পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] একেবারে গাড়ীর ভিতর নিয়ে গিয়ে বসালে। রমেশ-বাৰু বারান্দার উপর একটা ইজিচেয়ারে শুয়ে ছিলেন, হেসে উঠে বললেন—ভাল এক পাগলীর হাতে পড়েছ, কিছুই স্থির হয়ে করতে দেয় না। আর একজন কোথায় ? দিদির এখনো কাপড় পরাই হয়নি—যা কুড়ে । আমার কিন্তু এক মিনিটেই সব হ’য়ে গেল। আর দেরী করলে বেড়াবই বা কতটুকু। ঐ যে দিদি আসছে এতক্ষণে -বলেই যুথিকা মুখখানাকে যথাসম্ভব গম্ভীর করে ভক্রাকে বলে উঠল—তোমার আর হয় না ! দেখ দেখিনি কত দেরী হ’য়ে গেল । ভদ্রা তাকে ধমক দিয়ে বললে—তুই ধাম্‌। তোর আর পাকামো করতে হবে না। যুথিক মুখ ফিরিয়ে গম্ভীর হয়ে বস্ল কিন্তু সে কিছুক্ষণের জন্যে। গাড়ী চলতে আরম্ভ করতেই যুথিকা অনর্গল বকৃতে লাগল ! ভদ্র চুপ করেই বসে ছিল, মধ্যে মধ্যে কেবল দুএকটা প্রশ্ন করছিল। গাড়ী পুলের কাছে আসতেই যুথিকা তাড়াতাড়ি নেমে পড়েই ছুটে গিয়ে একেবারে পুলের উপর হাজির হ’ল। আমি আর ভদ্রা তার পেছনে পেছনে গেলাম । পুলের উপর তখন জনমানব ছিল না। কেবল একজন ভিখারী পুলের মুখের কাছে দাড়িয়ে আছে আরো কিছু পাবার শেষ প্রতীক্ষায়। যুথিকা তাকে পয়সা দিতেই সে রাজরাণী হও বলে আশীৰ্ব্বাদ করতেই যুথিকা ফিক করে হেসে ফেললে, কিন্তু তখনই শ্রাবণের বাদলভরা মেঘের মত মুখটা বিষন্ন হয়ে উঠল। সে ধীরে ধীরে, আমরা যেখানে দাড়িয়ে ছিলাম, সেইখানে এসে দাড়াল। আমার মুখের দিকে খানিকক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে সে বলে উঠল—আচ্ছ,বিধবা হ'লে কি তার ভাল মন কিছুই আশা করতে নেই। যে স্বামী কি জিনিষ তা' জানে না তার পক্ষেও এ নিয়ম কেন হয়েছে বলুন ত - বলতে বলতেই তার চোখ সজল হয়ে উঠল, স্বর রুদ্ধ হয়ে এল, সে আন্তে আস্তে মুখ ফিরিয়ে দাড়াল। ভদ্র। তার করুণাভর দৃষ্টি সাধনার মত ছড়িয়ে দিলে যুথিকার সৰ্ব্বাঙ্গে । আমার মন এই দুই তরুণীর মনোবুেঢ়নায় পীড়িত হ’য়ে وا ـیے eو&x রের রেশ 8ፃ ó AMSA SAASAASSAAAAAAMeMA MAMAAAA AMAMAAA AAAA SAAAAA MMA SAeAeMAM উঠল। আমার অশ্রুভারাক্রান্ত চোখের দৃষ্টিকেও ছড়িয়ে দিলাম যমুনার উপর—যদি কিছু সাম্বন পায় এই ভেবে । a - যমুনা তখন জ্যোৎস্নায় স্বান করে' চঞ্চলা বালিকার মত ছুটাছুটি করে বেড়াচ্ছিল । বোধ হয় তখনো সেই বৃন্দাবনের রাখাল ছেলের বঁাশীর স্বরের রেশ তার কানের কাছে ধ্বনিত হচ্ছিল। সে সেই স্কুরের অধিকারীকে বোধ হয় খুজে না পেয়ে ব্যর্থ আশায় মনের আবেগে কুলের উপর আছড়ে খেয়ে পড়ছিল । চন্দ্রদেব উপর থেকে তার এই বিফলত দেখে তাকে বিদ্রুপ করবার জন্যেই যেন তার সর্বাঙ্গে জ্যোৎস্না ছড়িয়ে দিয়ে হাস্ছিলেন । ( & ) আমরা বাড়ী ফিরে গাড়ী থেকে নামতেই দেখি সামনে দাড়িয়ে রমেশ-বাবুর স্ত্রী। তার মূৰ্ত্তি তখন ঠিক শ্রাবণের বর্ষণোন্মুখ বজভর মেঘের মত স্থির। আমরা ধীরে ধীরে বারান্দার উপর আসতেই তিনি আমার দিকে একটা জলন্ত তিরস্কারপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কোনো কথা জিজ্ঞাসা না করেই যুথিকাকে হাত ধরে টানতে টানতে ভিতরে নিয়ে গেলেন। ভদ্ৰাও চোরের মত পেছন পেছন চলে গেল। আমি মূঢ়ের মত সেইখানে দাড়িয়ে রইলাম। রমেশ-বাবুর স্ত্রী চীৎকার করে যুথিকাকে বকৃছিলেন —এতবড় বুড়ো মেয়ে হ'ল যদি কিছু বুদ্ধি-শুদ্ধি থাকে। মরলে পর কি বুদ্ধি হবে ? আমি যে আর বকে বকে পারলাম না। হয় তুই মর, নয় আমি মরি। বাপ-মাকে খেয়ে এখন আমায় খেতে এসেছিস্—হাড়জালানী ! লোকের কি বল, তার কেবল মজা দেখতেই আছে। ভুগতে হবে ত আমাকেই –বলেই তাকে প্রহার করতে লাগলেন। তার কথা শেষ হবার সঙ্গে-সঙ্গেই একটা চাপা কাল্লার মর্শম্ভদ ধ্বনি গরম সীসের মত আমার কানের ভিতর এসে ঢুকূল। তার পর গিল্পী ভঙ্গাকে বলতে লাগলেন—তোর আঙ্কেল হবে কবে শুনি ? তুই নিজে যেমন ধিঙ্গী হয়েছিস সকলকেই সেই রকম করতে চাস, না ? নিজে ত খুব পুরুষঘেঁষা হয়েছিল, সেই সঙ্গে