পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3どbー হরিহর, শিবরাম, হরগৌরী, প্রভৃতির মধ্যে ভেদবুদ্ধি ( যেমন চণ্ডীমঙ্গলে শৈব ধনপতি সদাগর শক্তিদ্বেষী ছিলেন) যে পপিজনক, পুরাণ তারস্বরে তাহ ঘোষণা করিয়াছেন। স্বতরাং মঙ্গলকাব্যের ধনপতি এবং চাদ সদাগরকে দেগিয়া শিবের সঙ্গে দুর্গার, দুর্গার সঙ্গে মনসার বিরোধ কল্পনা করা কতদূর যুক্তিসঙ্গত বুঝিতে পারিতেছি না। কেহ ইহার মূলের সন্ধান দিলে উপকৃত হইব । লৌকিক দেবতাগুলির পূজাকাঙালে ধরণ দেখিয়৷ অনেকেই অনেক কথা বলিয়াছেন । হিন্দুর সংস্কার লইয়া আলোচনা করিলে ইহার মধ্যে স্বার্থপরতার লেশমাত্রও খুজিয়া পাওয়া যায় না। কারণ গীতায় শ্ৰীকৃষ্ণ যখন বলিতেছেন— প্রবাসী—শ্রাবণ, )-లిరిe e [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড "भग्रन उव भढ़rङ भन्षांछौ भां नभषून" “যত্তপস্যসি কৌন্তেয় তৎকুরস্ব মদৰ্পণং" সৰ্ব্বধৰ্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ" তখন যদি দোষের না হয়, তবে ঐ একই কথা মনসা বা চণ্ডী আপন ভক্তকে—একনিষ্ঠ উপাসককে-বলিলে তাহা দোষের হইবে কেন ? আমাদের মনে হয় বর্তমান হিন্দু সমাজের,—তথা সমাজের আচার-ধৰ্ম্মের, পূজা পাৰ্ব্বণের, আমোদ-উৎসব, পেলাধূলার এবং প্রবাদপ্রবচনাদির মূলস্বত্র আজিও আবিষ্কৃত হয় নাই। আবিষ্কার দুইএকজনের দ্বারা সম্ভবপরও নহে। এই কার্ধ্যে একটি স্বপ্রতিষ্ঠিত সংঘের প্রণালীবদ্ধ বৃহৎ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। আশার কথা, বিক্ষিপ্তভাবে হইলেও উদ্যম আরম্ভ হইয়াছে । শ্ৰী হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সুরের রেশ ( , ) আশ্বিন মাস। প্রকৃতিদেবী বর্ষায় স্নান করে’ এখন নুতন ভূষণে সজ্জিত হ’য়ে যেন চঞ্চল বালিকার মত হাস্য করছেন। চারিদিকে পদ্মফুল ঘোমটী-খোলা সুন্দরীর মুখের মত জলের উপর ফুটে রয়েছে। মাঠে মাঠে ধান, ধরণী যেন দেবীর আবাহনের অর্ঘ্য ডালায় ডালায় সাজিয়ে রেখেছে। : সন্ধ্যা হয়েছে। পূজাবাড়ী থেকে পূরবীর করুণ স্থর ভেসে এসে প্রাণের তন্ত্রীতে আঘাত করে কত রকমের প্রতিধ্বনি লোকের মনে জাগিয়ে তুলছে। এক পস্লা বৃষ্টি হ’য়ে গেছে । সেইজন্যে একটু শীত বোধ হচ্ছিল । এই ঠাণ্ডার জন্তে আমাদের চায়ের মজলিস বেশ জমে উঠেছিল। সকলেই চা ধ্বংসের দিকেই নিবিষ্ট ছিলাম, মধ্যে মধ্যে খোসগল্পও দু-একটা চলছিল।

  • হঠাৎ আমাদের মধ্যে থেকে বিমল বলে উঠল—নরু, আজ তোমাকে তোমার কুমার-জীবনের ইতিহাসটা

আমাদের শোনাতেই হবে । আজ আমরা না শুনে? কিছুতেই ছাড়বে না । এই কথা শুনে আমরাও চায়ের পেয়ালা রেখে" উৎকণ্ঠিতভাবে নরেনের উত্তর শোনবার জন্তে চুপ করে’ রইলাম। নরেনকে আমরা অনেকবার এই প্রশ্ন করেছি, কিন্তু উত্তরে কেবল একটু বুক-ভাঙা মান হাসি পেয়েছি । সেইজন্যে আর বড়-একটা কেউ এই কথা তুলে’ তাকে ব্যথিত করতাম না । আজ অনেক দিন পরে হঠাৎ এই প্রশ্ন শুনে নরেন কিন্তু চুপ করে বসে রইল। আজ আর সে হাসি তার মুখে ফুটে উঠল না। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বাইরের দিকে তাকিয়ে একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে ধীরে ধীরে সে বললে—তোমরা দেখছি না জেনে ছাড়বে না। জেনে কিন্তু দুঃখ ছাড়া আর কিছু পাবে না। আমি তাকে বাধা দিয়ে বললাম—তোমার যদি কষ্ট হয় বলতে, ত বলে কাজ নেই। নরেন তেমনিভাবে উত্তর করলে—না ভাই, আমিও