝি আসিয়া পড়িলাম । আকাশ পরিষ্কার ছিল, এত উচ্চে ইহা প্রায়ই ঘটে না । সুতরাং আমরা হিমালয়ের এক বিরাট দৃশ্য দর্শন করিতে পাইলাম। সম্মুখে বিস্তুত তুষারাচ্ছন্ন গিরিপথ—দুইদিকে ভীমদৰ্শন হিমশৃঙ্গ, চারিদিকে ধু ধু করিতেছে বরফ, কাল কাচের চশমার ভিতর দিয়াও চক্ষু ঝলুসিয়া যায়। খানিকক্ষণ পরে নামিতে লাগিলাম, তাহ'তে বোঝা গেল যে ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসিয়াছি—তবে এখনও মাঝহিমালয়ে আছি। আর কিছুদূর নামিয়া দুইটি ছোট সরোবর দেখিতে পাওয়া গেল । নীল জল ও সাদা বরফের একত্র সমাবেশ বড়ই মনোহর বে,ধ হইল। বৈকালে এক তুষার-নদীর ( glacie ) পাশে সেইদিনকার বাসোপযোগী স্থান বাছিয়া লওয়া হইল। এ নদীতে জল নাই, বরফ যেন ঢেউখেলান রঙ্গিয়াছে। তার পরদিন চলিবার বড়ই অসুবিধা হইল। চারি