পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ՋԵ یعنی تع۹عیتخت ۶۳یعیعنی جایی م<۶۳یعیخ উপনীত হইয়া গুলিভরের গল্পের ন্তায় কাঙ্গারুর পিঠে চড়িয়া “কিয়|-কাকা’ পার্থীর গান শুনিতে শুনিতে ‘মাওয়ারির আতিথ্য গ্রহণ করে, তখন ভ্রমণটি চিত্তাকর্ষক হইয় উঠে । পুস্তকের , পাতা উণ্টইয়া সেরূপ ভ্রমণ হয় না। ভূগোলের সেই ভয়াবহ নামে আর তাৎকাইয়া উঠিতে হয় না। সে-সব নাম আমাদের চিরপরিচিত হইয়া পড়ে । আর দুইটি বড় জিনিষ যাহা আমরা এই টিকিটের মধ্যে পাই তাহা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শিল্পের প্রতি অনুরাগ । এ দুইটা জিনিষের শিক্ষা আমরা একেবারে আয়ত্ত করিতে পারি না । ইহা দীর্ঘ অভ্যাসের উপর নির্ভর করে । যে ব্যক্তি বাল্যকাল হইতে ছবির মধ্য দিয়া প্রতিপালিত হইয়া আসিয়াছে তাহার, যে কখন ছবি দেখে নাই এরূপ ব্যক্তি অপেক্ষা, শিল্প শিক্ষা করিতে অনেক কম সময় লাগিবে। কিছুকাল পূৰ্ব্বে রবি-বাবু তাহার এক অভিভাষণের মধ্যে যে কয়েকটি কথা বলিয়াছিলেন তাহা হয় ত এখানে উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। তিনি বলেন, আমাদের ভারতীয় শিল্পশিক্ষণব জন্য যে বাহিরে যাইতে হয়, তাহার কারণ আমরা দিন দিন নিজেদের প্রতি শ্রদ্ধাহীন হইয় পড়িতেছি । আমরা আমাদের ভাল জিনিষের প্রতি যত্ন করি না ; আর্টিষ্টর ও বাহিরের লোকেরা আসিয়া সে-সব ছবি লইয়া যায় এবং সে-সব ছবি যখন শিক্ষার স্থল হুইয়া পড়ে আমরা তখন হায় হায় করি। আমার মনে হয় ইহার সঙ্গে সঙ্গে ছোট প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩• { ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড ۶وصیه ছোট জিনিযের প্রতি লক্ষ্য না করাও আর-এক কারণ । যখন কোন-জিনিষ বড় হইয় পড়ে তখনই আমরা তাহার দিকে আকৃষ্ট হই এবং তাহাদের কোনটাকেই পাই না। বৈদেশিক র্যাহার এখানে আসিয়া এই সংগ্ৰহকার্ষ্যে ব্ৰতী হন তাহারা প্রকৃত শিল্পের মর্য্যাদা বুঝিয়াই যে সংগ্ৰহ করেন ঠিক তাহা নয়, তবে এ সংগ্রহটা তাহীদের বাতিক মাত্র । অতএব এই-সব সংগ্রহের বাতিক যত অধিক পরিমাণে প্রসার পাইবে, আমাদের শিল্পের বাহিরে যাইবার সম্ভাবনাও ততই অল্প হইবে । - অনেকে টিকিটকে দেশের বিজ্ঞাপন বলিয়া আখ্যা দিয়া থাকেন ; এবং বাস্তবিক পক্ষে ইহা তাঁহাই । দেশের বিজ্ঞাপন অর্থে দেশের যে-সব স্থান দ্রষ্টব্য, যাহাঁদের • শিল্প বিখ্যাত, সে-সব স্থানের ও তাহা ছাড়া সাধারণ অধিবাসী, পশু, পক্ষী ইত্যাদির চিত্র আমরা এই ডাকটিকিটে পাই । অতএব এই টিকিট দেখিয়া সেদেশের মোটামুটি ইতিহাস অতি সহজেই আয়ত্ত করিতে পারি। পুস্তকের ভিতর দিয়া তাহা আয়ত্ত করিতে বিশেষ বেগ ও ক্লেশ পাইতে হয় । পাশ্চাত্য শিল্পের কেন্দ্রভূমি যে ইটালি তাহা তাহার টিকিটের মধ্য দিয়াও বেশ বুঝা যায়। মহাযুদ্ধের অবসানে সেখানে যে একখানি টিকিট প্রকাশিত হইয়াছিল, সে টিকিটখানি সৌন্দর্য্য হিসাবে পৃথিবীর যাবতীয় ডাকটিকিটের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় । শ্ৰী শৈলেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় & --عملی مسجيسي-ميسيسيباس অবুঝ আজ কেন মা পাবিনে তুই ঠিক করে তা’ বল— ওকি ! কেন, কেন মা তোর চোখ করে ছলছল ? আমি খাব, দাদা খাবে, সবাই খাবে, আর - তুই কেন ম৷ খাবিনে বল, আজ না ত সোমবার। আমায় যদি সাধিস, মা গো, খাবার-দাবার খেতে, রাগ করি না, বসি গিয়ে আগেই পাতা পেতে । তোর আজ মা কি হয়েছে ঠিক করে তা’ বল— খাবার কথা কইলে কেনই চোখে আসে জল ? আমরা খাব, তুই খাবিনে, এই বা কেমন বলে, তোর পাতে মা প্রসাদ পাব, রান্নাঘরে চলো । রাতে খেলে অম্লখ করে, তাই ত বলি না ; দিনের বেলা আজকে মা তুই কেন খাবি না ? এত সাধি, তবু মা তুই না খাস যদি, আর আমিও তবে খাব নাক সাধলে শতবার। আবার কঁদিস ? কেন কঁাদিস ? কাদিস নেক আর, বলব নাক খাবার কথা, ক্ষমা কর এবার । দুষ্টুমি আর করব নাক ঘাট, হয়েছে মা, - ( কিন্তু ) তোর সাথে না খেতে পেলে পেট যে ভরে না। ঐ ফণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়