পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

被$ یہی۔ علیہم امیہ"صہمی بچ گیریه۹-عیی-می-مسیحیی - ক্ষিপ্রবেগে মুখখানা বাধিয়া ফেলিয়া অবশিষ্ট অংশ দিয়৷ বেঞ্চের সহিত তাহার হাত-পা দৃঢ়ভাবে বাধিয়া দিল। চিত্রাপিতের মত দাড়াষ্টয়া বিমান এই অদ্ভুত ব্যাপার আদি হইতে অন্ত পৰ্য্যন্ত শুধু নিরীক্ষণই করিতেছিল ; বিশ্ময়ে ও ত্রাসে সে এমনই অভিভূত হষ্টয়া গিয়াছিল যে তাহাদের পরিত্রাতাকে তাহার গুরুতর বিপদে সাহায্য করিবার শক্তি, এমন কি চেতনা পৰ্য্যস্ত, তাহার ছিল না। এতক্ষণে আত্মস্থ হইয়। সে অপরিচিত যুবককে দৃঢ় জালিজনে বেষ্টন করিয়া ধরিল এবং অধীর উচ্ছসিত কণ্ঠে বলিতে লাগিল, “ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন, আপনিষ্ট *াজ জামাদের রক্ষা করেছেন " ' .. মুবককে কোনো কথা কহিবার অবসর না দিয়া স্বরম কণ্ঠে কহিল, "ঠাকুরপে, চল চল, আমরা আগে বেরিয়ে পড়ি ! এখনি যদি ওর সঙ্গীর। এসে পড়ে তখন আবার বিপদে পড়তে হবে।” আতঙ্কে সুমিত্রার মুখ দিয়া বাক্য নিঃসরিত হইতেছিল না, এবং বিমলা শীতার্ভের মত ঠক্ঠক্‌ করিয়৷ *াপিতেছিল। অপরিচিত যুবক বিমানের প্রতি চাহিয়া কহিল, “সে কথা ঠিক। গুণ্ডার প্রায়ই দলবদ্ধ হয়ে থাকে। চলুন আমি গেট পৰ্য্যন্ত আপনাদের পৌছে দিই” বলিয়৷ গুণ্ডার ছুরিখানা তুলিয়া লইয়া হাসিয়া কহিল, “এটা অন্ততঃ গেট পৰ্যন্ত হাতে থাক, কি মুনি যদি কাজেই লাগে।" তখন আর সময় নষ্ট না করিয়া সকলে উদ্বিগ্ন-দ্রুতপদে গেটের দিকে অগ্রসর হইল। বলা বাহুল্য বিমান গুণ্ডার পকেট হইতে তাহার অপহৃত মনিব্যাগটি উদ্ধার করিতে তুলে নাই। গেটে পৌছিয়া গেটরক্ষককে সংক্ষেপে গুণ্ডার কাহিনী জানাইয় অপরিচিত যুবক ছুরিখান। তাছার জিন্ম করিয়া विण । ' গেইম্যান পকেট হইতে কাগজ ও পেন্সিল বাহির করিয়া কছিল, “হুজুর, জাপক নাম ঔর পতালিখাদিজিয়ে, জানে পুলিসকা দরকার হোয়ে।” মপরিচিত যুবক একটু চিন্তা করিয়া কছিল, “পুলিসের

      • *

রকারের জন্ত আমি ব্যস্ত নই। তবে তোমার দরকার প্রবাঙ্গী-বৈশা o, లిలిe [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড" "صبہ"سہمےےحےحےحی. হ’তে পারে। লিখে নাও—নাম স্বরেশ্বর মিত্র ; ঠিকানা— নং সুকীয়া ষ্ট্রীট, কলিকাত ।” * সুরেশ্বরের নাম ও ঠিকান গ্যালালোকের সাহায্যে লিথিয়া লইয়া বিমানবিহারীকে সম্বোধন করিয়া গেট্রম্যান কহিল, “হুজুর, আপকা ভী লিখা দিজিয়ে।” বিমানবিহারী কহিল, “নাম বিমানবিহারী বোস ; পতা—নং বেচু চ্যাটার্জ ট্রীট, কলিকাতা।” নাম ও ঠিকানা লেগ হইলে স্কুরেশ্বর বিমানের নিকট বিদায় প্রার্থনা করিল। বিমান কোনো কথা কহিবার পূৰ্ব্বে স্বরম ব্যগ্রভাবে কহিল, "না, না, ঠাকুরপো, ওঁকে একৃলা এখানে ছেড়ে দেওয়া হবে না, উনি আমাদের সঙ্গে চলুন, আমরা বাড়ী পর্য্যন্ত ওঁকে পৌছে দেবো।” ". . বিমান সজোরে কহিল, “নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই ! ওঁকে ফেলে আমরা কখনও যেতে পারিনে ?" বিমানের প্রতি চাহিয়া সুরেশ্বর নম্বকণ্ঠে কহিল, “আমার জন্যে আপনার ব্যস্ত হবেন না। আমি শিবপুরে একজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে তার পর বাড়ী ফিরব।” . ত্রাসের বিহ্বলতা ইষ্টতে এতক্ষণে অনেকটা মুক্ত श्हेब्र সুমিত্রার মন তাহার উদ্ধারকর্ভার প্রতি শ্রদ্ধায় ও কৃতজ্ঞতায় এমনষ্ট উচ্ছসিত হইয়া উঠিয়াছিল যে অপরিচয়ের কোনো সঙ্কোচ না করিয়া সে সনির্বন্ধে কহিল, “বন্ধুর সঙ্গে আর-একদিন দেখা করবেন, আজ বাড়ী " • ফিরে চলুন।" সুমিত্রার প্রস্তাবে আপত্তি করিতে গিয়া, সুরেশ্বর বিনয়-স্মিতমুখে স্থমিত্রার প্রতি শুধু একবার সসঙ্কোচে দৃষ্টিপাত করিয়াই নিরুত্তর হইয়া গেল। যেটুকু উপকার সে করিয়াছে তৎপ্রস্থত কৃতজ্ঞতার বশবৰ্ত্তী হইয়াই যে উপরুতের দল ব্যগ্র হইয়া উঠিয়াছে তাহ উপলব্ধি করিয়া বাদামুবাদের সাহায্যে তাহার কৃতিত্ব ও অপর পক্ষের কৃতজ্ঞতা এই উভয়কে স্থপ্রকাশ করিয়া তুলিতে তাহার প্রবৃত্তি হইল না। বিমান কহিল, “আপনি আপনার বন্ধুর জঙ্ক যতই ব্যস্ত হোন না কেন, আজ আমরাও জামাদের বন্ধুকে ছাঁড়চি নে। যে অপরিমেয় উপকার আপনি করেছেন